Monday, February 6, 2012

Paid To Click,Bangladesh. - No Need To Pay,Just Earn !

কোন ইনভেস্ট লাগবেনা। নতুন সাইট টি রিলিজ হয়েছে।কিন্তু রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ ফ্রি । কোন ইনভেস্ট লাগবেনা । তারা এটিকে আক্ষায়িত করেছে বেস্ট ডিল হিসেবে।তাদের দাবি এটি আপনার পিটিসি সম্পরকে সব ধারনা পুরা পালটে দিবে। তবে অনান্য পিটিসি সাইট থেকে এটি ভিন্ন।

  • কারন এটি সম্পূর্ণ ফ্রি বাংলাদেশি একটি পিটিসি সাইট।এই Site এর মাধ্যমে আপনি কোন বিনিয়োগ ছাড়াই আয় করতে পারবেন।

    এখন এই Site এ ptc কাজ করে আয় করা যায়।সাইটটিতে রেজিস্ট্রেশন করতে হলে এখানে ক্লিক করুন:
    http://www.ptcforbd.com/?ref=hafizprl

বিয়ের আগে চুমু

অন্ধকারাচ্ছন্ন জ্যোতির্ময়

সে পর পর দু'টো সিগারেট খেয়ে নিঃশেষ করল দ্রুত।

সিগারেটকে অসময়ের সঙ্গী বলা হয়, ফুসফুস ক্যান্সারের কারণও বলা হয়। এই মূহুর্তে তার সময় বলে কিছু নেই, ফুসফুস বলে একটা কিছু সম্ভবত আছে, হয়তো কাজও করছে, কিন্তু কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে তার হৃদপিন্ড; ভবিষ্যৎটুকু হারিয়ে ফেলেছে তার আজন্ম অন্ধকারাচ্ছন্ন বেঁচে থাকার বাসনা, সামান্য যে আলোর আশাটুকুর জন্য সে গত আট বছর ধরে বেঁচে ছিল, হঠাৎই ভীষণ ম্রিয়মাণ হয়ে এসেছে সেই আলোকছটাটুকু, অন্ধকারেই পতিত হয়েছে আবার সবকিছু, ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে তার যাপিত জীবন। এখন ফুসফুস ক্যান্সার হোক, বা ব্লাড ক্যান্সার হোক, খুব বেশি কিছু এসে যায় না তাতে তার আর, জীবনকে বড় তাচ্ছিল্য করতে শিখেছে সে গত আট বছর ধরে, এটার চেয়ে মূল্যহীন তার কাছে এখন আর কিছু নেই। এই আট বছর তার জীবনের অন্ধকার সময়, এখনো আলো নেই, সে জানে কখনো আলো আসবে না, তবু নিজেকে জ্যোতির্ময় ভাবতে তার ভাল লাগে, সে জানে সে জ্যেতির্ময়, এই পৃথিবীর খুব অল্প ক'জন সৌভাগ্যবান জ্যোতির্ময়গণের সে একজন। তবু তার জীবন অন্ধকারাচ্ছন্ন কেন সবসময়? আসুন না, কিছুক্ষণের জন্য একজন অন্ধকারাচ্ছন্ন জ্যোতির্ময়ের তীব্র অনুভূতিশীল মূহুর্তগুলোতে ঘুরে আসি, দেখে আসি আঁধারের স্বরূপ। এ গল্প আমরা শুনব তার মুখ থেকেই।

আমার শৈশব সুখকর ছিল না, আমার শৈশব ছিল নিরানন্দ একরাশ কুয়াশাচ্ছন্ন মূহুর্তের সমষ্টি, পুরোনো ঢাকার স্যাঁতস্যাঁতে এক গলির আরো স্যাঁতস্যাঁতে এক একচালা ঘরে কেটেছে আমার ব্যর্থ বিষণ্ন শৈশব। আমার দরিদ্র বাবার অনেক ক'টি সন্তান ছিল, আমি ছিলাম তাঁর সপ্তম এবং সর্বশেষ সন্তান। ছয় ভাই এক বোনের সে বিশাল সংসার চালাতে গিয়ে আমার বাবার নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছিল, আমার আগমণ তাই তাঁর পরিবারে, অথবা এই পৃথিবীর কাছে খুব একটা গুরুত্ব বহন করেনি কখনো। আমাদের সেই একচালা ঘরে পাঁচটা খুপরির মতো কামরা ছিল, ছিল না বলার মতো কোন আসবাব, বহু বছর আমরা শিখিনি wardrobe কী জিনিস, ফ্রিজ বা টেলিভিশন কী জিনিস, বা টেলিফোন কী জিনিস।
আমার বাবার কার্ডে 'যোগাযোগ' এর জায়গায় লেখা ছিল 'দূরালাপনী', এবং সেখানে আমাদের এক আত্নীয়ের টেলিফোন নাম্বার দেয়া ছিল। ফোন এলে সেই আত্নীয়ের বাসা থেকে বিরক্ত মুখে কেউ একজন পনের মিনিট পরে করতে বলে আমাদের বাসায় এসে খবর দিলে বাবা ঘামতে ঘামতে পাঞ্জাবী গায়ে দিয়ে ছুটে যেতেন সেই ফোন কল ধরার জন্যে। আমাদের জন্য ব্যাপারটা কম আনন্দের ছিল না, কারণ, ঐ আত্নীয়ের বাসায় বাবা শুধু ফোন ধরতেই যেতেন না, সেখানে তিনি অনেক্ষণ ধরে টেলিভিশন দেখতেন, আর গল্পগুজব করতেন। আমাদের সবচেয়ে ছোট তিন ভাইবোনের তখন মহোৎসব শুরু হত, পড়ার বইগুলোকে তখন উল্টে রেখে অনাকাঙ্খিত ও অপ্রত্যাশিত প্রাপ্ত সময়ের সদ্ব্যাবহারে কার্পণ্য করতাম না আমরা।

আমার বাবা সরকারি চাকুরে ছিলেন, আমার জন্মের বেশ আগে থেকেই তিনি বড় ধরণের ঝামেলায় জড়িয়ে চাকরি ছেড়ে ব্যবসা ধরেন এবং তাঁর জীবদ্দশায় তাঁকে সেই ব্যবসায় লাভের মুখ না দেখেই থাকতে হয়। তাঁর ছোট্ট করে ছাপানো একটা visiting card ছিল, সেই কার্ড খুব বেশি মানুষকে তিনি দিতে পারেন নি, আসলে দেয়ার প্রয়োজনই পরেনি; তিনি কয়েকটি কাঠপেন্সিল রঙের বাক্সে বন্দী করে রাখেন সেই কার্ড। প্রথম যখন আমি পড়তে শিখি, তখন সেই কার্ডগুলো আমার খেলার সাথী হয়। বাবার ছাপানো জিনিসের প্রতি একটা মোহ ছিল, কার্ড ছাড়াও, অপ্রয়োজনেই, তিনি তাঁর একটি business pad ছাপিয়েছিলেন, সেই কাগজগুলো সাধারণ কাগজের চেয়ে মোটা ছিল; মা উৎসবের দিনগুলোতে কেক চাপাতেন চুলোয়, অব্যবহৃত সেই প্যাডের কাগজগুলো দিয়ে দেয়া হতো কিনার দিয়ে, যেন লেগে না যায়। ছাপানো অক্ষরে বাবার নাম পড়তে তখন আমার বেশ লাগত, মনে হত আমার বাবা অনেক বড় কেউ, যাঁদের ছবি এবং নাম ছাপানো অক্ষরে খবরের কাগজে আসে।

