Friday, June 29, 2012

চলুন বানিয়ে ফেলি Run কমান্ড, আর এক ক্লিকেই কাজ করে ফেলি


” আস্সালামুআলাইকুম “
আমরা যারা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকি তাদের কাছে বহুল পরিচিত একটি অপশন হলো Run Command যা দ্বারা আমরা খুব সহজেই যে কোন ফাইল মাত্র কয়েকটা ক্লীকেই কম্পিউটারের আনাচে কানাচে থেকে run করাতে পারি । মূলত উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এ আগে থেকেই কিছু সফটওয়্যারের ডিফল্ট শর্টকার্ট তৈরী করাই থাকে। যেগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই সেই ফাইলগুলো ব্যবহার করতে পারেন। যেমন ধরুনঃ আপনি ক্যালকুলেটর বের করতে চাইলে run বাক্স open করেই calc চেপে Enter press করলেই আপনার সামনে ক্যালকুলেটর হাজির হয়ে যাবে কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই।
      তবে হ্যা প্রথমেই বলে রাখি আমি এই পোষ্টি করছি সম্পূর্ণ Windows Xp তে পরিক্ষিত ।
6 চলুন বানিয়ে ফেলি Run কমান্ড, আর এক ক্লিকেই কাজ করে ফেলি

কিভাবে কাজ করেঃ

7 চলুন বানিয়ে ফেলি Run কমান্ড, আর এক ক্লিকেই কাজ করে ফেলি
এটা মূলত সরাসরি আপনার System এর সাথে কাজ করে। অর্থাৎ আপনার অপারেটিং সিস্টেমের System এর সাথে রিলেটেড যে কোন ফাইলের নাম / শর্টকাট যদি আপনি Run Command এ টাইপ করে Enter Press করেন তাহলে খুব সহজেই সেই ফাইলটি ১ সেকেন্ডেরও কম সময়ে আপনার সামনে হাজির হতে বাধ্য। তবে অবশ্য কোডটি অবশ্যই সঠিক হতে হবে। জন্য আগে আপনাকে সেই কমান্ডটি জানতে হবে।
  • ধরুন আপনি কোন একটা সফাটওয়্যার ইন্সটল করছেন এখন এটা কি ভাবে Run Command দিয়ে বের করবেন >
আপনি কিভাবে এটা তৈরি করতে পারেন এটা নিয়েই  আজ আলোচনা করব >
1 ► প্রথমে আপনি যেই ফাইলটি Run Command দ্বারা চালু করবেন সেই ফাইলটিতে যান। এবং গিয়ে মাউসের Right বাটনে ক্লীক করুন। তারপর Create shortcut অপশনটিতে ক্লীক করুন। প্রয়োজনে নিচের ছবিটি দেখুনঃ
8 চলুন বানিয়ে ফেলি Run কমান্ড, আর এক ক্লিকেই কাজ করে ফেলি
2 ► তারপর শর্টকাটটি আপনার পছন্দের নামে Rename করুন। আর Rename করার সময় অবশ্যই মনে রাখবেন এই নাম দ্বারাই Run Command এর মাধ্যমে আপনি পরবর্তীতে ফাইলটি চালু করতে পারবেন।
12 চলুন বানিয়ে ফেলি Run কমান্ড, আর এক ক্লিকেই কাজ করে ফেলি
3 ► এবার ফাইলটি cut করুন। এবং আপনার (Window Xp) অপারেটিং সিস্টেমের সিস্টেম ড্রাইভ মানে C:\WINDOWS তে যান। তারপর সেখানে এই শর্টকাটটি Past করে দিন।
11 চলুন বানিয়ে ফেলি Run কমান্ড, আর এক ক্লিকেই কাজ করে ফেলি
4 ► এবার Run বাক্স open করুন। তারপর আপনার ফাইলের শর্টকার্টের Rename করা ফাইলটির নাম টাইপ করুন। তারপর Enter Press করুন >
13 চলুন বানিয়ে ফেলি Run কমান্ড, আর এক ক্লিকেই কাজ করে ফেলি
দেখবেন সফটওয়্যার টা ওপেন হয়ে গেসে কিমজা…………………।  icon razz চলুন বানিয়ে ফেলি Run কমান্ড, আর এক ক্লিকেই কাজ করে ফেলি ভাল লাগলে জানাবেন ……। ভাল থাকবেন …।।

হ্যারি পটার মুভি সিরিজ রিভিউ + সবগুলো মুভির BluRay প্রিন্ট মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিংক


