Monday, February 27, 2012

আফ্রিদির জন্য গ্গ্ন্যাডিয়েটর্সের হেলিকপ্টার

খেলা শেষ হতে হতে আবুধাবিতে রাত সাড়ে ১১টা বেজে যাবে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওই টি২০ ম্যাচটি শেষ করেই মাঠ থেকে বিমানবন্দরে ছুটে যাবেন তিনজন। শহিদ আফ্রিদি, সাঈদ আজমল আর শোয়েব মালিক। তিনজনই ঢাকা আসার বিমান ধরবেন বিপিএলের জন্য। আফ্রিদি আর আজমল খেলবেন ঢাকা গ্গ্ন্যাডিয়েটর্সের হয়ে আর শোয়েব মালিক নামবেন চিটাগাং কিংসের হয়ে। এই তিন পাকিস্তানির জন্যই মুখিয়ে আছে বিপিএলের ফ্রাঞ্চাইজিরা। তবে তাদের মধ্যে ঢাকা গ্গ্ন্যাডিয়েটর্সের আগ্রহটা যেন একটু বেশিই। বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ আফ্রিদিদের বিমান ঢাকা নামার কথা। আর ওইদিনই সেমিফাইনাল ম্যাচ। কিন্তু সিডিউল আর সেমির চারটি দলের অবস্থান চূড়ান্ত না হওয়ায় আফ্রিদিদের জন্য বাড়তি ব্যবস্থা রেখেছে ঢাকা গ্গ্ন্যাডিয়েটর্স। যদি কোনো কারণে আফ্রিদিদের বিমান আসতে দেরি হয় এবং ওইদিন ঢাকা গ্গ্ন্যাডিয়েটর্সের ম্যাচ দুপুর দুটোয় থাকে, তাহলে বিমানবন্দর থেকেই হেলিকপ্টারে মিরপুর মাঠে নিয়ে আসা হবে আফ্রিদি আর আজমলকে। 'আমাদের হেলিকপ্টার বিমানবন্দরেই থাকবে। যদি কোনো কারণে আফ্রিদিদের বিমান আসতে দেরি করে, তাহলে ট্রাফিক জ্যাম এড়ানোর জন্য আফ্রিদি আর আজমলকে হেলিকপ্টারে করে মিরপুর আনা হবে। কেননা, এ দুই ক্রিকেটার আমাদের দলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া সেমিফাইনালের মতো নকআউট ম্যাচে আফ্রিদি এবং আজমলকে ভীষণভাবে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সব কিছু বিবেচনা করেই হেলিকপ্টার ঠিক করা হয়েছে।' ঢাকা গ্গ্ন্যাডিয়েটর্সের মিডিয়া ম্যানেজার মিনহাজ উদ্দিন খানের কথাতেই পরিষ্কার, সেমিফাইনালে আফ্রিদির উপস্থিতি কতটা আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে দলটিকে।

অনলাইনে বাংলা গান শুনুন

শুধু বাংলা গান শোনার সুবিধা নিয়ে ইন্টারনেটে রয়েছে লাইভগান www.livegaan.com নামের একটি ওয়েবসাইট। এ ওয়েবসাইটে আপনার পছন্দের প্রায় সব ধরনের গান। পুরনো আর নতুন সব গানই পাওয়া যাবে এ সাইটে। ১৯৫০ সাল থেকে প্রচারিত নজরুলগীতি, রবীন্দ্রসঙ্গীত, লালনগীতি, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, কীর্তন, ক্লাসিক্যাল, ব্যান্ড, আধুনিক, লোক, রক, ফিউশন, মেটাল, ইনস্ট্রুমেন্টালসহ নানা ক্যাটাগরি অনুযায়ী পাওয়া যাবে গান। সহজে গানের খোঁজ পেতে গানের অ্যালবাম, টাইটেল কিংবা শিল্পীর নাম দিয়ে খোঁজার সুবিধা রয়েছে, এর মাধ্যমে খুব সহজেই পছন্দের গান খুঁজে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি শ্রোতাদের কাছে প্রতি সপ্তাহ বা মাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান কোনগুলো তাও জানার ব্যবস'া রয়েছে। রয়েছে নিজস্ব গান শোনার তালিকা তৈরির সুবিধা। তবে এ ওয়েবসাইটে শুধু গানই শোনা যাবে, গান ডাউনলোড করার কোনো ব্যবস'া নেই।

ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

টার্গেট ২৫৩। ভারতের তারকাসমৃদ্ধ ব্যাটিং লাইনের কাছে এটা খুব একটা বেশি নয়। কিন' প্রতিপক্ষ তো অস্ট্রেলিয়া। তা-ও আবার তাদেরই হোম গ্রাউন্ডে। এটা বোধহয় ভুলেই ছিলেন ধোনি। শেষ ১০ দশমিক ৫ ওভারে অসিরা তুলতে পেরেছে মাত্র ৫২ রান। ভারতীয় দলনায়ক তো বেজায় খুশি! কিন' তার দল যে এবারের অস্ট্রেলিয়া সফরে কতটা অসহায়ত্ব দেখিয়েছে, সেটাও তো বেলালুম ভুলে ছিলেন কুল ফিনিশার ধোনি। লাভ কিছুই হয়নি। অসি বোলিং অ্যাটাকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের আরেকটি ব্যর্থতার মঞ্চায়ন হয়েছে গতকাল সিডনিতে। ত্রিদেশীয় সিরিজের মাস্ট উইন ম্যাচে ধোনি বাহিনী অলআউট ১৬৫ রানে। সেটা আবার ১০ দশমিক ৩ ওভার বাকি থাকতেই। ৮৭ রানের জয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালেও উঠে গেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।
আর ভারত! বিদায়টা অনেকাংশে নিশ্চিত। ফাইনালে উঠতে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বোনাস পয়েন্টের জয়সহ অস্ট্রেলিয়ার কাছে তাদের (লঙ্কার) হারেরও প্রার্থনায় থাকতে হবে ভারতকে। অন্যথায় কাজে আসবে না কোনো সমীকরণ। ৭ ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়া ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। সমানসংখ্যক ম্যাচে ভারতের ১০। আর ৬ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার অর্জন ১৫ পয়েন্ট। এ দিনও অসি সফরে খেই হারানো ভারতের পতনের শুরুটা করেছেন ওই সেহওয়াগ। পরে ডেভিড ওয়ার্নারের দুর্দান- ফিল্ডিংয়ে ফেরেন শচিনও। ভারতের রান তখন ৩৫। তৃতীয় উইকেটে কোহলি-গম্ভীর চেষ্টা করেছিলেন দলকে ট্র্যাকে ফেরাতে। কিন' ২৫ রানের (৭৯ থেকে ১০৪) ব্যবধানে ৪ উইকেট হারানো ভারত উল্টো ছিটকে পড়ে ম্যাচ থেকে। পরে ধোনি নিজেও আউট হন ব্যক্তিগত ৮ রানে। আশ্বিন করেছেন সর্বোচ্চ ২৬ রান। ৫ ওভারে ৯ রান খরচায় কোহলি ও রায়নার উইকেট তুলে নেন ওয়াটসন।
এর আগে টস জেতা স্বাগতিকেরা ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়ার্নার-ডেভিড হাসি ও ম্যাথু ওয়েডের হাফ-সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫২ রানের ফাইটিং স্কোর গড়তে সক্ষম হয়। ৬৬ বলে সাতটি চারে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন ম্যাচসেরা ওয়ার্নার। ওয়েড ৫৬ ও হাসি খেলেছেন ৫৪ রানের দুর্দান- ইনিংস। পাঁচ উইকেটে এ দু’জনের ৯৮ রানের জুটিতেই আড়াই শ’ প্লাস সংগ্রহ পৌঁছে স্বাগতিক ইনিংস। সেহওয়াগ নেন তিন উইকেট ৪৩ রান খরচায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়া ইনিংস : ২৫২/৯ (৫০ ওভার) ওয়ার্নার ৬৮, ওয়েড ৫৬, হাসি ৫৪; সেহওয়াগ ৩/৪৩।
ভারত ইনিংস : ১৬৫/১০ (৩৯ দশমিক ৩ ওভার) আশ্বিন ২৬, পাঠান ২২,গম্ভীর ২৩; ওয়াটসন ২/৯।
ফল : অস্ট্রেলিয়া ৮৭ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)। সূত্র : ক্রিকইনফো