আমাদের খুপরির মতো পাঁচটি ঘরের একটিতে থাকতেন মা-বাবা, একটিতে আমার বোন, একটিতে আমরা ছোট দুই ভাই, আর একটিতে আমাদের বড় দুই ভাই; আর একটি ছিল আমাদের 'অফিস ঘর'। আমরা সেখানে সন্ধ্যে মিলানোর পর পড়তে বসতাম, বাবার কাছে লোকজন এলে সেখানে বসতে দেয়া হতো, আর এখনকার 'ড্রয়িং-রুম' বলতে আমরা যা বুঝি, শ্রীহীন সেই অফিস ঘরটি সেইসব কাজেই ব্যবহৃত হতো। সেখানে কোন সোফাসেট ছিল না, ছিল শুধু একটি পা-ভাঙা টেবিল আর কয়েকটি কাঠের চেয়ার। আমাদের বাড়িতে কোন সুদৃশ্য সোফাসেট ছিল না, ছিল না বলার মতো কোন আসবাব-পত্র; আমাদের আসবাব ছিল পুরোনো কিছু চকি, একটা ভেঙে যাওয়া বক্স-খাট, কয়েকটা চেয়ার, একটি বইয়ের আলমারি, একটি কাগজপত্র রাখার আলমারি আর কয়েকটি বুক-শেলফ। আমাদের ছোট্ট এক চিলতে একটি উঠোন ছিল, সেখানে সগর্বে মাথা উঁচু করে ছিল একটি নারকেল গাছ। প্রায়ই এক বৃদ্ধ এসে সেখান থেকে নারকেল পেড়ে দিত, মা তখন সেগুলো কুড়ে দিতেন, আমরা ছোট তিন ভাই বোন সেগুলো মুড়ি দিয়ে চামচে করে খেতাম।

আমার সবচয়ে বড় ভাই তখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেন, চট্টগ্রাম বিআইটিতে, মেজভাই পড়তেন তাঁর দুই ক্লাশ নিচে, রাজশাহী বিআইটিতে। আমার বাবা তাঁদের দুজনের পড়াশোনার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন এক অর্থে, আর তাঁদের পরের ভাইদের জন্য যে বাবার মমতা ছিল না এমনটা না হলেও, তিনি কিছুটা অপারগতাই প্রকাশ করতেন। আমার মা পুরোনো ঢাকার এক বালিকা স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন, আমার বোন তাঁর স্কুলেই পড়াশোনা করত। নিদারুণ অর্থ কষ্টের জন্য বাবা-মা কোনদিন আমাদের নিয়ে যাননি শিশুপার্কে বা মেলায়, কিনে দিতে পারেননি শিশুতোষ অনেক কিছু, যেগুলোর দুঃখ এ জীবনে কোনদিন হয়তো ভুলতে পারব না। মনে আছে, একদিন পাশের বাসার একটা ছেলেকে বাটিতে করে দই দিয়ে মুড়ি খেতে দেখে খুব সখ হয়েছিল দই-মুড়ি খাওয়ার; এই দাবীতে কান্না জুড়ে দেয়ার পর অনেক্ষণ বাবা-মাকে দেখেছিলাম দুঃখ দুঃখ মুখ করে সেই কান্না সহ্য করার, তারপর এসে আমার গালে ঠাস করে একটা চড় মেরে চুপ করিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। মা বলছিলেন- দুই টাকার দই আনলেই তো হয়, একটু নিয়ে এসো না, বাচ্চাটা কতক্ষণ ধরে কাঁদছে! বাবা বলছিলেন- আজকে চাল, তেল, নুন আর ডাল সিরাজের দোকান থেকে বাকি এনেছি, নয়শ টাকা বাকি পড়েছে, সিরাজ কাল থেকে আর বাকি দিবে না বলে দিয়েছে, আর আমার ছেলে রাজপুত্র হয়েছে? দই খেতে সখ করেছে তার? লাথি দিয়ে পেট গালিয়ে দেয়া দরকার, তাহলে আর দই খেতে ইচ্ছে করবে না।
আমার স্মৃতিশক্তি ভালো ছিল, বাবার সেদিনের যন্ত্রণা মিশ্রিত রাগত কন্ঠস্বর আমি গত বাইশ বছরে ভুলিনি, আরো দু'হাজার বছরেও হয়তো কখনো ভুলব না।

আমাদের সংসার কাটতো অনেকটা ঠেলাগাড়ির চাকার মতো, একটু ধাক্কা দিলে বা একটু টান দিলে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত ভার নিয়েও যেমন ঠেলাগাড়ি তার চালকদের পেটের দিকে তাকিয়ে দয়া পরবশ হয়ে সামান্য নড়ে ওঠে, আমাদের সংসারটাও বাবার কোনদিন আনা টাকায় এবং কোনদিন না আনা টাকায় একটু একটু করে চলত। কেমন করে মাস যেত আমার ধারণার বাইরে ছিল সেটা, শুধু মনে পড়ে, গভীর রাতে আমার বোনের পাশে শুয়ে থাকতাম, সিনড্রেলার গল্প বলতে বলতে যখন আমার গল্পকথক মমতাময়ী বোনই গভীর ঘুমে তলিয়ে যেত, আমি তখন প্রায়ই জায়নামাজে বসে বাবার অশ্রুভেজা কন্ঠের প্রার্থনা শুনতে পেতাম। সৃষ্টিকর্তাই নাকি সন্তান দেন, অথচ কেন সেই সন্তানদের ভরণ পোষণ করার ক্ষমতা দেন না, এই নিয়ে বাবার আক্ষেপ শুনতে শুনতে ঘুমুতাম, খুব ভোরে একই প্রার্থনা শুনে ঘুম ভাঙত, বাবা তখন ফজরের নামাজে বসতেন।

খুব বেশিদিন এভাবে কাটল না বাবার, আমার বড় ভাই চট্টগ্রাম বিআইটি থেকে পাশ করে বেরুলেন, বড় চাকরি নিলেন। আমার বয়স ততদিনে সাত বছর পেরিয়েছে, স্কুলে ক্লাস ফোরে পড়তাম, আমার মা আমাকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, আমাকে নাকি কোরানে হাফেজ হতে হবে। মাদ্রাসায় ঠিক নিজের ইচ্ছেয় আমি যাইনি, তবে অমতও করিনি বাবা-মার, স্কুলের বেতন বাকি পড়েছিল প্রায় এক বছরের, এমনিতেও হয়তো আর যেতে পারতাম না স্কুলে। মাদ্রাসায় প্রথম দিন খুব বিচিত্র লেগেছিল, স্কুলের মতো অনেকগুলো বই সেখানে নেই, একটাই কায়দা, সেটা পাশ করলে একটাই আমপারা, সেটা পাশ করলে একটাই কোরান শরীফ, প্রথমে নজরানা, তারপর হিফজ। ধীরে ধীরে মানিয়ে নেই আমি সেই পরিবেশের সাথে, আস্তে আস্তে ভালো লাগতে থাকে গৃহত্যাগী হোস্টেল জীবন, প্রচন্ড শীতের গভীর রাতে উঠে অজু করতে যেতে ভালো লাগতে শুরু করে; খুব কাছে বাসা থাকলেও একসময় ধীরে ধীরে কমিয়ে দেই আমি বাসায় ফেরা, একটা সময় আসে যখন বাসার সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ আমি বিচ্ছিন্ন করি। সারাদিন মাদ্রাসায় থাকতাম, মন দিয়ে পড়াশোনা করতাম, দ্রুত কায়দা-আমপারা-নজরানা শেষ করে হিফজ ক্লাসে উঠে পড়লাম। মাদ্রাসায় সবচেয়ে খারাপ লাগা ছিল একটাই, বাসার মতো কয়েকটা শেলফ আর একটা আলমারি ভর্তি প্রচুর বই সেখানে নেই, খুব ছোট থাকতেই যেই বইগুলোর সাথে আমার আমৃত্যু বন্ধন সৃষ্টি হয়েছিল।