Harry Potter 8 Film Collection **(মেগা পোস্ট)** হ্যারি পটার মুভি সিরিজ রিভিউ + সবগুলো মুভির BluRay প্রিন্ট মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিংক
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবস্যা সফল মুভি সিরিজ এর নাম বলতে বললে অনেকে হয়তো ভাবা শুরু করবে কোন সিরিজটা সবচেয়ে সফল। এর উত্তরে অনেকে বলবে জেমস বন্ড সিরিজ (২৩টি ছবি) অথবা স্টার ওয়ার সিরিজ (৬টি ছবি) অথবা লর্ড অব দ্যা রিং সিরিজ (৩টি ছবি) অথবা পাইরেটস অফ দ্যা ক্যারিবিয়েন (৪টি ছবি)। এখনকার কাউকে জিজ্ঞাসা করলে বলতে পারে টোয়াইলাইট সিরিজের কথাও। কিন্তু না এগুলোর কোনটিই সঠিক নয়। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবস্যা সফল মুভি সিরিজ হলো হ্যারি পটার সিরিজটি। অনেকে হয়তো ভুরু কুচকাচ্ছেন আর ভাবছেন এই পোলাপানের মুভি সিরিজ এত নাম করলো কিভাবে? তাদের জন্যই বলছি এই সিরিজটি মাত্র ৮টি মুভি রিলিজ করেই আয় করেছে প্রায় ৭.৭ বিলিয়ন বা ৭৭০ কোটি মার্কিন ডলার। জে.কে রাউলিং রচিত ফ্যন্টাসি বই হ্যারি পটার এর উপর ভিত্তি করেই এই মুভিগুলো তৈরি হয়েছে। যদিও মোট বই সংখ্যা ৭ কিন্তু মুভি তৈরির সময় কাহিনীর ব্যপকতা বুঝাতেই ৭ম বইটি ২টি পার্টে ভাগ করে মুভি নির্মিত হয়েছে। এই জন্যই এই সিরিজে মোট ৮টি মুভি । আরেকটি বিস্ময়কর তথ্য হলো এই ৮টি মুভির প্রতিটিই আলাদা আলাদা ভাবে বিশ্বের সেরা ৩৫টি ব্যবস্যা সফল মুভির সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
এবার কিছুটা পেছনে যাওয়া যাক। ১৯৯৭ এর শেষের দিক তখন, চিত্র প্রযোজল ডেভিড হেয়মান এর অফিসে একটি বইয়ের সৌজন্য কপি আসে, যার নাম ছিল  Harry Potter and the Philosopher’s Stone। বইয়ের টাইটেল দেখেই ডেভিড সেটি ভোগাস একটা বই ভেবে না পড়েই বুক শেলফে রেখে দেয়। কিছুদিন পর তার সেক্রেটারি তাকে একটি বই পড়তে অনুরোধ করে, সেক্রেটারির ধারনা বইটাতে চমৎকার চিত্রনাট্য তৈরির উপাদান আছে। মোড়ক খুলে ডেভিড অবাক হয়ে যায় এই বইটি সেই বই যেটি কিছুদিন আগে সে না পড়েই বুকশেলফে রেখে দিয়েছিল। ডেভিড মোটামুটি বিরক্ত হয়। তার কাছে তখনও বইটি ভোগাস একটি কাহিনী ছাড়া আর কিছুই নয়। তবুও সেক্রেটারির অনুরোধে সে বইটি সম্পূ্র্ন পড়ে। রাউলিং এর চমৎকার লেখায় সে মুগ্ধ হয়ে যায়। পরদিনই সে রাউলিং এর সাথে এই ব্যাপারে যোগাযোগ করার জন্য ছুটে যায়। আর এভাবেই একটি সেরা মুভি সিরিজের আত্ন প্রকাশ হয়।
 **(মেগা পোস্ট)** হ্যারি পটার মুভি সিরিজ রিভিউ + সবগুলো মুভির BluRay প্রিন্ট মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিংক
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৯ সালে এসে রাউলিঙের সাথে ডেভিড হেয়মানের একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। যার মাধ্যমে রাউলিং তার প্রথম চারটি হ্যারি পটার মুভির স্বত্ব Warner Bros এর কাছে ২ মিলিওন মার্কিন ডলারে বিক্রি করে। রাউলিং চায়নি প্রাথমিকভাবে তার সব মুভির স্বত্ব Warner Bros নিক, তাই প্রথমে ৪টি মুভি দিয়েই এই সিরিজটির যাত্রা শুরু হয়।
১ম মুভিটি পরিচালনা করার জন্য প্রাথমিক ভাবে স্টিভেন স্পিলবার্গকে চূড়ান্ত করা হয়। স্পিলবার্গও সম্মতি দান করেন। কিন্তু পরবর্তিতে  স্পিলবার্গ মুভিটি পরিচালনা করতে অস্বীকৃতি জানায়। স্পিলবার্গ এই সিরিজটিকে এনিমেটেড হিসাবে তৈরী করতে রাউলিংকে উৎসাহিত করে। কিন্তু রাউলিং তা নাকচ করে দেয়। এরপর আরও অনেক পরিচালকের সাথে কথা বলা হয়।  এদের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে ৪ জনের নাম দেয়া হয় তারা হলেন Brad Silberling, Chris Columbus, Alan Parker এবং Terry Gilliam। যার মধ্য রাউলিং এর পছন্দ ছিল Terry Gilliam। সবশেষে ২০০০ সালের মার্চে Warner Bros মুভিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয় ক্রিস কলম্বাস কে। এছাড়াও স্টিভ ক্লভস কে দেয়া হয় চিত্রনাট্য তৈরীর কাজ। এছাড়াও লেখিকা রাউলিংকে দেয়া হয় মুভির যেকোন অংশ পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের সু্যোগ। প্রাথমিক ভাবে ১ম মুভিটি মুক্তির তারিখ নির্ধারন করা হয় ৪ই জুলাই,২০০১। কিন্তু বিভিন্ন কারনে তারিখটি পিছিয়ে ১৬ই নভেম্বরে মুভিটি মুক্তি দেয়া হয়।
এবার আসি মুভিতে যারা অভিনয় করেছে তাদের সিলেকশন নিয়ে। গল্পের মূল চরিত্র ড্যানিয়েল র‍্যাডক্লিফ কে অনেকটা হঠাৎ করেই আবিষ্কার করা হয়। ২০০০ সালের ঘটনা, তখন ড্যানিয়েল থিয়েটারের নিয়মিত একজন শিল্পী। কোন এক সন্ধ্যায় ঐ থিয়েটারে প্রযোজক ডেভিড আর চিত্রনাট্যকর ক্লভস নাটক দেখতে যায়। ড্যানিয়েল এর অভিনয় দেখে তারা চরম মুগ্ধ হয়। তার নীল চোখ দেখে ক্লভস তখনই তাকে হ্যারি হিসাবে মুভিতে নেয়ার জন্য ডেভিডকে বলে। ডেভিড ও এতে সায় দেয়। অতঃপর ডেভিড ড্যানিয়েলের মা বাবার সাথে কথা বলে তাদের সম্মতি নিয়ে তাকে হ্যারি হিসাবে মুভিতে নিয়ে নেয়। এখানে বলে রাখা ভালো, ড্যানিয়েল র‍্যাডক্লিফ ১৯৯৯ সালে BBC টিভিতে “ডেভিড কপারফিল্ড” নামক একটি সিরিয়ালে লিডিং চরিত্রে অভিনয় করে ততোদিনে শিশু অভিনেতা হিসাবে বেশ ভালো নাম কামিয়ে ফেলেছিল।
harry potter full cast **(মেগা পোস্ট)** হ্যারি পটার মুভি সিরিজ রিভিউ + সবগুলো মুভির BluRay প্রিন্ট মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিংক
এছাড়াও প্রায় ১০০০ ব্রিটিশ ছেলে-মেয়ে থেকে তারা দুইজনকে হারমিওনি এবং রন চরিত্রের জন্য বাছাই করে। ঐ দুটি চরিত্রের জন্য যথাক্রমে এমা ওয়াটসন এবং রূপার্ট গ্রিনিটকে বাছাই করা হয়। এই দুইজনের অভিজ্ঞতা ছিল শুধুমাত্র স্কুলের নাটিকায় অংশগ্রহন। তারপরও চরিত্রের খাতিরে তাদের নিয়েই কাজ করার সিধান্ত হয়।
অনেকে হয়তো খেয়াল করেছেন হ্যারি পটার মুভিটিতে প্রায় প্রতিটি চরিত্রই ব্রিটিশ অথবা ইউরোপীয়ান। এর মূল কারন জে.কে রাউলিং। তার ইচ্ছাতেই এই কাজ করা হয়।
এবার আসি আরও কিছু ভেতরের খবর নিয়ে।
প্রযোজনা : ডেভিড হেইমান এই সিরিজের সবগুলো ছবিই প্রযোজনা করেছেন তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান Heyday Films থেকে। সিরিজের ২য় এবং ৪র্থ ছবিতে তার সাথে সহকারী প্রযোজক হিসাব কাজ করেন ডেভিড ব্যরন। যিনি শেষ তিন ছবিতে সরাসরি প্রযোজক হিসাবে কাজ করেন। এছাড়াও মাইকেল বার্নাথান, মার্ক র‍্যাডক্লিফ, তানিয়া স্যাগাটচেন, ক্রিস কলম্বাস প্রমুখ সহকারী প্রযোজক হিসাবে এই সিরিজে কাজ করেছেন।
পরিচালনা : ক্রিস কলম্বাস ১ম ছবি Harry Potter and the Philosopher’s Stone পরিচালনা করার পরপরই Warner Bros তাকে ২য় ছবি Harry Potter and the Chamber of Secrets পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। ১ম ছবি মুক্তির মাত্র এক সপ্তাহ পরেই ২য় ছবির কাজ শুরু হয়। এর সাথে সাথে ঘোষনা করা হয় ক্রিস কলম্বাস ই এই সিরিজের সবগুলো মুভি পরিচালনা করবেন। কিন্তু ২য় ছবি মুক্তির পরই ক্রিস ব্যক্তিগত কারন দেখিয়ে ছবি পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর সিরিজটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় আলফেনসো কুরন কে। প্রাথমিক ভাবে সে মোটামুটি নার্ভাস বোধ করে কারন সে তখনও এই সিরিজের একটি বইও পড়েনি। সে কিছু সময় নিয়ে সবগুলো বই পড়ে কাজ করার ইচ্ছা জানায়। Warner Bros বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে কিছুদিন সময় দেয়। তারপর সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সেই ৩য় Harry Potter and the Prisoner of Azkaban পরিচালনা করে। অতঃপর Harry Potter and the Goblet of Fire যা সিরিজের ৪র্থ ছবি, পরিচালনা করেন মাইক নিউয়েল। ৫ম ছবি নির্মানের ক্ষেত্রে আবারো নতুন পরিচালক আনা হয়। এইবার ডেভিড ইয়াটাস ৫ম ছবি Harry Potter and the Order of the Phoenix পরিচালনা করেন। এরি ধারাবাহিকতায় ৬ষ্ট ছবি Harry Potter and the Half-Blood Prince, ৭ম ছবি Harry Potter and the Deathly Hallows Part 1 এবং ৮ম ছবি Harry Potter and the Deathly Hallows Part 2 সবগুলোই পরিচালনা করেন ডেভিড ইয়াটাস। ক্রিস কলম্বাসের পর ডেভিড ইয়াটাস ই এই সিরিজে একাধিক মুভি পরিচালনা করেন।
 **(মেগা পোস্ট)** হ্যারি পটার মুভি সিরিজ রিভিউ + সবগুলো মুভির BluRay প্রিন্ট মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিংক
চিত্রনাট্য : ৫ম ছবি Harry Potter and the Order of the Phoenix ব্যতিত সম্পূর্ন সিরিজে চিত্রনাট্য লিখেছেন স্টিভ ক্লভস। Harry Potter and the Order of the Phoenix ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন মিচেল গোল্ডেনবার্গ।
অভিনয়: শীর্ষ তিন চরিত্রের বর্ননা আগেই দেয়া হয়েছে, তাই আর নতুন করে লিখলাম না। সিরিজের বাকি শীর্ষ অভিনয় শিল্পী,যাদের ছাড়া সিরিজ কল্পনাও করা যায় না তাদের পরিচয় দেয়া হলো। এই সিরিজে অন্যতম চরিত্র গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রুবিয়াস হ্যাগ্রিড এর ভূমিকায় রবি কোল্ট্রেন, সেভেরাস স্নেপ এর ভূমিকায় এলান রিকম্যান, মিনারভা ম্যাকগোনাগোল এর ভূমিকায় ম্যাগি স্মিথ, ড্রাকো ম্যালফয় এর ভূমিকায় টম ফ্যালকন।
এছাড়া সিরিজের প্রথম দুইটি মুভিতে আলবাস ডাম্বোলডর এর ভূমিকায় রিচার্ড হ্যারিস অভিনয় করে। কিন্তু তিনি ২০০২ সালের ২৫শে অক্টোবর মারা যাওয়ায় তার যায়গায় মিচেল গ্যামবোন কে সিলেক্ট করে পরিচালক ও প্রযোজক। ৩য় ছবিতে তাদের কারিগরিতে অনেকে বুঝতেই পারেনি ডাম্বোলডর পরিবর্তন হয়েছে।
ভোলডেমোর্ট এর ভূমিকায় অভিনয় করেছে রাফ ফিনেস, লুসিয়াস ম্যলফয় এর ভূমিকায় অভিনয় করেছে জ্যাসন আইজাক, জেমস ও অলিভার ফেলপস অভিনয় করেছে যথাক্রমে ফ্রেড ও জর্জের ভূমিকায়।
সেট ডিজাইন: ৮টি ছবিরই সেট ডিজাইন করেছেন স্টূয়ার্ট ক্রেগ। তার সহকারী হিসাবে ছিল স্টেফানি ম্যাকমিলান।
এতক্ষন বহুত প্যচাল পারলাম এখন আসি মূল অংশে। ৮টি ছবির সারাংশ বর্ননা করবো এবার।
সিরিয়ালি গেলে সবার বুঝতে সুবিধা হবে তাই সিরিয়ালিই গেলাম।