ফাইনালের স্বপ্ন ধূসর ভারতের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কমনওয়েলথ ব্যাংক ওয়ানডে সিরিজের ফাইনালের আশা আরও দুরাশা হয়ে উঠেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতের জন্য। রেসে টিকে থাকার মহাগুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে গতকাল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার কাছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল হেরে গেছে ৮৭ রানের বড় ব্যবধানে। অস্ট্রেলিয়ার ২৫২ রানের জবাবে ১৬৫ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। সিরিজে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে ভারতের এটি চতুর্থ পরাজয়। বিপরীতে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে যাওয়া অসিদের চতুর্থ জয়। ৬ খেলায় ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে অপর দল শ্রীলঙ্কা। এ পরাজয়ের ফলে ভারতের ফাইনালের স্বপ্ন অনেকটাই ম্লান হয়ে গেল। অনেক যদি তবের ওপর ঝুলে গেল ধোনিদের আশা! সিরিজের প্রাথমিক পর্বে আর দুটি মাত্র ম্যাচ বাকি। ভারত-শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা। দুই ম্যাচের একটিতে খেলার সুযোগ পাচ্ছে ভারত। ২৮ তারিখ পরের ম্যাচে যদি জয় পায় তবে বোনাসসহ তাদের পয়েন্ট হবে ১৫। সুতরাং স্বপ্নের সলতেয় আলো দেখতে হলে লঙ্কানদের বিরুদ্ধে বোনাস পয়েন্ট নিয়ে জিততে হবে ধুঁকতে থাকা ধোনিদের। এবং প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে অবশ্যই হারতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। এমন কঠিন সব সমীকরণ, আর অন্য দুই দলের ওপর ঝুলে গেছে ভারতীয়দের ফাইনাল স্বপ্ন! সুতরাং গতকালের পরাজয়ের ফলে আক্ষরিক অর্থেই কমনওয়েলথ ব্যাংক সিরিজ থেকে ছিটকে পড়ল ভারত।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন হঠাৎ করেই অধিনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া শেন ওয়াটসন। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসসম্যান ডেভিড হাসি, ম্যাথু ওয়েডের হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে আড়াই শতাধিক রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে অসিরা। ওয়ানডে সিরিজে টানা ব্যর্থতায় ওয়ার্নারের এই ম্যাচে সুযোগ পাওয়া নিয়েই সংশয়Ñ কিন্তু সুযোগ পেয়ে সংশয়টা ব্যাটের আঘাতে উড়িয়ে দিলেন ওয়ার্নার নিজেই। ৬৬ বলে ৭ চারের সাহায্যে ৬৮ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে ম্যাচসেরাও তরুণ ওপেনার। রানে ফেরার জন্য ওয়ার্নার কতটা উদ্বিগ্ন ছিলেন, ইনিংসে একটিও ছয়ের মার না থাকাই তা প্রমাণ করে। ধুমধারাক্কার পরিবর্তে দারুণ ছন্দময় ব্যাটিংশৈলী উপহার দেন তিনি।
শুরুতে ২৬ থেকে ৫৭ ৩১ রানের ব্যবধানে ওয়াটসন, ফরেস্ট ও মাইক হাসিকে হারিয়ে খানিকটা ধাক্কা খেয়েছিল অসিরা। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে ওয়ার্নারের সঙ্গে ডেভিড হাসি যোগ দিয়ে দলকে ঠিকই বড় সংগ্রহের পথ দেখান। ডেভিড ৬৪ বলে ২ চারের সাহায্যে ৫৪ আর উইকেটকিপার ম্যাথু ওয়েড ৬৬ বলে ২ চার ও ১ ছক্কার সাহায্যে করেন ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৬ রান। এছাড়া ৩২ বলে ২ চারে ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ানের করা শেষদিকের ২৪ রানও বড় স্কোরের পথে ভূমিকা রাখে। ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় অসিরা। ভারতের হয়ে বীরেন্দর শেবাগ সর্বাধিক ৩টি আর পেসার প্রবীন কুমার ও উমেশ যাদব নেন ২টি করে উইকেট। মাত্র ৩৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার শেবাগ-শচীনকে হারিয়ে শুরুতেই সে চ্যালেঞ্জ থেকে ছিটকে পড়ে ধোনিবাহিনী। শেবাগ ৫ রান করে পেসার হিলফেনহাসের বলে কট এ্যান্ড বোল্ড এবং ধোনি ১৪ রান করে ওয়ার্নারের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপর নিয়মিতই উইকেট পড়ে ভারতের। ২৩ রান করে গৌতম গাম্ভীর ক্লিন্ট ম্যাকেইর বলে বোল্ড হন। ওয়াটসনের বলে ক্রিশ্চিয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ওয়ানডের তারকা বিরাট কোহলি করেন ২১ রান। আরেক ‘ওয়ানডে ম্যান’ রায়নাও ওয়াটসনের শিকারে পরিণত হন মাত্র ৮ রান করে।