বই পড়ার সুযোগ ছিল না, কিন্তু ক্রিকেট খেলার সুযোগ ছিল বিকেলে, ক্রিকেট তখন আমার একমাত্র ধ্যানজ্ঞান হয়ে ওঠে। শচীন টেন্ডুলকার বা ব্রায়ান লারা বা স্টিভ ওয়াহ হয়ে ওঠে আমার স্বপ্নের নায়ক, কখনো কখনো মার্ক বাউচার বা ইয়ান হিলি হয়ে আমি উইকেট কিপিং করতে শুরু করি বিকেলগুলোতে। বাসার সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি তখন, প্রায়ই মাদ্রাসা ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে যাই, মাদ্রাসায় ফিরে এসে প্রচন্ড মার খাই, পুরো পিঠে দগদগে ঘা নিয়ে তিনতলার চিলেকোঠায় পাঞ্জাবী খুলে বসে থাকি, অন্ধকারে মশার ঝাঁক এসে ঐ আহত পিঠ থেকে রক্ত শুষে নেয়, কিছু বলি না, অন্ধকারে চুপচাপ আকাশের লক্ষ লক্ষ তারার দিকে তাকিয়ে কখনো ভাবি, তবু যদি বাবা-মা সুখে থাকেন তো ভাল। সেই ঘা শুকোতে না শুকোতেই তেল চিকচিকে বেতের প্রচন্ড আঘাত আবারো আমাকে আহত করে দেয়, আমার ছোট্ট পাঞ্জাবীগুলোর পেছনের দিকগুলোতে লেগে থাকতে শুরু করে চাপ চাপ রক্ত, আমার ছোট্ট হাতে ঐ পাঞ্জাবী ধুয়ে সেই রক্তের কালচে দাগ মুছে ফেলা অসম্ভব হয়ে ওঠে আমার জন্য।

মাদ্রাসায় পড়াটা আমার জন্য তখন যথেষ্ট আনন্দময় হলেও, কিছুটা বড় হয়ে বুঝতে শুরু করি মানুষের তাচ্ছিল্য বা অবজ্ঞাটুকু আমাদের প্রতি। আমাদের বয়েসী সবাই ক্রিকেট খেলুক, কাদা ছিটিয়ে ফুটবল খেলুক, তাতে বাধা নেই; আমরা খেললেই পৃথিবী জুড়ে শুনতে পেতাম ভয়ঙ্কর অবজ্ঞা- 'হ্যাঁহ! মাদ্রাসায় পইরা হুজুর হইতাসে, আবার খেলতে আসে!' অবধারিত ভাবে প্রতিদিন বিচার যেত মাদ্রাসার হুজুরদের কাছে, এবং প্রতি সন্ধ্যাতেই হুজুররা আমাদের নিয়ে বসতেন, অতি ভাগ্যবান কেউ কেউ মিথ্যে বলে বেঁচে যেত, আমি মিথ্যে বলতে পারতাম না, তাই আমাকে স্বীকার করতে হত যে আমি খেলতে গিয়েছিলাম, এবং 'শয়তানের কাজ' করার জন্য শাস্তি পেতে হত। শাস্তির প্রকারভেদ ছিল, একটা ছোট্ট নমুনা দেই- সুলেমান ভাই(মাদ্রাসার বাবুর্চি কাম খেদমতগার) আমার পাজামা-পাঞ্জাবী খুলে দিয়ে নগ্ন করে নিতেন, হাতে সামান্য পানি নিয়ে আমার ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত শরীরের পেছন দিকটাতে সরিষার তেল লাগিয়ে দিতেন। এরপর দু'জন ভীষণ শক্তিশালী স্বাস্থ্যবান হুজুর আমার দু'হাত এবং দু'পা গামছা দিয়ে শক্ত করে বেঁধে নিতেন, করজোড়ে বাঁধা হাতের গামছার একপ্রান্ত বাঁধা হত বড় হুজুরের ঘরের এক দিকের পিলারে, দু'পা একত্রে বেঁধে রাখা গামছার একপ্রান্ত বাঁধা হত আরেকটা পিলারে। আমার মুখ-বুক-পেট নিচের দিকে থাকত, শূণ্যে ভেসে থাকতাম আমি। হুজুর দু'জন তখন হাতে দুটো সরু বেত নিতেন, পাঞ্জাবীর হাতা গুটিয়ে দুজন আমার দু'পাশে দাঁড়িয়ে সপাং সপাং করে বাড়ি দিতেন, আমার চিৎকার করে মুখে রক্ত ফেনা তুলে ফেলা ছাড়া অন্য কোন কিছু করার থাকত না। শাস্তি গুরুতর হলে আধাঘন্টা চলত এই অত্যাচার, মাঝারি হলে পনের মিনিট, এবং ছোট শাস্তি হলে পাঁচ থেকে দশ মিনিট। প্রায় অচেতন অবস্থায় সুলেমান ভাই আমাকে নামিয়ে নিয়ে যেতেন, জামা কাপড় পড়িয়ে গুদাম ঘরে ফেলে রাখতেন, নিজ থেকে সুস্থ হয়ে মূল ভবনে আসার আগ পর্যন্ত খাবার দাবার দেয়া হত না।

এই শাস্তি শুধু আমাকেই না, আমাদের মাদ্রাসায় পড়া অনেককেই ভোগ করতে হয়েছে। শুধু ভোগ করতে হতো না তাদের, যাদের বাবা বা অভিভাবকগণ মাদ্রাসায় অনুদান পাঠাতেন। কত কিছুর জন্যেই শাস্তি পেতে হত, কখনো 'সবক' তৈরী না করার জন্যে, কখনো 'সাত-সবক' এর জন্য সময় মতো লাইন না দেয়ার জন্যে, কখনো 'আমুখতা' 'ইয়াদ' না করে আসার জন্যে, কখনো চার আলিফ টান কে এক আলিফ পরিমাণ টানার জন্যে- মাদ্রাসাটা ছিল আমার কাছে একটা torturing cell এর মতো। আর এছাড়া, খবরের কাগজ পড়তে যাওয়া, দেরী করে ঘুমানো, বিকেলে মাঠে খেলতে যাওয়া, বাথরুমে পাঁচ মিনিটের বেশি থাকা, পড়তে বসে ঝিমানো, টুপি ছাড়া হাঁটা, রাস্তার পাশের দোকানে টিভিতে খেলা দেখতে যাওয়া- অপরাধের শেষ ছিল না, সেখানে সবকিছুকে ভয় পেতে শিখেছিলাম আমি খুব ভালো করে। মানুষের সাথে কথা বলতে ভয় পেতাম, কোথাও যেতে ভয় পেতাম, কিছু খেতে ভয় পেতাম, কোন কিছু করতে ভয় পেতাম; সবসময় একটা তীব্র ভয়, একটা জঘন্য আতঙ্ক আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখত, একটা পা ফেলার আগেই মনে পড়তো আমার তৈলাক্ত নগ্ন পৃষ্ঠদেশে অবিরাম অসহ্য যন্ত্রণাময় নির্মম আঘাত; মনে পড়তো কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করতে করতে মুখ দিয়ে রক্ত মিশ্রিত ফেনা বের করে ফেলা অপরাবাস্তব পৈশাচিক মূহুর্তগুলো, এই সময়টাতেই আমি পরিণত হয়ে উঠি অনেক বেশি, আমার বয়েসি যে কারো চেয়ে আমি অনেক ধীর স্থির হয়ে উঠি, অনেক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে শিখি, অনেক ঋদ্ধ হয়ে উঠি, অনেক বেশি বুঝে ফেলি জীবনটাকে।