Imdb রেটিং : ৭.২

মুভিটি  বৃটেনে Harry Potter and the Philosopher’s Stone নামে মুক্তি পেলেও আমেরিকা এবং ভারতে মুক্তি পায় Harry Potter and the Sorcerer’s Stone। ছবিটি পরিচালনা করেন স্টিভ ক্রিস কলম্বাস। Warner Bros এর ব্যনারে মুভিটি রিলিজ পায় ১৬ই নভেম্বর,২০০১ এ। মুভিটির বাজেট ধরা হয়েছিল ১২৫ মিলিওন মার্কিন ডলার, কিন্তু ছবিটি অসংখ্য রেকর্ড ভেঙ্গে আয় করে ৯৮০ মিলিওন ডলার। যা এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ১২তম Highest Grossing ফিল্ম এবং এই সিরিজের ২য় সেরা Highest Grossing ফিল্ম। মুক্তির প্রথম দিনই মুভিটি ৩৩.৩ মিলিওন ডলার আয় করে তৎকালীন একদিনের বক্স অফিস রেকর্ড ভাঙ্গে। দ্বিতীয় দিন ৩৩.৫ মিলিওন ডলার আয় করে নিজের গড়া একদিনের রেকর্ড আবার ভাঙ্গে মুভিটি। সপ্তাহজুড়ে মোট ৯০.৩ মিলিওন ডলার আয় করে তৎকালীন আরো একটি বক্স অফিস রেকর্ড ভাঙ্গে এটি। ছবিটি তিনটি বিভাগে অস্কার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেও একটিও জিততে পারেনি। কিন্তু অস্কার না পেলেও অসংখ্য পুরস্কার এটি জয় করে।
hp1 **(মেগা পোস্ট)** হ্যারি পটার মুভি সিরিজ রিভিউ + সবগুলো মুভির BluRay প্রিন্ট মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিংক
মুভিটিতে দেখা যায় হ্যারি এতিম অবস্থায় তার খালার বাড়িতে লালিত পালিত হয়। সেখানে তার খালা-খালু খালাতো ভাই সবাই তার সাথে খারাপ আচরন করে, সবাই তাকে অবাঞ্চিত মনে করে। হ্যারি মুখ বুজে সেগুলো সহ্য করে যায়। এরপর তার ১১তম জন্মদিনের দিন তার কাছে দৈত্য সদৃশ হ্যগ্রিড আসে। তার মাধ্যমে সে জানতে পারে সে সাধারন কেউ নয়। তার বাবা-মা ছিল জাদুকর, হ্যারি নিজেও একজন জাদুকর। তার বাবা মাকে ভোল্ডেমোর্ট নামে অশুভ এক শক্তিশালী জাদুকর হত্যা করেছে। হ্যারিকেও সে মারার জন্য মারণ জাদু প্রয়োগ করেছিল, কিন্তু হ্যারি অলৌকিক ভাবে সেই জাদু প্রতিহত করে ভোল্ডেমর্টের কিছু শক্তি নিজেও লাভ করে। এই ব্যর্থতার ফলে ভোল্ডেমর্ট হয়ে পড়ে শক্তিহীন। এখন সে পলাতক হয়ে আছে। হ্যাগ্রিড তাকে আরও জানায় হোগওয়ার্ট নামে একটি জাদুর স্কুল আছে যেখানে হ্যারিকে ছাত্র হিসাবে নেয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে হ্যারি নিজেকে জাদুকর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। অতঃপর হ্যারি হোগওয়ার্টে যায় এবং অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করে সে সেখানে পরিচিত। সবাই এক নামে তাকে চিনে। কারন সেই একমাত্র ব্যক্তি যে মারন জাদুর হাত থেকে বেঁচে আছে। বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে সে স্কুলে দিনযাপন করতে থাকে। এরি মধ্যে সে হারমিওনি গ্রেঞ্জার আর রন উইসলির সাথে বন্ধুত্ব করে ফেলে। তারা জানতে পারে স্কুলের কোন এক যায়গায় লুকায়িত আছে অমরত্ব লাভের পাথর। যার মাধ্যমে যে কেউ লাভ করতে পারে অমরত্ব। তারা সেটি খুজে বের করার চেষ্টা করে। অন্যদিকে ভোল্ডেমর্ট তার শক্তি হারিয়ে এখন পুরোনো সম্রাজ্য ফিরে পেতে চাইছে, অমরত্ব লাভ করলে সেটিতো সময়ের ব্যপার। ভোল্ডেমর্টও লাগলো অমরত্ব পাথরের পিছে। এভাবেই গল্প এগিয়ে যায় এবং একটি মীমাংসার মাধ্যমে শেষ হয় মুভিটি।

মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিঙ্ক

পার্ট – ১

পার্ট – ২

পার্ট – ৩

পার্ট – ৪

Imdb রেটিং : ৭.২
Warner Bros এর ব্যনারে ছবিটি লন্ডনে ৩ই নভেম্বর,২০০২ মুক্তি দেয়া হয়। আর সারাবিশ্বে একযোগে মুক্তি ১৫ই নভেম্বর,২০০২। আগের ছবির মতই এই ছবিও পরিচালনা করেন ক্রিস কলম্বাস। আগের ছবির মতই এটিও বক্স অফিসে ঝড় তোলে। মাত্র ১০০ মিলিওন মার্কিন ডলারে নির্মিত ছবিটি সবমিলিয়ে আয় করে ৮৭৯ মিলিওন মার্কিন ডলার। যা বিশ্বের আয়ের দিক থেকে ২৪তম Highest Grossing ফিল্ম । অন্যদিকে হ্যারি পটার সিরিজের এর অবস্থান ৭ম Highest Grossing ফিল্ম । যথারীতি এই ছবিও বক্স অফিসের বেশ কিছু রেকর্ড ভাঙ্গে। ১ম সপ্তাহে মুভিটি আয় করে ৮৮.৯ মিলিওন মার্কিন ডলার। যা তৎকালীন আমেরিয়াকান বক্স অফিসের ৩য় সর্বোচ্চ। এছাড়াও মুভিটি ব্রিটিশ বক্স অফিসে আয়ের দিক থেকে তৎকালীন ১ম স্থানটি দখল করে বসে। ছবিটি বেশ কিছু পুরষ্কারও লাভ করে তার মধ্যে BAFTA ২০০৩ পুরষ্কারের জন্য মনোনয়ন ছবিটির অন্যতম সাফল্য।
hp2 **(মেগা পোস্ট)** হ্যারি পটার মুভি সিরিজ রিভিউ + সবগুলো মুভির BluRay প্রিন্ট মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিংক
মুভিটিতে দেখা যায় হ্যারি,রন,হারমিওন তাদের জাদু স্কুলের ২য় বছর শুরু করার জন্য হোগওয়ার্টে আসে। সেখানে এসে তারা আবারও নানা রকম এডভেঞ্চারে জড়িয়ে পড়ে। তারা জানতে পারে চেম্বার অফ সিক্রেট বহু বছর পর আবারও খোলা হয়েছে। কিন্তু কেউ জানেনা চেম্বারটি কোথায়। না স্কুল শিক্ষকরা,না কর্মচারীরা, না ছাত্ররা। সবাই এক রকম ভয়ের মধ্যে দিন কাটাতে থাকে। এর মধ্যেই জানা যায় ব্যসিলিক্স মুক্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ব্যসিলিক্স হলো এক বৃহৎ অজগর সাপ যা চেম্বার অফ সিক্রেট এর রক্ষক। এই সাপের হিংস্রতা এমনি যে কেও যদি এর চোখের দিকে সরাসরি তাকায় সে মারা যাবে, কিন্তু কাঁচ বা অন্য কোন কিছুর মাধ্যমে দেখলে বা শুধু প্রতিবিম্ব দেখলে স্টান হয়ে যাবে। ছাত্রদের ভয়ের মাত্রা বাড়লো যখন অনেক ছাত্রকে স্কুলে স্টান অবস্থায় পাওয়া গেল। সবাই দলে দলে স্কুল ত্যাগ করতে লাগলো। ইতোঃমধ্যে হ্যারির বন্ধু হারমিওনিও ব্যসিলিক্স দ্বারা আক্রান্ত হলো। কিন্তু তার আগে হারমিওন চেম্বার অফ সিক্রেট কোথায় থাকতে পারে তা সম্পর্কে জানতে পারে। হ্যারি হারমিওনির স্টান হাতের মুঠো থেকে কাগজটি নিয়ে জানতে পারে চেম্বারের অবস্থান। সে আর রন ব্যসিলিক্স কে ঠেকানোর জন্য রওনা হয়। ঘটনা আরও খারাপ হয় যখন জানা যায় রনের বোন জিনিকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। হ্যারি হারমিওনের নির্দেশ মত স্লিদারিন হাউজের টয়লেট এ যায়। সেখানে গিয়ে চেম্বার অফ সিক্রেট এর প্রবেশ পথ সে আবিষ্কার করে। দরজাটি খোলার জন্য দরকার পার্সেলটাং। যা হোগয়ার্টের ইতিহাসে শুধুমাত্র স্লিদাইন আর ভোল্ডেমর্ট পারত। হ্যারি একজন গ্রিফিন্ডর হওয়ায় তার জন্য পার্সেলটাং অস্মভব ছিল। কিন্তু ভোল্ডেমর্ট তাকে হত্যা করার সময় যে মারন জাদু ছুড়ে মেরেছিল, সেটি সে বিষ্ময়কর ভাবে প্রতিহত করায় তার মাঝে ভোল্ডেমর্টের কিছু শক্তি চলে আসে। যার মধ্যে পার্সেলটাং  বা সাপের ভাষা অন্যতম। সে আর রন চেম্বারে ঢুকে পড়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রন পিছে পড়ে যায় এবং হ্যারি একাই সেই ভয়াবহ চেম্বার প্রবেশ করে। সেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছিল জিনির অজ্ঞান দেহ আর………… ভোলডেমর্ট।

মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিঙ্ক

পার্ট – ১

পার্ট – ২

পার্ট – ৩

পার্ট – ৪

নতুন পরিচালক আলফেনসো কুরন এই মুভিটি পরিচালনা করেন। ছবিটি সারা বিশ্বে মুক্তি দেয়া হয় ৪ই জুন,২০০৪। তার ৫ দিন আগে ৩১শে মে,২০০৪ এ মুভিটি ব্রিটেনে মুক্তি দেয়া হয়। বরাবরের মত এবারও ছবিটি Warner Bros এর ব্যনারেই মুক্তি পায়। ছবিটির প্রাথমিক বাজেট ছিল ১৩০ মিলিওন মার্কিন ডলার। সব মিলিয়ে মুভিটি বক্স অফিসে আয় করে ৭৯৭ মিলিওন মার্কিন ডলার। যদিও মুভিটি হ্যারি পটার সিরিজের সবচেয়ে কম আয় করা মুভি তারপরও এই মুভিটি এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বের ৩৩তম Highest Grossing ফিল্ম। এটি এই সিরিজের অন্যতম ভালো রিভিউ পাওয়া মুভি। যদিও এই মুভিটি অন্যান্য হ্যারি পটার মুভির তুলনায় আয়ের দিক থেকে অনেক দুর্বল, তারপরও এটি বক্স অফিস মোটেও খারাপ করেনি। সেই সময়ের ব্রিটিশ বক্স অফিসের ১ম দিনের আয়ের রেকর্ডটি এই মুভি ভেঙ্গে দেয়। এছাড়াও মুভিটির এক সপ্তাহের আয় এখনও পর্যন্ত ব্রিটিশ বক্স অফিসের সেরা কালেকশন। আমেরিকান বক্স অফিসেও মুভিটির ১ম সপ্তাহের আয় মুভিটিকে এখন পর্যন্ত ৩য় অবস্থানে রেখেছে। মুভিটি দুইটি অস্কার যেতে, সেরা ভিজুয়াল ইফেক্ট এবং সেরা মিউজিক এর ক্ষেত্রে। এছাড়াও আরো অনেক পুরষ্কার মুভিটি লাভ করে।
hp3 **(মেগা পোস্ট)** হ্যারি পটার মুভি সিরিজ রিভিউ + সবগুলো মুভির BluRay প্রিন্ট মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিংক
মুভিটিতে দেখা যায় হ্যারি আর তার বন্ধুরা হোগওয়ার্টেস তাদের ৩য় শিক্ষা বছর আরম্ভ করে। ছবিটির প্রথম থেকেই একটি থ্রিলার অবস্থার সৃষ্টি হয়, যখন জানা যায় হ্যারির পিছে লেগেছে একজন ঠান্ডা মাথার খুনি এবং জাদুকর সিরিয়স ব্লাক। সে দুর্গম এবং অত্যন্ত সিকিউরড জেলখানা আজকাবান থেকে পালিয়ে হ্যারির খোজ করছে। তার বিরুধ্যে অসংখ্য অভিযোগ থাকায় ম্যাজিক মন্ত্রনালয় তাকে ধরার জন্য বিশেষ রক্ষী বাহিনী ডিমেন্টরস দের পাঠায়। এভাবেই মুভির শুরু। হ্যারি স্কুলে গিয়ে জানতে পারে সেই বছর তাদের প্রতিরক্ষা মুলক জাদুর জন্য নতুন শিক্ষক প্রফেসর লুপিন কে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বন্ধুসুলভ প্রফেসর লুপিন হ্যারির মানসিক এবং আসন্ন বিপদ উপলব্ধি করে হেডমাস্টার ডাম্বোলডর এর নির্দেশে তাকে আলাদা ভাবে প্রতিরক্ষামুলক জাদু শিখাতে থাকে। যার মধ্যে অন্যতম হলো ডিমেন্টরস তাড়ানোর জাদু। ডিমেন্টরসদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এরা যখন আসে তখন চারিদিক ঠান্ডা হয়ে যায় এবং এরা যে কারো আত্না শুষে নিতে পারে। হ্যারি এই অভিজ্ঞতা লাভ করে মুভির প্রথম দিকে যখন সে ট্রেনে করে হোগওয়ার্টেস উদ্দ্যেশে আসছিল। সে যাত্রা সে প্রফেসর লুপিন এর দ্বারা রক্ষা পায়। নানা রকম আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে ছবিটি এগিয়ে যেতে থাকে। একসময় দেখা যায় সিরিয়স ব্লাক হোগওয়ার্টসের মধ্যে চলে আসে। হ্যারির জীবন বিপন্ন হয়। তার বন্ধুদের সহায়তা এবং প্রফেসর লুপিন এর সাহায্যে সে জানতে পারে সিরিয়স ব্লাক আসলে কে। তার জীবনে আসে নতুন মাত্রা।

মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিঙ্ক

পার্ট – ১

পার্ট – ২

পার্ট – ৩

পার্ট – ৪

আবারো নতুন পরিচালকের আগমন ঘটে এই সিরিজে। সিরিজের ৪র্থ সিক্যুয়েলের জন্য মাইক নিউয়েলকে পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়। এবার Warner Bros তাদের আগের নিয়মের ব্যতিক্রম  করে মুভিটি সারা বিশ্বে একযোগে মুক্তি দেয়। ১৫০ মিলিওন ডলার বাজেটের ছবিটি সারা বিশ্বে মুক্তি দেয়া হয় ১৮ই নভেম্বর,২০০৫ এ। সিরিজের অন্য মুভিগুলোর মতই এটিও মুক্তি পেয়েই ভাঙ্গা শুরু করে একের পর এক বক্স অফিস রেকর্ড। আমেরিকার বক্স অফিসে মুক্তির ৫ দিনের মধ্যেই এটি ১০২ মিলিওন মার্কিন ডলার আয় করে অনন্য এক রেকর্ড করে বসে। এছাড়াও মুভিটি মোট ৮৯৭ মিলিওন মার্কিন ডলার আয় করে ২০০৫ সালের সর্ব্বোচ আয়ের মুভিতে পরিনত হয়। এরই মাধ্যমে মুভিটি ২০০৫ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বের সেরা ৮ টি সর্ব্বোচ আয়ের মুভির লিস্টে নাম লেখায়। আর এখনও পর্যন্ত এটি সারা বিশ্বে ২১তম Highest Grossing ফিল্ম। অন্যদিকে হ্যারি পটার সিরিজে আয়ের দিক থেকে এর অবস্থান ৬ষ্ঠ। সেরা আর্ট ডিজাইনের জন্য লাভ করে অস্কার। আর হ্যারি পটার সিরিজের একমাত্র মুভি হিসাবে অর্জন করে BAFTA সেরা প্রোডাকশন ডিজাইন পুরষ্কার।
hp4 **(মেগা পোস্ট)** হ্যারি পটার মুভি সিরিজ রিভিউ + সবগুলো মুভির BluRay প্রিন্ট মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিংক
মুভির শুরুতে দেখা যায় হ্যারি আর হারমিওন তাদের বন্ধু রনের বাসায় বেড়াতে আসে। স্কুলের আগে তাদের এখানে আসার মূল কারন সরাসরি আন্তর্জাতিক কুইডিচ টুর্নামেন্ট দেখা। ফাইনালের দিন রাতেই হঠাৎ করে ডেথ ইটাররা দর্শকদের উপর আক্রমন চালায়। ডেথ ইটার হলো ভোল্ডেমরর্টের অনুসারী, যারা কালো জাদু চর্চা করে। আক্রমন শেষে তারা চলে গেলে রাতের আকাশে ভেসে উঠে ডার্ক মার্ক। যা ভোল্ডেমর্ট এর ফিরে আসার চিহ্ন। সবাই ভীত বিহ্বল হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে হ্যারি আর তার বন্ধুরা হোগওয়ার্টসে তাদের ৪র্থ শিক্ষা বছর শুরু করতে যায়। নতুন বছরে তাদের কালো জাদুর প্রতিরক্ষার বিষয়ে নতুন শিক্ষক নেয়া হয় যে ম্যাড আই মুডি নামে পরিচিত। এর সাথে আরও দেখা যায় স্কুলে তখন তখন সাজ সাজ রব। সে বছর হোগওয়ার্টস ট্রাই উইজার্ড টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। ইউরোপের সেরা তিন স্কুলের তিনজন বাছাইকৃত ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে তাদের জাদু বিদ্যার পারদর্শীতার মাধ্যমে এই টুর্নামেন্ট এগিয়ে চলে। যে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে সে এবং তার স্কুল চ্যাম্পিয়ন হয়। হ্যারি ভোল্ডেমর্টকে নিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করে যা প্রায় প্রতি রাতেই ঘুম থেকে উঠতে বাধ্য করতে থাকে। বেশ কয়েকদিন পর সিলেকশন এর দিন তিন স্কুলের তিনজন ছাত্রের নাম ঘোষনা করা হয়। হঠাৎ অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটে, যে ট্রাই উইজার্ড কাপের মধ্য দিয়ে তিনজন বিজয়ীর নাম উঠেছিল সেই কাপটি হঠাৎ আলোকিত হয়ে উঠে। তার মধ্যে থেকে তখন ৪র্থ আরেকটি নাম উঠে আসে যেটিতে হ্যারির নাম লেখা ছিল। সবাই স্তব্ধ হয়ে যায়। সবাই হ্যারির আসন্ন বিপদ সম্পর্কে বিচলিত হয়। টুর্নামেন্টে টিকে থাকার জন্য অনেক উন্নত জাদু জানতে হয়, যেখানে হ্যারি মাত্র ৪ বছর ধরে জাদু শিখছে। তবুও সে তার বন্ধুদের সহায়তায় সব রাউন্ডে সফলতার পরিচয় দিল। এই উত্তেজনার মধ্যেও সে নিয়মিত ভোল্ডেমর্টের দুঃস্বপ্ন দেখতে থাকে। অবশেষে আসে ফাইনাল রাউন্ড যেখানে টিকে থাকাই সবচেয়ে কঠিন। ৪ জনের মধ্যে ২ জন দ্রুতই Retire করে। অতঃপর শুধু টিকে থাকে হ্যারি আর তার স্কুলের আরেক ছাত্র সেডরিক ডিগরি। ঘটনাক্রমে ২ জনই একিসাথে কাপটা দেখতে পায়। কিন্তু কাপটার অধিকারীতো শুধু একজনই হবে। অন্যদিকে ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয়া ভোল্ডেমর্টের কথা ভুলে গেলেও চলবেনা।

মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিঙ্ক

পার্ট – ১

পার্ট – ২

পার্ট – ৩

পার্ট – ৪

১৫০ মিলিওন মার্কিন ডলার বাজেটের ছবিটি বিশ্বব্যাপী ১১ই জুলাই,২০০৭ এ মুক্তি পেলেও লন্ডনে এটি মুক্তি পায় ১২ই জুলাই, ২০০৭। ডেভিড হেয়মান প্রযোজিত এবং ডেভিড ইয়াটাস পরিচালিত এই মুভিটি বরাবরের মত Warner Bros থেকেই প্রকাশিত হয়। এই মুভি সারা বিশ্বের বক্স অফিসগুলোতে একযোগে ঝড় তোলে। আমেরিকান বক্স অফিসের নানা রকম রেকর্ড ভেঙ্গে মুভিটি এই সিরিজের রেকর্ড ব্রেকিং ইমেজ ধরে রাখতে সক্ষম হয়। ৫ দিনেই ৩৩৩ মিলিওন মার্কিন ডলার আয় করে এক বিষ্ময়কর রেকর্ড গড়ে মুভিটি। সব মিলিয়ে আয় ৯৪০ মিলিওন মার্কিন ডলার আয় করে ২০০৭ সালের দ্বিতীয় সর্ব্বোচ আয়ের মুভিতে পরিনত হয়। আর একি কারনে এটি জায়গা করে নেয় সারা বিশ্বের ১৫তম Highest Grossing ফিল্ম এর লিস্টে। সাথে সাথে হ্যারি পটার সিরিজে আয়ের দিক থেকে ৪র্থ স্থানটিও দখল করে নিয়েছে। BAFTA এবং অস্কারের জন্য কয়েকটি বিভাগে মুভিটি নোমিনেশন পায়। পাশাপাশি অর্জন করে বেশ কিছু  পুরষ্কার।
hp5 **(মেগা পোস্ট)** হ্যারি পটার মুভি সিরিজ রিভিউ + সবগুলো মুভির BluRay প্রিন্ট মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিংক
মুভির শুরুতেই হ্যারিকে ডিমেন্টরদের দ্বারা আক্রান্ত হতে দেখা যায়, কিন্তু ততোদিনে হ্যারি জাদুতে বিশেষ পারদর্শীতা অর্জন করে ফেলেছে। তাই ডিমেন্টরদের সাথে সে লড়াই করে জিতে যায়। অতঃপর হ্যারি তার জাদুর স্কুলের ৫ম বর্ষ শুরু করার উদ্দ্যেশে হোগওয়ার্টে যায়। সেখানে তার বন্ধুরাও থাকে। পরিস্থিতি খারাপ পর্যায়ে যায় যখন ম্যাজিক মন্ত্রনালয় ভোল্ডেমর্টের ফিরে আসার খবর ভিত্তিহীন বলে উড়ে দেয়। ম্যাজিক মন্ত্রনালয় হোগওয়ার্টস স্কুলের জন্য নতুন হেড মাস্টার আমব্রীজ কে নিয়োগ দেয়। প্রফেসর ডাম্বোলডরকে খুব কম সময় দেখা যায়। এরই মধ্যে ডাম্বোলডরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হলে ডাম্বোলডর হাইড আউট এ চলে যায়। হ্যারিদের কালো জাদুর প্রতিরক্ষার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ হয়। হ্যারি তার বেঁচে থাকার স্বার্থেই তার বন্ধুদের নিয়ে সিক্রেট জায়গায় এই কালো জাদুর প্রতিরক্ষার অনুশীলন চালাতে থাকে। ডেথ ইটারদের দৌরাত্ব বাড়তে থাকে, তাদের আটকানোর জন্য ডাম্বোলডরের নেতৃত্বে গঠিত হয় অর্ডার অফ দ্যা ফিনিক্স। হ্যারি আবারো ভোল্ডেমর্টকে নিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখতে থাকে। একদিন সে দুঃস্বপ্নে তার গড ফাদার সিরিয়স ব্লাককে দেখতে পায় যাকে ভোল্ডেমর্ট বন্দি করে রেখেছে। সে সিরিয়স ব্লাককে বাঁচানোর সিধান্ত নেয়। এত সহজেই কি তাকে ছেড়ে দেবে ভোল্ডেমর্ট??

মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিঙ্ক

পার্ট – ১

পার্ট – ২

পার্ট – ৩

পার্ট – ৪

হ্যারি পটার সিরিজের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি এটি। সিরিজের আগের মুভির পরিচালক ডেভিড ইয়াটাস পুনরায় হ্যারি পটার সিরিজ পরিচালনা করেন। Warner Bros থেকে রিলিজ পাওয়া মুভিটির বাজেট ২৫০ মিলিওন মার্কিন ডলার। ছবিটি সারা বিশ্বে একযোগে মুক্তি পায় ১৫ই জুলাই,২০০৯। সিরিজের অন্যান্য মুভির মত এটিও বক্স অফিস মাত করে। মুক্তির দিনই এটি মিডনাইট শোর অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়। এছাড়া ৫৮.২ মিলিওন মার্কিন ডলার আয় করে আরেকটি রেকর্ড ভেঙ্গে দেয় মুভিটি। সব মিলিয়ে মুভিটি আয় করে ১ম ৫ দিনেই  ৩৯৪.৭ মিলিওন মার্কিন ডলার। যা ভেঙ্গে দেয় আগের সব রেকর্ড। এটি আরেকটি রেকর্ড গড়ে যখন ৩৫০ মিলিওন মাইলস্টোন ক্রস করতে মুভিটি মাত্র ৫ দিন সময় নেয়। ইতোঃপূর্বে কোন মুভিই এত দ্রুত আয় করতে পারেনি। এছাড়াও সবমিলিয়ে মুভিটি আয় করে ৯৩৪ মিলিওন মার্কিন ডলার। যা মুভিটিকে ২০০৯ সালের দ্বিতীয় সর্ব্বোচ আয়ের মুভিতে পরিনত করে। যার ফলস্বরুপ এটি অর্জন করে ১৬তম Highest Grossing ফিল্ম এর মর্যাদা। অন্যদিকে একি কারনে এটি সিরিজের ৫ম সর্ব্বোচ আয়ের মুভিতেও পরিনত হয়। ছবিটি একটি বিভাগে অস্কার, একটি BAFTA পুরষ্কার অর্জন করে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন পুরষ্কার লাভ করে মুভিটি। রিভিউয়ের দিক থেকেও মুভিটি অনেক নাম করে।
hp6 **(মেগা পোস্ট)** হ্যারি পটার মুভি সিরিজ রিভিউ + সবগুলো মুভির BluRay প্রিন্ট মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিংক
হ্যারি তার স্কুল জীবনে ৬ষ্ঠ বছর শুরু করে। তখন তার মধ্যে কাজ করছে সিরিয়স ব্লাকের হত্যার প্রতিশোধের জিঘাংসা। চারিদিকে ভোল্ডেমর্টের অনুসারীরা শুরু করেছে তান্ডবলীলা। মাগলদের উপর অহেতুক তারা জাদু প্রয়োগ করছে। চতুর্দিক তখন ডেথ ইটারসদের দৌরাত্ব। ম্যাজিক মন্ত্রনালয় অবশেষে জানতে পেরেছে, ভোল্ডেমর্ট ফিরে এসেছে। ফিরে এসেছে তার সর্ব শক্তি নিয়ে। হোগওয়ার্টসে তখন ডাম্বোলডরের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। শিক্ষকের শুন্য পদে ডাম্বোলডোর তার পুরোনো বন্ধু প্রফেসর স্লাগহর্নকে পূরন করার আহ্বান জানালেন। স্লাগহর্ন সানন্দে সেটি গ্রহন করে হ্যারিদের নতুন পোশন শিক্ষক হিসাবে যোগ দিলেন। অন্যদিকে পোশন ক্লাসের নিয়মিত শিক্ষক প্রফেসর স্নেপ হেডমাস্টার এর নির্দেশে কালো জাদুর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার ক্লাস নেয়া শুরু করলেন। হ্যারি পোশন ক্লাসের প্রথম দিনই আজব একটি বই পেল, যেখানে পোশন সম্পর্কে বইয়ের সাথে হাতে লেখা কিছু নোটও ছিল। যার মাধ্যমে হ্যারি পোশন ক্লাসে অন্য সবার চেয়ে ভালো করে স্লাগহর্নের সুদৃষ্টিতে থাকলো। তাকে প্রফেসর আদর করে চুজেন ওয়ান নামে ডাকা শুরু করলো। অন্যদিকে প্রফেসর ডাম্বোলডোরও এটিই চাইছিলেন। স্লাগহর্ন এর আগে যখন শিক্ষক ছিলেন তখন তার সবচেয়ে প্রিয় ছাত্র ছিল টম রিডল, যেই পরবর্তীতে ভোল্ডেমর্ট নাম ধারন করে। ছাত্র থাকাকালীন স্লাগহর্নকে ভোল্ডেমর্ট অনেক কথাই বলেছিলেন যার মধ্যে এমন কিছু থাকতে পারে যা ভোল্ডেমর্টকে ধ্বংস করতে হ্যারি এবং তাকে সাহায্য করতে পারে, এই আশায় স্লাগহর্নকে প্রফেসর হওয়ার প্রস্তাব দেয় ডাম্বোলডর। কিন্তু স্লাগহর্ন কখনই এই ব্যাপারে তার কাছে মুখ খোলেনি। অবশেষে পোশনের মাধ্যমে হ্যারি স্লাগহর্ন এর কাছে থেকে হারক্রুক্স সম্পর্কে জানতে পারে। যার দ্বারা একাধিক জীবন খন্ড খন্ড করে বিভিন্ন জায়গায় রাখা যায়। ফলে শত্রুকে মারা অসম্ভব হয়ে পড়ে। ইতোঃমধ্যে হ্যারির বন্ধু রন বিষে আক্রান্ত হয়। খজ নিয়ে বোঝা যায় বিষটি ডাম্বোল্ডরকে মারার জন্য পাঠানো  হয় এবং এর পিছে ড্রাকো ম্যালফয়ের হাত আছে। সাথে সাথে একশন না নিয়ে ডাম্বোলডর ড্রাকোকে হাতে-নাতে ধরার অপেক্ষা করলেন। একই সাথে হ্যারির সাথে হারকুক্সগুলো খুজে বের করার উপায়ও তিনি খুজতে লাগলেন। অবশেষে একটি হারকুক্সের সন্ধান পাওয়া গেল। দেরি না করে হ্যারি কে নিয়ে ডাম্বোলডর রওনা হলেন। অবশেষে বহু কষ্ট করে তারা ঐ হারকুক্স ধ্বংস করতে পারে, সাথে সাথে বিষক্রিয়ায় ডাম্বলডরের অবস্থাও আশঙ্কাজনক হলো। তারা দ্রুত হোওয়ার্টসে ফিরে আসে। কিন্তু ততক্ষনে অন্য ঘটনা ঘটে গেছে হোগওয়ার্টসে। ডাম্বলডর কি রক্ষা করতে পারলো নিজেকে বিষক্রিয়া থেকে? সারা বছরজুড়ে জানতে চাওয়া এক প্রশ্নের জবাবও পেয়ে গেল হ্যারি। জানতে পারলো কে হাফ ব্লাড প্রিন্স।

মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিঙ্ক

পার্ট – ১

পার্ট – ২

পার্ট – ৩

পার্ট – ৪

পার্ট – ৫

জে.কে.রাউলিং রচিত হ্যারি পটার এর সপ্তম ও সর্বশেষ বই হলো Harry Potter and the Deathly Hallows। পরিচালক আর প্রযোজক দুইজনের অনুরোধেই জে.কে.রাউলিং এই বইটির উপর দুইটি মুভি নির্মানের অনুমতি দেন। পরিচালক ডেভিড ইয়াটাস ১ম পার্টটি মুক্তি দেন ২০১০ সালে। এবং একি সাথে ঘোষনা দেন দ্বিতীয় পার্টটি পরের বছর ২০১১তেই রিলিজ হবে। ২টি মুভি মিলিয়ে মোট বাজেট ধরা হয় ২৫০ মিলিওন মার্কিন ডলার। ১ম ছবিটি ১৮ই নভেম্বর,২০১০ এ সারা বিশ্বব্যাপী মুক্তি দেয়া হয়। Warner Bros থেকে রিলিজ পেয়ে সিরিজের অন্যান্য মুভির মতই বক্স অফিস বাজিমাত করে মুভিটি। আমেরিকার বক্স অফিস রিতীমত কাঁপিয়ে দেয় মুভিটি। একে একে ভাঙ্গে ১ম দিনের মিড নাইট শো,এক দিনের সর্ব্বোচ আয়ের রেকর্ড, মাল্টিপ্লেক্সের সর্ব্বোচ আয়, এক সপ্তাহের সর্ব্বোচ আয়ের রেকর্ড। ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড সহ অনেক দেশের বক্স অফিসে ২০১০ সালের সর্ব্বোচ আয়ের মুভি এটি। ফলাফল এই সিরিজের সবচেয়ে সফল ওভারসীজ মুভি এটি। যা আগে সিরিজের ১ম ছবির দখলে ছিল। ওভারসীজ মানে কোন মুভির বিদেশে বা নিজের দেশ ছাড়া সারা বিশ্বে আয়। মুভিটির ওভারসীজ আয় ছিল ৬৬০ মিলিওন মার্কিন ডলার। সবমিলিয়ে মুভিটি আয় করে ৯৫৬ মিলিওন মার্কিন ডলার। ফলে মুভিটি ২০১০ সালের ৩য় সেরা আয়ের মুভি, হ্যারি পটার সিরিজের ৩য় সেরা ব্যবস্যা সফল মুভি এবং সারা বিশ্বের ১৩তম Highest Grossing ফিল্ম হিসাবে নাম লেখায়।মুভিটই কোন অস্কার বা BAFTA পুরষ্কার না পেলেও একাধিক ভিন্ন পুরষ্কার লাভ করে।
hp7 **(মেগা পোস্ট)** হ্যারি পটার মুভি সিরিজ রিভিউ + সবগুলো মুভির BluRay প্রিন্ট মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিংক
ডাম্বোলডরের মৃত্যুর পরই হ্যারি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হয় ভোল্ডেমর্টের বাকি হারকুক্সগুলো খুজে বের করে ধ্বংস করবে। এই কাজ সে একা করতে চাইলেও তার প্রানপ্রিয় বন্ধু রন আর হারমিওন নাছোড়বান্দার মত তার সাথে থাকলো। তারা তিনজন প্লান করে সে বছর স্কুলে না গিয়ে সবাইকে ফাকি দিয়ে হারকুক্সের খোজে বেরিয়ে পড়লো। তারা এখন হোগওয়ার্টসের নিরাপদ বেষ্ঠনীর বাইরে নিজেদেরকে অসহায় মনে করতে লাগলো, কিন্তু কেউই ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা করলো না। ডাম্বোলডরের মৃত্যুর পর ম্যাজিক মন্ত্রনালয় সম্পূ্র্ন ভোলডেমর্ট এর অনুগত ডেথ ইটারদের হাতে চলে গেছে। তারা একে একে সব ভালো জাদুকরদের খুজে বের করে শাস্তি দিতে শুরু করেছে। ইতোঃমধ্যে হ্যারিকে ধরার জন্য পুরষ্কার ঘোষনা করা হয়েছে। এই রকম দুঃসহ পরিস্থিতে হারকুক্স খোজা আত্নহত্যার সামিল। তারপরও তারা পরোয়া না করে হারকুক্সের সন্ধানে এগিয়ে চললো। অবশেষে তারা সফল হতে শুরু করলো। একে একে তারা হারকুক্সগুলো ধ্বংস করা শুরু করলো। এর সাথে সাথে আরও একটি জিনিষ হলো আর তা হলো হ্যারির সাথে ভোল্ডেমর্টের মাইন্ডের যোগাযোগ আরও বৃ্ধি পেল। হ্যারি এর ফল স্বরুপ তার কপালে প্রায় সময়ই তীব্র ব্যথা অনুভব করতে লাগলো। অন্যদিকে ভোল্ডেমর্টও বসে নেই, সেও তার লক্ষ্যে এগুচ্ছে। তবে তার লক্ষ্য মহা শক্তিশালী হওয়া যার জন্য দরকার জাদুর দণ্ড। তবে যে সে জাদুর দন্ড নয় সেটি কিংবদন্তির জাদু দন্ড ELDER WAND. হ্যারি,রন আর হারমিওন ধরা পড়ে গেল। তাদের মিয়ে যাওয়া হয় বেল্লাট্রিক্স, লুসিয়াস ম্যালফয় এর কাছে। সেখান থেকে তারা দাস ডব্বির সাহায্যে বেরিয়ে আসে। তারপরও কি তারা পারবে ভোল্ডেমর্টকে থামাতে?

মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিঙ্ক

পার্ট – ১

পার্ট – ২

পার্ট – ৩

পার্ট – ৪

পার্ট – ৫

পূর্বের কথামত সিরিজের শেষ মুভিটি মুক্তি পায় ১৩ই জুলাই,২০১১। মুভিটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ডেভিড ইয়াটাস। যথারীতি এই মুভিটিও Warner Bros এর ব্যানারেই মুক্তি পায়। আগেই বলা হয়েছে শেষ মুভিটি দুইটি পার্টে ভাগ করে মুক্তি দেয়া হলেও বাজেট একি সাথে প্রকাশ করা হয়। দুইটি ছবি মিলিয়ে মোট বাজেট ধরা হয় ২৫০মিলিওন মার্কিন ডলার। ছবিটি মুক্তির সাথে সাথে সারাবিশ্বের বক্স অফিসগুলোতে বড় ধরনের ঝড় উঠে। এই সিরিজের এর আগের যেকোন মুভির চেয়ে এটি বক্স অফিস অনেক বেশি আলোড়ন তোলে। যার ফলে মুভিটি রেকর্ড ব্রেকার মুভি হিসাবে পরিচিত হয়। মুভিটি সব মিলিয়ে আয় করে ১৩২৮ মিলিওন মার্কিন ডলার বা ১.৩ বিলিওন মার্কিন ডলার। যার ফলে মুভিটি ২০১১ সালের সবচেয়ে ব্যবস্যা সফল মুভি হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। একি কারনে এই সিরিজের সেরা মুভির খেতাবটিও এই মুভি লাভ করে। নবম ছবি হিসাবে স্থান করে নেয় ১ বিলিওন ডলার আয় করা মুভির এলিট ক্লাবে। আভাটার,টাইটানিক আর দ্যা এভেঞ্জারস এর পর এই মুভিটি চতুর্থ স্থান দখল করে সর্বকালের সেরা ব্যবস্যা সফল মুভির চার্টে। এত বিশাল আয়ের কারনেই মুভিটি ভেঙ্গে দেয় মুক্তির ১ম দিনে আয়ের রেকর্ড, ১ম সপ্তাহে আয়ের রেকর্ড, IMAX রেকর্ড, সবচেয়ে দ্রুত ৪০০ মিলিওন আয়ের রেকর্ড সহ অসংখ্য রেকর্ড। ১ম সপ্তাহে এর আয় দাঁড়ায় ৪৮৩ মিলিওন মার্কিন ডলার। IMAX এ মুভিটির আয় ২৩.২ মিলিওন মার্কিন ডলার। এছড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একযোগে মুক্তি দেয়ায় সেখানেও মুভিটি অসংখ্য রেকর্ড ভাঙ্গে। অস্ট্রেলিয়া, ইতালী, সুইডেন, ইংল্যান্ড, মেক্সিকো, ফ্রান্স, নরওয়ে, ডেনমার্ক, হংকং সহ প্রায় সব দেশে মুক্তির ১ম দিনের আয়ের রেকর্ড ভাঙ্গে ছবিটি। এছড়াও মুক্তির ১ম সপ্তাহে আয়ের রেকর্ড ভাঙ্গে ইংল্যান্ড, ভারত, নিউজিল্যান্ড, মেক্সিকো অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপের দেশগুলোতে। BAFTA সহ সিরিজের অন্যান্য মুভির মত এটিও অসংখ্য পুরষ্কার অর্জন করে।
hp8 **(মেগা পোস্ট)** হ্যারি পটার মুভি সিরিজ রিভিউ + সবগুলো মুভির BluRay প্রিন্ট মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিংক
মুভিটি শুরু হয় ঠিক আগের মুভিটি যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকেই। ভোল্ডেমর্ট জাদু দন্ড ELDER WAND খুজে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে স্নেপ হোগয়ার্টসের হেড মাস্টার হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছে। হ্যারি আর তার বন্ধুরা ডবলিনের সাহায্যে গ্রিংগটস ব্যংকে থাকা ভোল্ডেমর্টের আরেকটা হরকুক্স ধ্বংস করে। এভাবেই তারা এগুতে থাকে। অন্যদিকে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পরা ভোল্ডেমর্ট হোগয়ার্টস আক্রমনের সিধান্ত নেয়। হ্যারি আর তার বন্ধুরা খবরটি বুঝতে পেরেই হোগওয়ার্টসে হাজির হয়। ভোল্ডেমর্ট তার সব অনুসারী কে নিয়ে হোগওয়ার্টসের সামনে জড় হয়। আকাশে ছড়িয়ে দেয় তাদের ডার্ক সাইন। সমগ্র আকাশ ছেয়ে যায় তাদের কালো ডার্ক সাইনে। হ্যারি সহ ভালো জাদুকররা এক হয় হোগওয়ার্টসে। তারা জানে না কিভাবে ভোল্ডেমর্টকে মোকাবিলা করতে হবে, একমাত্র যার ক্ষমতা ছিল ভোলদেমর্টকে আতকে রাখার সেই ডাম্বোল্ডোরও মারা গেছে। এখন হ্যারি তাদের চোজেন ওয়ান। হ্যারিকে নিয়ে তারা মুখোমুখি হয় সর্বশেষ যুদ্ধের। হয় ভোল্ডেমর্ট মারা যাবে না হয় হ্যারিসহ বাকিরা মারা যাবে। অশুভ শক্তির কাছে কি হ্যারি আর তার বন্ধুরা হেরে যাবে??

মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিঙ্ক

পার্ট – ১

পার্ট – ২

পার্ট – ৩

পার্ট – ৪

মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ প্রফেশনাল প্লাস (ফুল) সাথে পোর্টেবল বাচ্চা অফিস ২০০৩ ফ্রী! :D


bismillahir Rahmanir Rahim0113 মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ প্রফেশনাল প্লাস (ফুল) সাথে পোর্টেবল বাচ্চা অফিস ২০০৩ ফ্রী! :D
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমি আজ আপনাদের মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ প্রফেশনাল প্লাস উপহার দিবো আর সাথে থাকছে পোর্টেবল বাচ্চা অফিস ২০০৩। এটি কিনতে গেলে দাম অনেক প্রায় ৬৯৯ ইউরো। আমি আপনাদের ফ্রীতে আজীবন ব্যাবহার করার ব্যাবস্থা করে দিবো ইনশাল্লাহ। এটি ইন্টারনেট থেকে নামানো একটু ঝামেলা কি সব আইডি বানাতে হয় তারপর ৬০ দিন এর ট্রায়াল নামাতে হয়। কিন্তু চিন্তার কোন কারন নেই আমি আপনাদের জন্য জাম্বু তে আপলোড করেছি। খুব সহজেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়াই।
014 মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ প্রফেশনাল প্লাস (ফুল) সাথে পোর্টেবল বাচ্চা অফিস ২০০৩ ফ্রী! :D

দেখে নিন এতে কি কি রয়েছেঃ-
- Microsoft Word 2010
- Microsoft Excel 2010
- Microsoft Outlook 2010
- Microsoft PowerPoint 2010
- Microsoft OneNote 2010
- Microsoft Access 2010
- Microsoft InfoPath 2010
- Microsoft Publisher 2010
- Microsoft Project 2010
- Microsoft SharePoint Designer 2010
- Microsoft SharePoint Workspace 2010
- Microsoft Visio 2010

আসুন দেখে নেই স্ক্রীনশটঃ-
screenshot মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ প্রফেশনাল প্লাস (ফুল) সাথে পোর্টেবল বাচ্চা অফিস ২০০৩ ফ্রী! :D
025 মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ প্রফেশনাল প্লাস (ফুল) সাথে পোর্টেবল বাচ্চা অফিস ২০০৩ ফ্রী! :D
সিস্টেম রিকুয়্যারমেন্টঃ-
032 মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ প্রফেশনাল প্লাস (ফুল) সাথে পোর্টেবল বাচ্চা অফিস ২০০৩ ফ্রী! :D
তাহলে ডাইরেক্ট ডাউনলোড করে নিন ঝামেলা ছাড়া জাম্বু থেকে। ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
অথবা
ঝামেলা করে ডাউনলোড করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন। এখানে ডাউনলোড করতে সাইন আপ করতে হবে।
অপারেটিং সিস্টেমঃ-
32 মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ প্রফেশনাল প্লাস (ফুল) সাথে পোর্টেবল বাচ্চা অফিস ২০০৩ ফ্রী! :D
সব ধরনের উইন্ডোজ ভার্সন ৩২বিট এবং ৬৪বিট এ ব্যাবহার করতে পারবেন।

এখন সারাজীবন এর জন্য অ্যাক্টিভ করবেন যেভাবেঃ-

এটা আসলে একটা toolkit! এর মাধ্যমে অ্যাক্টিভ করে নিতে পারবেন সারাজীবনের জন্য।
তার আগে সফটওয়্যারটি মিডিয়াফায়ার থেকে ডাউনলোড করে নিন এখানে ক্লিক করে।অথবা
জাম্বু থেকে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
অথবা
ড্রপবক্স থেকে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।

এভার তাহলে দেখে নিন কিভাবে অ্যাক্টিভ করবেনঃ-
►►► প্রথমে রার ফাইলটা extract করুন।
►►► এই কিট এর উপর মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে Run as administrator হিসেবে চালান।
042 মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ প্রফেশনাল প্লাস (ফুল) সাথে পোর্টেবল বাচ্চা অফিস ২০০৩ ফ্রী! :D
►►► এবার নিচের ছবিতে EZ-Activator লিখাতে ক্লিক করে অপেক্ষা করুন, কিছুক্ষণ কাজ হবে ও activate হয়ে যাবে।
052 মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ প্রফেশনাল প্লাস (ফুল) সাথে পোর্টেবল বাচ্চা অফিস ২০০৩ ফ্রী! :D

এভার মনের আনন্দে ব্যাবহার করুন অফিস ২০১০ সারাজীবন। icon biggrin মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ প্রফেশনাল প্লাস (ফুল) সাথে পোর্টেবল বাচ্চা অফিস ২০০৩ ফ্রী! :D
_______________________________________________________________________________________
_______________________________________________________________________________________

পোর্টেবল বাচ্চা অফিস ২০০৩… :P

062 মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ প্রফেশনাল প্লাস (ফুল) সাথে পোর্টেবল বাচ্চা অফিস ২০০৩ ফ্রী! :D
আপনাদের বলছিলাম অফিস ২০০৩ ও সাথে দিবো। যারা ব্যাবহার করতে চান ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে।
মিডিয়াফায়ার থেকে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
অথবা
জাম্বু থেকে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।

অপারেটিং সিস্টেমঃ-
32 মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ প্রফেশনাল প্লাস (ফুল) সাথে পোর্টেবল বাচ্চা অফিস ২০০৩ ফ্রী! :D
সব ধরনের উইন্ডোজ ভার্সন ৩২বিট এবং ৬৪বিট এ ব্যাবহার করতে পারবেন।


jumbo থেকে ফাইল ডাউনলোড করতে নিচের স্টেপগুলো ফলো করেনঃ-
১. Free download এ ক্লিক করেন।
২. “Download File” লিখার উপর ক্লিক করেন।
৩. Here is your personal resumable direct download link: এর নিচে আপনার ফাইল আসবে যা ডাউনলোড করতে চান, তার উপর ক্লিক করেন।
৪. start download এ ক্লিক করেন।
আপনার ডাউনলোড শুরু হবে।


আজ এ পর্যন্তই। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ইনশাল্লাহ। আমার জন্য দুয়া করবেন।
আল্লাহ হাফেজ। icon smile মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ প্রফেশনাল প্লাস (ফুল) সাথে পোর্টেবল বাচ্চা অফিস ২০০৩ ফ্রী! :D

COUNTER W