সম্মানপ্রাপ্তির দিনে হতাশা আর বিতর্কে টেন্ডুলকার




তাহলে কি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) শেষবারের মতো খেলা হয়ে গেল শচীন রমেশ টেন্ডুলকারের? গত বছর বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর হতে চলেছে এক বছর। এই সময়ে বেশ কয়েকবার সম্ভাবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত ছুঁতে পারেননি তিন অঙ্কের 'ম্যাজিক ফিগার'। ভারতীয় দলে শোনা যাচ্ছে অন্তঃকোন্দলের চাপা গুঞ্জন, যদিও শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতোই বলা হচ্ছে- 'রোটেশন পলিসি' আর ২০১৫ বিশ্বকাপের দলের কথা। শুধু তা-ই নয়, অনেক সাবেক সতীর্থ ও সমসাময়িক ক্রিকেটারও বলতে শুরু করেছেন, বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে থেকে অবসর নিলেই বোধহয় ভালো করতেন টেন্ডুলকার। তাই বুঝি আর দেরি করেননি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রডনি ক্যাভেলিয়র! সময় থাকতে থাকতেই টেন্ডুলকারের হাতে তিনি তুলে দিয়েছেন এসসিজির আজীবন সদস্যপদের সনদ। একই সঙ্গে এ যুগের ব্র্যাডম্যানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের আবক্ষ ভাস্কর্য। চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজে সিডনিতে আর খেলা নেই, ২০১৫ বিশ্বকাপের সহ-স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া হলেও বছর তিনেক পর যে টেন্ডুলকার খেলোয়াড় হিসেবে আবার আসবেন সেই সম্ভাবনাটাও ক্ষীণ। এই বেলা দেরি করলে যে আর চলে না!
প্রথম বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে টেন্ডুলকারের হাতে এসসিজির আজীবন সদস্যপদের সনদ, একটি বই আর একটি বাঁধাই করা ফ্রেম তুলে দিয়েছেন নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের সরকারপ্রধান ব্যারি ও' ফেরেল। এমন ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশ হতে পেরে ব্যারি নিজেও খানিকটা রোমাঞ্চিত, 'শচীন হচ্ছেন বিশ্বের মহত্তম ক্রিকেটারদের একজন এবং তাঁকে আমরা সম্মানিত করছি বিশ্বের মহত্তম একটি মাঠের আজীবন সদস্যপদের মাধ্যমে। কিংবদন্তিতুল্য এই ক্রিকেটার নিজেই জানিয়েছেন, বিদেশে এসসিজিই হচ্ছে তাঁর প্রিয় মাঠ, এবং সেটা কেন তা এই মাঠে তাঁর রেকর্ড দেখলেই বোঝা যায়।' ট্রাস্ট চেয়ারম্যান রডনি ক্যাভেলিয়রও