আমার বাসায় এদিকে দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়ে যায়, দীর্ঘ আট বছরে বদলে যায় অনেক কিছুই, আমার বাবার ব্যবসার অবস্থা পরিবর্তিত হয়, আমাদের বাসায় টেলিফোন কেনা হয়, ফ্রিজ কেনা হয়, ডিপ ফ্রিজ কেনা হয়, সোফাসেট কেনা হয়, wardrobe কী সেটা চিনতে পারি, আমাদের সেই একতলা অন্ধকারাচ্ছন্ন স্যাঁতস্যাঁতে খুপরির মতো ঘরগুলো ভেঙে সেখানে মোটামুটি রকম একটা তিনতলা বাড়ি দাঁড়া করানো হয়। আমার বড় তিন ভাই ততদিনে বিয়ে করেন, বড় ভাই চলে যান দেশের বাইরে, মোটামুটি সেখানেই তিনি স্থায়ী হয়ে যান; ক্যালিফোর্নিয়া থেকে তিনি বাবা-মাকে ঘুরতে যাওয়ার জন্যে আমন্ত্রণ জানান, প্লেনের টিকেট থাকে সেই আমন্ত্রণ পত্রের সাথে। একদিন বাসায় বসে শুনি, আমার বাবা আমার খালাকে টেলিফোন করে সুখী মানুষের কন্ঠে বলছেন- আপা, আমার সুখের দিন শুরু হল।

না, বাবার সুখের দিন শুরু হয়নি তখনো। ক্যালিফোর্নিয়া বেড়াতে যাওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ আগে গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহের এক মধ্যদুপুরে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তাঁর দু'টি কিডনিই, হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি আমার ভাইকে এম্বুলেন্সেই বলে উঠেন- 'আমি তো বাঁচব না, শেষ কয়েকটা ঘন্টা বাসায় থেকে যাই, আমাকে বাসায় নিয়ে যা। হাসপাতালে যাব না রে।' আমাকে মাদ্রাসা থেকে খবর দিয়ে আনা হয়, এ ধরণের ক্ষেত্রে মানুষকে সান্তনা দেয়ার কথা, কিন্তু বাঙালির কপটতা অসীম, আমি মাদ্রাসার তালেবুল এলেম, 'বাবা' বলে কিছু আমার থাকতে নেই; আমাকে সূরা-ইয়াসিন পড়তে বলা হয় বাবার কানের কাছে। আমার চিৎকার করে তখন বলতে ইচ্ছে করছিল- একটা মানুষ মারা যাচ্ছে, তাঁর কানের কাছে বসে সূরা-ইয়াসিন পড়ে তাকে কি এটা মনে করিয়ে দেয়া খুব দরকার যে তোমার সময় শেষ হয়ে এসেছে? তোমাদের ভেতর যে কেউ তো এই মূহুর্তে আমার বাবার আগে মারা যেতে পার বিনা নোটিশে, তোমার কানের কাছে কি কেউ এটা মনে করিয়ে দিচ্ছে? যদি দিত, তাহলে তোমার কেমন বোধ হত? ফাঁসির আসামীকেই মৃত্যুর আগে থেকে তওবা করিয়ে মৃত্যুর জন্য ধীরে ধীরে প্রস্তুত করা হয়, আমার বাবা তো ফাঁসির আসামী না, কেন তাকে এভাবে আমি মনে করিয়ে দিব মৃত্যুর কথা?

বাঙালি ধর্মান্ধ জাতি, এদের ধর্মবোধ বিচিত্র, তাই উপস্থিত সুধীজন কেউকেই নিরাশ করলাম না আমি, বাবার প্রতি আমার যতটুকু আবেগ ছিল ততটুকুকে মুছে ফেলে জোরে জোরে সূরা-ইয়াসিন পাঠ করে গেলাম। বাবা একবার চোখ খুলে খুব ব্যাকুল দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন, দীর্ঘ একটা মূহুর্ত আমরা পিতা-পুত্র অপলক ছিলাম একে অন্যের দিকে। সেই দৃষ্টিতে কি বাবার আমাকে বহু বছর আগের কোন সন্ধ্যায় দই কিনে না খাওয়াতে পারার আক্ষেপ ছিল, নাকি আমার জন্য কোন উপদেশ ছিল, নাকি শুধুমাত্র বাঁচার আকাঙ্খা ছিল সেটা আমি বুঝতে পারিনি, একটু চুপ করে আসলেই কানের কাছে কোন এক ধর্মান্ধ কপট চেঁচিয়ে উঠছিল, 'আরে বাবা! জোরে পড় না সূরাটা। বাপ মরণের সময় একটু সূরা শুনার লাইগ্যাই তো তোমারে কোরানে হাফেজ বানাইসে।' প্রচন্ড রাগে দাঁত কিড়বিড় করে উঠলেও কিছু বলি নি শুধু ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়া ঐ ধর্মান্ধটাকে, আমার বলার সময় তখনো আসেনি।

রাত ন'টা পনের মিনিটে বাবা 'বাতাস! বাতাস!' বলে চিৎকার করতে করতে চোখ উল্টে কাত হয়ে পড়েন, আমি তখন বাবার হাত ধরে বসে ছিলাম, অনেক্ষণ আমি নিশ্চুপ বসেই ছিলাম, আসে পাশেই কোথাও আমার মায়ের তীব্র আর্তনাদ আমার কানে আসছিল না, আমার কান্নাও পাচ্ছিল না, মাদ্রাসার নিষ্ঠুর নির্যাতন আমাকেও সম্ভবত অনুভূতিহীন করে ফেলেছিল দিনের পর দিন; ধীরে ধীরে শীতল হয়ে আসছিল বাবার হাত, নিঃসার হয়ে আসছিল। আমাকে কেউ বলে দেয়নি কোনদিন, তবু কেন যেন মনে হচ্ছিল জন্মের পর এই হাতটা আমাকে পরম মমতায় বুকে জড়িয়ে নিয়েছিল, আহারে, কোনদিন আর এই হাতের মমতামাখা স্পর্শ আমার জন্য থাকবে না। আমার বয়স তখন প্রায় ষোল বছর।