প্রকাশ করেছেন তাঁর অনুভূতি, 'এই ট্রাস্ট কিন্তু সহজে কাউকে আজীবন সদস্য করে না। শচীন হচ্ছেন প্রথম বিদেশি ক্রিকেটার, যাঁকে এই মাঠের আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে। নিজের ক্যারিয়ারে শচীন সব সময়ই বিনয় ও শ্রদ্ধার পথে হেঁটেছে, আমি নিশ্চিত পরবর্তীতে এই মাঠের সদস্য ও ক্রিকেট সমর্থকরাও তাঁকে যেকোনো সময়ই এখানে সাদর অভ্যর্থনা জানাবেন।'
টেন্ডুলকারের সকাল বেলাটা যদি হয় প্রাপ্তির আনন্দে রঙিন, বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই রং ঢেকে গেছে হতাশার কালিমায়। সবাই চাতকের মতো প্রতীক্ষায় ছিলেন, এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটা স্মরণীয় করে রাখতে নিজের অন্যতম প্রিয় মাঠেই হয়তো সেঞ্চুরির সেঞ্চুরিটা করে ফেলবেন 'মাস্টার ব্লাস্টার'। ২ বাউন্ডারি সেই আভাসটাই দিচ্ছিল। কিন্তু বিচ্ছিরি রান আউট শেষ করে দিয়েছে সেই সম্ভাবনা। 'ফলো থ্রু'-তে নন স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে সিঙ্গেলের জন্য দৌড়াতে থাকা টেন্ডুলকারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গেল ব্রেট লির, তাতেই খানিকটা বাড়তি সময় পেয়ে স্টাম্প ঠুকে দিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে কি হতো, সেঞ্চুরি হতো কি হতো না, এসব আগে থেকেই অনুমান করা মুশকিল। কিন্তু সত্যি কথাটা হচ্ছে, বিদেশে নিজের প্রিয় মাঠে এবারই হয়তো শেষবার খেলতে দেখা গেল টেন্ডুলকারকে, যাঁর ইনিংসের সমাপ্তিটা এভাবে না হলেই বোধহয় ভালো হতো।
ব্যর্থতা ডেকে আনে দুঃসময়। তাই হয়তো সিনিয়র ক্রিকেটারদের কার্যকারিতা, তাঁদের ফিল্ডিং দক্ষতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এমনি টেন্ডুলকারের ফর্ম এবং দলে থাকা-না থাকা নিয়েও প্রকাশ্যে অসন্তোষ জানিয়েছেন সতীর্থ গৌতম গম্ভীর। এতে কিন্তু উলটো বিপদের গন্ধই পাচ্ছেন মাইক হাসি। তাঁকেও একসময় ফেলে দেওয়া হয়েছিল বাতিলের খাতায়, কিন্তু কঠোর পরিশ্রম দিয়ে এখন দলে জায়গাটা টিকিয়ে রেখেছেন 'মিস্টার ক্রিকেট'। টেন্ডুলকারকে খেলা চালিয়ে যেতে দেখেই অনুপ্রাণিত হওয়া হাসি তো বলেই দিয়েছেন, 'আমি টেন্ডুলকারের সমালোচনা শুনতে চাই না, কারণ এটা তাকে আরো বিপজ্জনক করে তোলে।' ওয়েবসাইট, টাইমস অব ইন্ডিয়া, সিডনি মর্নিং হেরাল্ড