বাবার জানাজার নামাজ পড়াই আমি, বিচিত্র, অবর্ণনীয় একটা অনুভূতি হচ্ছিল তখন আমার। প্রচন্ড রোদের মাঝে বাবাকে কবর দিয়ে আসি, খুব একটা দুঃখ আমি পাইনি, তবে সেই বিচিত্র অনুভূতিটার আমি একটা নাম খুঁজে পাই- প্রতিজ্ঞা, যেটা আমার ষোল বছরের জীবনে আগে কখনো বোধ করিনি। আমি দ্রুত একটা অখ্যাত স্কুলের দারোয়ানকে চা-সিগারেট খাওয়ার টাকা দিয়ে একটা ক্লাস এইটের TC জোগাড় করি, এবং আরেকটা অখ্যাত স্কুলে ভর্তি হই ক্লাস নাইনের বিজ্ঞান বিভাগে। আমার মাদ্রাসার জীবন তখনো শেষ হয়নি, কোনভাবে মুচলেকা টুচলেকা দিয়ে ক্লাস টেনে ঊত্তীর্ণ হয়ে যাই স্কুলে, এদিকে শেষ করি বহু আনন্দ বেদনার দীর্ঘ মাদ্রাসা জীবন।

প্রথমদিন স্কুলে যাই যেদিন দশম শ্রেণীর প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয় সেদিন। মাত্র হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে আসা একটি ছেলের জন্য অনেকটা স্বপ্নের মতো ছিল বিষয়টা, যে দীর্ঘ দিনের অব্যবহারে ভুলে গিয়েছিল কোনটা b আর কোনটা d, যার বিদ্যের দৌড় বলতে ক্লাস ফোর। প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় সর্বমোট ১১ নাম্বার পেলাম, এর মাঝে ইসলাম শিক্ষায় ১০ আর বাংলায় ১; বাকিগুলোতে ০০। স্কুল কর্তৃপক্ষ ডেকে বলে দিল, প্রি-টেস্ট পরীক্ষাতে পাশ না করলে আবারো ক্লাস নাইনে ফেরত যেতে হবে। সামনে তখন একটাই পথ খোলা ছিল আমার, দীর্ঘ আট বছরের মুখস্ত বিদ্যার পথ, যাবতীয় গাইড বই প্রশ্নোত্তর সহ মুখস্থ করে ফেললাম, ইংরেজি যেসব শব্দের উচ্চারণ করতে জানি না, সেগুলোর বানান সহ মুখস্থ করে ফেললাম। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, সমাজ...রাত দিন আমি পরিশ্রম করতাম, আমার ধারণা ছিল সবাই বুঝে পড়ে, শুধু আমিই মুখস্থ করি, তাই আমাকে যে কোন মূল্যে এই মুখস্থ বিদ্যা কাজে লাগাতে হবে। বিচিত্র বিষয় হচ্ছে, সেই দিনগুলো থেকে অনেকদিন পর আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আসলে সবাই মুখস্থই করে, এই দেশের পাবলিক পরীক্ষা মানেই হচ্ছে মুখস্থ করার ক্ষমতা যাচাইয়ের পরীক্ষা, মেধা যাচাইয়ের পরীক্ষা নয়, এই দেশে 'মেধাবী' বলতে যা বোঝান হয় সেটার অর্থ মূলত 'তথ্য ধারণকারী', তথ্য প্রয়োগকারী নয়।

প্রচন্ড উৎকণ্ঠা নিয়ে পরীক্ষা দিলেও ভালভাবেই পাশ করে যাই মাধ্যমিকের গন্ডি, উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হই অখ্যাত একটি কলেজে। একটা জেদ ছিল নিজের ভেতর, কিছু একটা করতে হবে, তাই মাধ্যমিকের পর একটি ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবে যেতাম নিয়মিত, সেখানে ধীরে ধীরে চর্চা করতে করতে একটা সময়, উচ্চ মাধ্যমিকের পাট শুরু হওয়ার আগেই, দেখি আমি ইংরেজি বলতে পারি, শুধু পারি না, বেশ ভাল ভাবে পারি, অন্য সবার চেয়ে অনেক দ্রুত, এবং অনেক বিশুদ্ধ উচ্চারণে। তাই উচ্চ মাধ্যমিকে আমার ইংরেজি বিষয়ক চিন্তা ছিল না বললেই হয়, কারণ, ঐ ক্লাবে আমি শুধু ইংরেজি যে বলতাম শুধু তাই-ই না, আমি ইংরেজি ব্যকরণের যতগুলো বই বাজারে পাওয়া যেত সবগুলো খুব ভাল ভাবে আত্নস্থ করেছিলাম। সেটা আমার ভেতর একটা আত্নবিশ্বাস যুগিয়েছিল- আমি পারি। চেষ্টা করলে আমি পারি। চেষ্টা করলে সবাই পারে।

সকল মাইক্রোসফট এর প্রোডাক্ট যেমন এক্সেল, ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট, ভিস্তা, উইন্ডোজ 7 এর shorcut key এর ২টি বই

সবাইকে আমার সালাম।আশা করছি সবাই ভাল আছেন।
সকল মাইক্রোসফট এর প্রোডাক্ট যেমন এক্সেল, ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট, ভিস্তা, উইন্ডোজ 7 এরকম আরও অনেক।
আর ব্রাউজার এর মধ্যে আছে মোজিলা, গুগল ক্রম, সাফারি, আরও অনেক।
তাহলে আর দেরি না করে ডাউনলোড করে নিন
বই গুলোর লিঙ্ক নিচে দিয়ে দিলাম।
ভাল লাগলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কোন ভুল হলে আমাকে মাফ করে দিবেন…
All Microsoft Product Short cut Key
http://www.mediafire.com/download.php?0qnafjaph2ypdin
All Browser short cut Key
http://www.mediafire.com/download.php?f19dmmxj7twcbmm
Folder Option Disable হলে Enable করার জন্য ১টি ফাইল….
http://www.mediafire.com/download.php?csoaq3odd2hmj14

বিদায় | টুলবক্স ইংরেজি গ্রামার(বিসিএস ,বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ও যে কোন চাকরির পরীক্ষা) শিখার জন্য কিছু বাংলা ই-বুক(আশা করি সবার কাজে লাগবে)

ইংরেজি হল একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। আমরা দৈনন্দিন জীবনে দু’একটা ইংরেজি বলেই থাকি। অনেকে আবার একে বাংলা ভাষার চেয়ে অধিক গুরুত্ব দেন। সে যাই হোক, কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে জীবনের নানা পর্যায়ে ইংরেজি নামক অধ্যায়ের কিন্তু গুরুত্ব অপরিসীম। আজকাল ভাল ভাল চাকরির জন্য ইংরেজিতে চটপটা হওয়া অপরিহার্য। কিন্তু আমরা কজনই বা পারি সাবলীল ভাবে ইংলিশ বলতে বা লিখতে।ইংলিশ বলার সময়  কিন্তু খুব একটা ভুল চোখে পরে না । কিন্তু লিখার  সময় আমাদেরকে অবশ্যই গ্রামার মেনে বিশুদ্ধ ভাবে লিখতে হয়। এজন্য আমাদেরকে টেকনিক মেনে ইংলিশ গ্রামার শিখতে হবে……
নিচের বইগুলো শিক্ষার্থীদের  ইংরেজি গ্রামার সম্পর্কে তাদের মনের কোনে লুকিয়ে থাকা গ্রামার সম্পর্কিত অনেক প্রশ্নের জবাব হাজির করবে। সম্পূর্ণ নতুন একটি ভঙ্গিতে রচনা করা এ বইগুলো  খুব সহজ -সরলভাবে কিছু টেকনিক , নিয়ম ও উদাহরণ মাধ্যমে ইংরেজি গ্রামার বিষয়টিকে ই-বুকের মাধ্যমে টিউনারদের  কাছে উপস্থাপন করলাম…… । আর এই বইগুলো  আমারমত যারা শ্রেণীকক্ষের গন্ডি পেরিয়ে গেছেন অথচ প্রতিনিয়ত বিব্রত হন গ্রামারের টুকিটাকি সমস্যা নিয়ে, তাদের জন্যও বইগুলো যথেষ্ট সহযোগিতা দেবে। ইংরেজি শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের ভার্চুয়াল জগতের ব্লগার ও টিউনারদের দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানের একটি কার্যকর উপকরণ হিসেবে বইটি কাজে লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস।
English Grammar(for BCS & Job)
সম্পর্কে ভাল ভাবে জানার জন্য নিচের বাংলা বই গুলো ডাউনলোড করুন – ইউনিকোড ফরম্যাটে যা খুব সহজে Mobile ও Computer পড়তে পারবেন………
Uses of Articles.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?inq8ailmdfir61d
Analogy (English grammar).pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?tr2w21xjxdb3d6p
Subject Verb Agreement.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?ux3c8a3na2ck3u0
Tag Questions.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?imix4n4veeixxa9
Tense & Translation.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?clrswb28ay9ypel
Idioms and Phrases.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?z58lo3hhpeg908y
Parts Of Speech.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?5k2yel1g5kvh68z
Noun.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?obo9ga9y8js9c59
Countable and uncountable noun.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?ddyb6ukvhs4uulz
Pronoun.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?ddozbj3dc8v4o3c
Adjective.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?vbcu13yugpj738d
Degree.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?u7l5cnhslj3p7z0
Verb.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?7xj56txqnpa77bn
group verbs.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?4ry3thvltt4sm5q
Adverb.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?e1dq5uoc353z5cf
Preposition And Conjunction.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?xcwkw08ugmcz89w
Appropriate Preposition.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?0ds5wb8oe22xiyk
For Self Practice.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?ax98nld7v2or2v1
Vocabulary.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?g9a1mcxaq85n7z7

বাংলা ই-বই (বাংলা ব্যাকরণ )বিসিএস ,বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ও যে কোন চাকরির পরীক্ষার জন্য

নিচের এই বই গুলো আশা করি সব ছাত্র দের কাজে লাগবে  …। কিছু  মেগাবাইট খরচ করে নামিয়ে ফেলুন …।(আপনার বন্ধু অথবা ছোট ভাইয়ের কাজে লাগবে)
বিসিএস, পিএসসি, ব্যাংকার্স রিক্রুটম্যান্ট, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি, মাধ্যমিক বা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ, বিভিন্ন মন্ত্রনালয়, যে কোন প্রতিয়োগিতার জন্য প্রয়োজনীয় বাংলা বই(সরাসরি ডাউনলোড করার লিঙ্ক)
Bangla Grammar(বাংলা ব্যাকরণ এর সব বিষয় নিচে দেওয়া হল)
Akk Kothai Prokash.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?k6dxfs4rgddo19g
Bagdhara.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?sp3blni2yah2rp7
Bangali Kobi & Shahittik.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?t1yyotk77772sqb
Bangla Banan(Banan , Notto -Shotto Bidhan& Biram Chinho).pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?i60puvgcm0nsu6a
Bangla Grammar(Mix).pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?1do4vyj1klk211z
Bangla Model Question.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?bk9m860ki1y7ode
Bangla Sentence & Part of Speech.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?rhw66qb6t2r4afw
Bangla Shobdho.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?5c108eeayrt47py
Bangla Vasha & beakoron.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?7eodxreyfgavwd3
Biporith Shobdho.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?9dvw153l7dp9824
Bochon & Bornno(Uchcharon).pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?348zs8oaoe4jjop
Karoak & Vibokti.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?y14o8zwb587rn23
Kobi & Shahittik life Story .pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?hwz4yrg8ewi1885
Parivashik Shobdho.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?0gn95t9d1u60dd5
Protishobdho,Upsorgho & Protoy.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?sbamrygcje44vyc
Shondhi.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?bm8qky0h3okczm6
Somash.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?qm7pjom99q2ynm2
Somouccharit Shobdho.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?26p363xst3a6303

“সাধারণ জ্ঞান- আন্তর্জাতিক International Affairs” উপর কিছু বাংলা বই(Bangla e-Books), যা যে কোন প্রতিযোগীতা মূলক পরীক্ষার জন্য ১০০% কাজে লাগবে !

বিসিএস পরীক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য ……“সাধারণ জ্ঞান- আন্তর্জাতিকবইগুলো দেওয়া হয়েছে। বইগুলোতে  প্রশ্নগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে, বিসিএস, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীসহ যেকোনো চাকরি ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার সর্বাধিকসংখ্যক প্রশ্ন কমন থাকবে আশা করি।এই বইগুলোতে যে কি পরিমাণ ডকুমেন্ট আছে তা আপনারা চিন্তাও করতে পারবেন না……!
এখনে সাধারণ জ্ঞান- আন্তর্জাতিক এর প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ের  অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখানে দেওয়া বাংলা বই গুলো সাধারণ জ্ঞান- আন্তর্জাতিক বিষয়ে আপনাকে সুস্পষ্ট ধারণা প্রদানে সক্ষম।
সাধারণ জ্ঞান- আন্তর্জাতিক
সম্পর্কে ভাল ভাবে জানার জন্য নিচের বাংলা বই গুলো ডাউনলোড করুন – ইউনিকোড ফরম্যাটে যা খুব সহজে Mobile ও Computer পড়তে পারবেন………
যা আপনাদের ডিজিটাল জীবন কে আরও সহজ করে দিবে আশা করি।
আমার পরিশ্রম আপনাদের বিন্দুমাত্র কাজে লাগলেও আমি স্বার্থক।
General Knowledge (International)
Brief Knowledge Of The World(G.K.International).pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?coe0d0dj7j6y2rd
Xclusive General Knowledge International.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?skrew3mr1olaxam
General Knowledge (International).pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?48r8as2d1282xjs
Inroduction of All Countryin the world.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?sv7cki2rvhp7fcf
General Knowledge for admission test & BCS Exams.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?rbtk2mdb27y3fjc
Economic Organization.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?egoc0dm9pok9ja2
abbreviations.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?784zifw5ba0ol84
United Nations.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?02kf1ppnlajvc8r
Noble Prize.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?78s377xsa327c2s
Ocean of The World.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?86efd5llv8van1t
Sports(General Knowledge).pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?m26a9caj46imwxv
World Cup Cricket.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?cgkehsdraq9tqd2
World Cup football & fifa-2010.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?66khyw6rbeb91rk
General Knowledge Model Question.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?0am9h74digl4h0a
Xclusive knowledge.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?q7n47kgd82z3goc

“সাধারণ জ্ঞান -বাংলাদেশ’Bangladesh Affairs ” উপর কিছু বাংলা বই(Bangla e-Books), যা সকলের কাজে লাগতে পারে (বিসিএস ,বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ও যে কোন পরীক্ষার জন্য) …