ধোনিকে টেস্ট অধিনায়ক আর দেখতে চান না বেদি




টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জা কাটছে না ওয়ানডেতেও। এর মধ্যেই দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের জড়িয়ে আবার বিতর্ক। জ্বলন্ত উনুনে ঘি পড়ল যেন। নইলে এ মুহূর্তে মহেন্দ্র সিং ধোনির টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন কেন বিষেণ সিং বেদি, 'অধিনায়ক হিসেবে সে আর কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। অস্ট্রেলিয়ায় তার ব্যর্থতা স্পষ্ট। তার পরও এটা নির্বাচকদের ব্যাপার। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, টেস্ট অধিনায়কত্বে এখন পরিবর্তন আনার সময় হয়েছে।'
বরাবর চাঁছা-ছোলা মন্তব্য করে অভ্যস্ত ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার ধোনি বনাম সিনিয়র ক্রিকেটার দ্বন্দ্বের বিচারে যাননি। তাঁর মতে পুরো ব্যাপারটাই একটা বাজে দৃষ্টান্ত হলো তরুণ ক্রিকেটারদের সামনে। তবে ধোনি যেহেতু আগে প্রসঙ্গটা তুলেছেন, বেদির অভিযোগের তীর তাই অধিনায়কের দিকেই, 'ধোনির পর শেবাগও ভুল করেছে। দুটো ভুলের মধ্যে একজনকে তো ঠিক বলা যায় না। তবে মিডিয়ায় ধোনিই প্রথম অভিযোগ করেছে। এটা মোটেও ঠিক হয়নি।' ধোনির পাশাপাশি ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক হতাশ বিসিসিআইয়ের কর্মকাণ্ডেই। ধোনির অধিনায়কত্ব সে কারণেও প্রশ্নবিদ্ধ তাঁর কাছে, 'এখানে অনেকের পছন্দ অপছন্দের ব্যাপার আছে। ধোনি তো আবার চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক, যেটি আবার ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্টের দল। খোদ প্রধান নির্বাচক সেই দলের দূত।'
বেদি এই আইপিএল ব্যাপারটা থেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। অনেকের মতো তিনিও মনে করেন, আইপিএলের অর্থ-কড়ির ঝনঝনানি তরুণ ক্রিকেটারদের বিপথগামী করছে। শুধু তা-ই নয়, অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের নাজুক পারফরম্যান্সের পেছনেও তিনি দায় দিচ্ছেন টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এই অর্থকরী আয়োজনকে, 'আইপিএলের কারণে ক্রিকেটাররা এখন রঞ্জিতে খেলতে চাচ্ছে না, দুলিপ ট্রফিতে নামছে না। আর বিসিসিআই টাকা খরচ করেই দায়িত্ব সারছে। কিন্তু শুধু এই টাকায় যে মাঠের পারফরম্যান্স আনে না, সঙ্গে আরো অনেক কিছু লাগে, সেটা তাদের কে বোঝাবে?'
ধোনি বনাম টেন্ডুলকার-শেবাগ-গম্ভীর ইস্যুতে বেদি বোর্ড কর্মকর্তাদের অপেশাদারিত্বকে দায়ী করেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন দলের সঙ্গে থাকা মিডিয়া ম্যানেজারের ভূমিকা নিয়েও। এত সব অসংগতির মাঝে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ধোনিকেও তাঁর কাছে আপত্তিকরই ঠেকছে। আর সেটা জানাতে কোনো ভণিতাও করছেন না সাবেক এই স্পিনার। পিটিআই