বিসিএস , বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও যে কোন প্রতিযোগীতা মূলক পরীক্ষার  জন্য যে বিষয়গুলোর উপর পরীক্ষা দিতে হয়, তার সবগুলোই শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়ে আসে; শুধু সাধারণজ্ঞান ছাড়া। এটি মূলত কোন নির্দিষ্ট বিষয়ও নয়; আমাদের দেশ, ইতিহাস, ঐতিহ্য, আমাদের পৃথিবী, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ, ‍পৃথিবীর ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতি, সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অবস্থা, খেলাধুলা, ইত্যাদি বিষয়গুলোর সমন্বয়ে ‘সাধারণ জ্ঞান বিষয়টি তৈরি করা হয়েছে। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের জানাশোনার/জ্ঞানের গভীরতা বোঝার জন্য বেশ কার্যকরীও বটে।
কিন্তু সমস্যা হল, কোন শিক্ষার্থী-ই একসাথে এত বেশি বিষয়ে আগ্রহী থাকে না, ফলে কোন শিক্ষার্থী-ই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতগুলো বিষয়ে জ্ঞান রাখে না বা রাখতে পারে না। আর তাই  আমি আপনাদের জন্য বিসিএস ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের সাধারণ জ্ঞানের যে সব তথ্যাবলী জানা দরকার, সেগুলোকে একত্রিত করে সাধারণ জ্ঞান -বাংলাদেশ  কিছু ই –বুক / বাংলা বই তৈরী করেছি । এখানে যে কোন প্রতিযোগীতা মূলক পরীক্ষার  জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য-উপাত্ত একত্রিত করে পড়ার জন্য সুবিধাজনকভাবে বিভিন্ন ই-বুকের মাধ্যমে সজ্জিত করা হয়েছে।
এখনে সাধারণ জ্ঞান- বাংলাদেশ এর প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ের  অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখানে দেওয়া বাংলা বই গুলো সাধারণ জ্ঞান- বাংলাদেশ বিষয়ে আপনাকে সুস্পষ্ট ধারণা প্রদানে সক্ষম।
সাধারণ জ্ঞান- বাংলাদেশ সম্পর্কে ভাল ভাবে জানার জন্য নিচের বাংলা বই গুলো ডাউনলোড করুন —– ইউনিকোড ফরম্যাটে যা খুব সহজে Mobile ও Computer পড়তে পারবেন………
যাআপনাদের ডিজিটাল জীবন কে আরও সহজ করে দিবে আশা করি।
আমার পরিশ্রম আপনাদের বিন্দুমাত্র কাজে লাগলেও আমি স্বার্থক।
General Knowledge (Bangladesh)
Bangladesh(at a glance).pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?4iedw75izrf97ml 
Xclusive General Knowledge Bangladesh.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?92yd1buq090rklo
General Knowledge (Bangladesh).pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?sw4xhvdp1j4hs1t
Brief History Of Bangladesh.pdf  (ভাষার মাস ফেব্রুয়ারীর উপহার)
Download link: http://www.mediafire.com/?g6n73czhnlu7g44
Complete History of Bangladesh (Bangladesh Affairs for BCS).pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?8d9b5bwmh77r1dc
Brief History & Historical place in Bangladesh.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?swirtrrrhh6goh7 
Bangladesh Affairs for BCS & job Exam.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?zvur5sl94bo9y8y
Beautiful Place of bangladesh.pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?535eqj12p1rbyjb
Bangladesh (Wiki).pdf
Download link: http://www.mediafire.com/?08a4kblp53ctw0j

রহস্য গপ্ল [ নুপুর ]

রাতে হঠাৎ করেই ভীষন বৃষঠীপাত শুরু হল । পুরো বাড়িতে আজ রাতে কেবল একাই জাবেদ ।
বৃষঠীর শাবদীক অনুভুতি বরাবরই তার কাছে আনন্ধময় হলেও আজকের বৃষঠীর বেতর কেমন যেন একটা গা শিরশির করা বেপার আছে বলে মনে হল।
এমনিতেই শিত পড়তে শুরু করেছে । শিতকে আরও জমিয়ে তুলতে তার উপরে আবার বৃষঠীজলের কৃপা ।
সুতরাং গা শিরশির করাটাই শাবাবিক ।
ঘরের দক্ষিন আর পসচ্ছিমের দুটো জানালা সব সময় খোলা থাকে জানালা দুটো কখনও গ্রিম্ম বরষা মানে না ।
কিনতু আজকে হঠাৎ করে ওদুটো কেন জানি বন্ধ করে দিতে মন চাইল জাবেদের ।
দু মিনিটের ভেতর এ জানালা দুেটা বন্ধ করে এসে চেয়ারে বসতেই দক্ষিন দিকের জানালাটায় হঠাৎ করে খুট করে সব্ধ হল ।
চমকে গেল জাবেদ । মোটা কাঠের জানালা এমনিতেই এখন বন্ধ ।
তাই বৃষঠীর দিনে এমন জোরে খট করে সব্ধ করাটা মোটেই  শাবাবিক নয় ।
জাবেদের বেসি ভাবতে সময় দিল না অপাশের কেও । আবার খট করে সব্ধ হল ।
এই ঘরের পসচ্ছিমের জানালাটায় ভাড়ির বাইরে থেকে ধাক্কা দেওয়া সম্বব হলেও দক্ষিনেরটায় সম্বব নয় কোনমতেই ।
কারন এই জানালার ওপারেও একটা বারান্দা আচে গ্রিল ঘেরা ।
সুতরাং এই বৃষঠীর এতরাতে গ্রিলের ধুরবদ্ধ সুরক্ষা ভেদ করে জানালায় এসে ধাক্কা মারার কথা নয় ।
জাবেদ চেছিয়ে উঠে-কে?
জাবেদের প্রশ্নের কেও উত্তর দেয় না । উত্তর দেয় একজন ই-ওপােশ
আবারও জানালায় খট করে শব্দ হয় । শব্দ হতেই থাকে ক্রমশ খট,খট,খট, খটাস ””
শিতের রাতেও ঘেমে নেয়ে অস্থির হয়ে উঠে জাবেদ । হঠাৎ করে কি শুরু হল বুজতে পারছে না সে ।
পসচ্ছিমের জানালায় কেও ধাক্কা দিলেও সে অন্তত বুজতে পারত যে এই বৃষঠীর দিনে হয়ত কোন
আগত্তক বাইরে দাড়ীয়ে ধাক্কা মারছে . তাই বলে গ্রিল দিয়ে ঘেরা দক্ষিনের বারান্দায় ??
তা ছাডা বাসার সবাই যখন বাইরে গেল তখন সে তো নিজের হাতেই গ্রিলের বারান্দা তালা দিয়ে আটকে
দিয়েছিল , নাকি দেয় নি ?
জাবেদ নিশ্ছিত হতে পারছে না ।
বলা নেই কয়া নেই হঠাৎ সৃষঠ শব্দে তার ভাবনা-ছিন্তা সমস্তটাই গুলিয়ে জাচ্ছে ।
ধাক্কাটা এবার থেমে থেমে আসছে । অনবরত ধাক্কা দিয়ে মানুশ যেমন ক্লান্ত হয় মনে হচ্ছে ওপাশের ‘কেউ’তেমনি ক্লান্ত হয়ে পডেছে ।
আসলেই কি ওপাশে কেউ কি আছে ? নাকি পুরোটাই তার মনের ভুল ?
কেবল বৃষঠীই হচ্ছে প্রকিতপক্ষে জানালায় কোন ধাক্কার শব্ধ হচ্ছে না , জাবেদ ভালভাবে কান পাতে ।
নাহ সে বধির নয় । ঠিক বিশ সেকেনট পর পর সুরেলা ভঙ্গিতে ঠক,ঠক, ঠক করে আওয়াজ তুলছে কেও ।
মনে হচ্ছে তবলা বাজাছে । গ্রিলে তালা দেওয়ার বিশয় এ নিজের প্রতি জাবেদের আস্তথার অবনতি ঘটতে থাকে ক্রমশই ।
এখন সে প্রায় নিসছিত তার মনের ভুলে গ্রিল দেয়া হয়নি ।
আর এই সুজুগে বৃষঠী পেয়ে গ্রিলের বারান্দার বেতর ঢুকে পড়েছে কেও ।
কিন্তু ‘কেও’ টা কে ? জাবেদ ‘কে’বলে চেচিয়ে ওটার পরেও কথা বলল না কেন ?
তবে কি লোকটা বোবা নাকি অন্য কোন প্রানি ? অন্য কোন প্রানির হাত নেই যে সুরেলা ভঙ্গিতে তাও আভার একটা নিরধারিত সময় পর পর জানালায় শব্দের সুর তুলবে ।
জাবেদের বুকটা হাপরের মত উছু-নিছু হতে থাকে অনাকাংখিত ভয়ে ।
চোর ডাকাত নয়ত ?
সে কি ছিৎকার করে লোকজন জড় করবে ?
তবে ছিৎকার না দিয়ে আবার জরসে ‘কে’ বলে চেচিয়ে ওঠে সে ।
এই এতরাত জানালার শব্দ এবং নিজের ধারনা সম্ভন্দে স্পস্ততভাবে নিসচিত হতে পারল না বলেই ছিৎকার করতে তার ভিত-স‍‍‍‍‌‌‌ণএত সত্তা বারন করে দিল  ।
এবার যেন বৃষঠীর আওয়াজটাকে আরও খানিকটা সুরেলা করতে নুপুরের আওয়াজ উঠলো তালে তালে ।
বাড়ীর বাইরে ঝম ঝম বৃষঠী আর বারান্দায় নুপুরের নিক্কন ।
জাবেদের মাথার ভেতরটাতেও যেন এক ব্রিভ্রান্তির তাল উঠছে ক্ক্রমশ ই ।
কিছুতেই থামাতে পারছে না সে ।
বাস্তবিকই  কি সব ঘটছে নাকি আজ একলা বাড়ীতে তার মনে বিদ্রম হয়েচে ?
এমনিতেই সে খুব একটা ভিত নয় ।
তবে খুব যে সাহসি সেটাও তো সে দাবি করতে পারবে না কোনদিনই ।
জানালার শব্দ থেমে গেছে নুপুরের শব্দর সঙ্গে সঙ্গেই ।
মনে হচ্ছে কেও নাচছে ।
মাথা বন বন করে ঘুরতে লাগলো জাবেদের ।
কল্পনায় সে দেকতে পেল রাজা-বাদশার  হেরেমখানার কোনও নরতকি সুযোগ পেয়ে আজ এই বারান্দায় আসর বসিয়েছে ।
তবে এখানে ঘর ভরতি শ্রতা নেই ।
শ্রতা কেবলই একজন । সে যে আজ রাতের একলা গৃহবাসি ।
আলো জলা ঘরের দ্রেসিং টাবিলের আয়নাটার দিকে তাকিয়ে নিজেকে দেখে নিজেই চমকে উঠে জাবেদ ।
অচেনা কেও জেন সে তার নিজের কাছে । ভিত মুখ পাংশুটে হয়ে গেছে । যেন রক্ত হিন কোন মুখ দেখছে সে ।
হঠাৎ মুখ টা যেন খিলখিল করে হেসে উঠল । হাসিটা কোন নারির, মুখবয়বটাও !চমকে যায় জাবেদ , আরে সে তো কোন নারি না !
তাহলে এই হাসির শব্দ আর নারিমুখটা…!! নিমেশেই ঘোর ভেঙে যায় । সে বুজতে পারে সে ঠীকই শুনেছে , দেখেছেও ঠীকই ।
জানালাটা এতক্ষনে খুলে পেলেছে ওপাশের ‘কেও’
তার বাড়িয়ে দেয়া মুখের প্রতিবিম্ব পড়েছে আয়নাটার উপর ।
 জেগে উঠার পর জাবেদ বুজতে পারল রাতে সে ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল ! দক্ষিনের জানালাটা এখনও হা করে খোলা !
পসচ্ছিমেরটা বন্ধই রয়েছে । রাতের ঘটনা গুলো কি কেবলি ই কি মনের ভুল ?
নাকি সত্যি , বুকের কাচে আনমনেই হাত ছলে যায় তার ।
মনে পড়তেই ভয় বেড়েছে । তবে বাইরের পৃথিবির চারদিকটায় আলো ফোটায় সাহস করে বারান্ধায় পা রেখেই আবার
চমকে যায় জাবেদ ।
ওই তো ঠীকই তো গ্রিলে তালা দেয়া । এখুনি রাতের ঘটনার পুরোটাই তার মনের ভুল বলে রায় দিত জাবেদ , যদি না ধিতিয়বারের
মত চমকে গিয়ে বারান্দার গ্রিলের বেতর দক্ষিন জানালার একদম নিচে একটা রুপোর নুপুর পড়ে থাকতে না দেখত সে !
জাবেদের মন থেকে ব্রিব্রান্ততির অনেকাংশই কেট গেল নুপুর ধরশন এ । কারো আগমন বিশয় এ সে এখন একশত ভাগ নিসছিত ।
তবে আপাতত নুপুর টা তোলা বা ধরার সাহস হল না তার ।
কোন আগুনতুকের এখানে আগমনের প্রমান এখন তার সামনে । এইবার বেপার টা প্রতিবেশি কাওকে জানানো জায় বলে তার মনে হল
দু,মিনিট হেটে বা ইস্কুলের সামনে জেতেই বড়সড় একটা শোরগোল দেখে বুকের মদ্দিখানটা ধড়াস করে উঠল তার ।
কি একটা বিষয় নিয়ে সবাই বিশ্মিত কণঠে আলোচনা করছে ।
প্রত্তেকএর মুখের অবস্থা একেবারে জাবেদের মতই  ! তাদের সবার আলোচনার বিষয়বস্ততুটাও খুবই পরিছিত লাগলো
জাবেদের কাছে । গতরাতের যে বিসয় টা পরিছিত কাওকে বলার জন্য বাড়ির বাইরে এসেছিল জাবেদ সে টা এখন আর
উপস্থিত কাওকে নতুন করে বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হচ্চে না তার !!!!!!!
গতরাতে বৃষঠী সুরু হওইয়ার পর এই পাড়ার মোট উনচল্লিশ টা বাড়িতে রহস্যময়  ‘ কেও ‘
এসেছিল । তবে প্রত্তেক বাড়ীতে নুপুরের নাচ শোনা গেলেও কারও বারান্দাতে নুপুর পড়ে থাকার কথা
শোনা গেল না । জাবেদ নিসচিত দু,পায়ের এক পায়ের একটা কেবল তার বারান্দাতেই পড়েছে । ব্যাপার টা
ভাবতেই রাতের সেই অনুভুতি যেন আবার শিতল হয়ে নেমে গেল মেরুদণড বেয়ে । ভয় ভাবনায় ঢেকেজ
যেতে শুরু করলো তার ভেতরের জগত ।
রহস্যময় কেও যদি এমনি বৃষঠীর দিনে আবার তার কাছে পেলে জাওয়া নপুরটা ফেরত নিতে আসে ?????

COUNTER W