বরাদ্দ জায়গাতেই বসলেন ওয়ার্ন

শেন ওয়ার্ন শেন ওয়ার্ন
এই যোগ্যতা অর্জন করেছেন অনেক আগেই। অস্ট্রেলিয়া তো বটেই, ইতিহাসেরই সেরাদের একজন তিনি। অনেকের মতেই সর্বকালের সেরা লেগ স্পিনার। হল অব ফেমে জায়গাটা আসলে বরাদ্দই ছিল! বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। সেটাও হয়ে গেল, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন শেন ওয়ার্ন। আজ মেলবোর্নে অ্যালান বোর্ডার পদক প্রদান অনুষ্ঠানে স্মারক তুলে দেওয়া হবে ওয়ার্নের হাতে।
৭০০ টেস্ট উইকেট নেওয়া প্রথম বোলার, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট, ২৯৩ ওয়ানডে উইকেট—ওয়ার্নকে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে পরিসংখ্যানই যথেষ্ট। তবে স্রেফ এসব পরিসংখ্যানের সাধ্য নেই ওয়ার্নকে বোঝানোর। হল অব ফেমের চেয়ারম্যান ডেভিড ক্রো জানালেন ওয়ার্নের সেই সর্বব্যাপী আবেদন, ‘ক্রিকেটে শেন ওয়ার্নের অবদান অনেক। লেগ স্পিনকে পুনরুজ্জীবিত করেছে ও। নিখুঁত লাইন-লেংথের সঙ্গে বৈচিত্র্য ও বিশাল টার্ন মিলিয়ে নিষ্প্রাণ উইকেটেও ও ছিল ভয়ংকর। দলের প্রয়োজনের সময় পারফর্ম করেছে। যে সংখ্যায় উইকেট পেয়েছে, কিংবদন্তি তালিকায় জায়গা পাওয়ার জন্য সেটাই যথেষ্ট। অতিমানবীয় পারফরম্যান্স তো আছেই, ওয়ার্ন খেলাটার মোড় পাল্টে দিয়েছে। নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করেছে লেগ স্পিন শিল্পের চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করতে।’
হল অব ফেমে জায়গা তাঁর জন্য নির্ধারিত, ওয়ার্ন নিজেও জানতেন। তার পরও আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর জানিয়েছেন উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া, ‘এটা অনেক বড় একটা সম্মান। ভীষণ, ভীষণ গর্বিত আমি। পরিবার ও সন্তানদের সঙ্গে মুহূর্তটি উপভোগ করতে পেরে আরও ভালো লাগছে। হল অব ফেমে অসাধারণ সব ক্রিকেটারের জায়গা হয়েছে, তাঁদের পাশে আসতে পারাটা বড় এক সম্মান। এ বছর একমাত্র আমি-ই মনোনীত হয়েছি, সেটাও অবসর নেওয়ার খুব বেশি পরে নয়—সব মিলিয়ে এই সম্মান আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
গর্বের দিনটিতে ওয়ার্ন পেছন ফিরে তাকিয়েছেন খেলোয়াড়ি জীবনের স্মরণীয় মুহূর্তগুলোয়, ‘আমি খুবই ভাগ্যবান, অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে অসাধারণ সব মুহূর্ত কেটেছে আমার, দারুণ সব অর্জনের অংশ হয়েছি। দেশে-দেশের বাইরে সব জায়গায় জিতেছি আমরা, লম্বা সময় ধরে ছিলাম এক নম্বর। ব্যক্তিগতভাবে স্মরণীয় স্মৃতি আমার অভিষেক টেস্ট, ১৯৯২ সালে সিডনিতে। মাঠে ঢোকার সময় স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে দেখলাম লেখা, “অভিনন্দন, শেন ওয়ার্ন, অস্ট্রেলিয়ার ৩৫০তম টেস্ট ক্রিকেটার।” দলগতভাবে প্রিয় স্মৃতি ১৯৯৩ অ্যাশেজ ও ১৯৯৪ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। বিশ্বকাপ জয়, অ্যাশেজ জয়...আমি খুবই ভাগ্যবান, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের দারুণ এক সময়ে খেলেছি এবং অনেক বন্ধু পেয়েছি।’
ওয়ার্নের ধারণা, আগামী এক-দেড় বছরের মধ্যে আবার বিশ্ব ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পাবে অস্ট্রেলিয়া। আর দেখে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ দুই গ্রেটের প্রতিচ্ছবি, ‘আমার মতে, এই মুহূর্তে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় মিচেল মার্শ। যদি আমরা ওকে নিয়ে তাড়াহুড়ো না করি, ধৈর্য ধরে ওকে গড়ে তুলি, উৎসাহ দিই—তাহলে আমার ধারণা ও হতে যাচ্ছে সত্যিকারের সুপারস্টার। আর ডেভিড ওয়ার্নারকে টেস্টে পারফর্ম করতে দেখে খুব ভালো লেগেছে। আমি সব সময় বলেছি, ও সব ধরনের ক্রিকেটেই বড় এক সম্পদ হতে পারে।’ ওয়েবসাইট।

টেন্ডুলকার-সিডনির বন্ধন

আজীবন সদস্যপদের স্মারক দেওয়া হচ্ছে টেন্ডুলকারকে, পেছন থেকে তাকিয়ে দেখছেন ‘ব্র্যাডম্যান’, আসলে � আজীবন সদস্যপদের স্মারক দেওয়া হচ্ছে টেন্ডুলকারকে, পেছন থেকে তাকিয়ে দেখছেন ‘ব্র্যাডম্যান’, আসলে যেটি ব্র্যাডম্যানের আবক্ষ মূর্তি
এএফপি
সম্পর্কের শুরু সেই ১৯৯২ সালে, ১৯ বছর বয়সে যখন এখানে প্রথম খেলতে নেমেই করেছিলেন অপরাজিত ১৪৮। সেই থেকে দারুণ এক বন্ধনে জড়িয়ে পড়েছিল সিডনি ক্রিকেট মাঠ ও শচীন টেন্ডুলকার। এই মাঠ তাঁকে দিয়েছে দুই হাত ভরে। অন্যভাবে বললে, ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসগুলোর কয়েকটি টেন্ডুলকার উপহার দিয়েছেন এই মাঠকে। কদিন আগেই বলেছিলেন, দেশের বাইরে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় মাঠ সিডনি। প্রিয় মাঠে কাল খেললেন সম্ভাব্য শেষ ইনিংস। তবে এত দিনের সম্পর্ক চুকেবুকে যাচ্ছে না। বরং থাকছে আজীবন। কালই সিডনি ক্রিকেট মাঠের সম্মানসূচক আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে টেন্ডুলকারকে।
এই সম্মান পাওয়া প্রথম বিদেশি ক্রিকেটার টেন্ডুলকার। সদস্যপদের স্মারকের সঙ্গে ‘এ যুগের ব্র্যাডম্যান’কে উপহার দেওয়া হয়েছে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের একটি আবক্ষ মূর্তি। টেস্ট-ওয়ানডে মিলিয়ে সিডনিতে ১৭ ইনিংসে ৪টি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে টেন্ডুলকারের রান ১১০০, গড় ঠিক ১০০! নিউ সাউথ ওয়েলস প্রিমিয়ার ব্যারি ও’ফ্যালে বললেন, এই সম্মান টেন্ডুলকারের প্রাপ্য, ‘শচীন সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের একজন, বিশ্বের সেরা ক্রিকেট মাঠের একটির আজীবন সদস্যপদ দিয়ে তাঁকে সম্মান জানানোটা তাই যথাযথ। ব্যাটিং কিংবদন্তি নিজেই বলেছেন, এই মাঠ ভারতের বাইরে তাঁর প্রিয় মাঠ। এই মাঠে তাঁর রেকর্ড দেখলেও সেটা বোঝা যায়। সিডনিতে তিনি দারুণ দর্শকপ্রিয়ও, শচীনকে দর্শকেরা সমর্থন দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তিদের মতোই।’
এসসিজি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রডনি ক্যাভালিয়ার তুলে ধরলেন, এই সম্মানের গুরুত্ব, ‘সম্মানসূচক সদস্যপদ কোনো হালকা ব্যাপার নয়। এই সম্মান পাওয়া প্রথম বিদেশি ও মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার শচীন। দারুণ প্রশংসনীয় ও মর্যাদাপূর্ণ এক ক্যারিয়ার তাঁর। আমি নিশ্চিত, সব সদস্য ও ক্রিকেট-ভক্তরা শচীনকে সিডনি ক্রিকেট মাঠে সব সময়ই স্বাগত জানাবে।’ ওয়েবসাইট।

সিবি সিরিজ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

জাদেজার ক্যাচ নেওয়ায় ওয়াটসনকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন ওয়েড ও ওয়ার্নার। অভিনন্দন প্রাপ্য তাঁদের দুজ জাদেজার ক্যাচ নেওয়ায় ওয়াটসনকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন ওয়েড ও ওয়ার্নার। অভিনন্দন প্রাপ্য তাঁদের দুজনেরও, বিপর্যয়ে নেমে ফিফটি করেছেন ওয়েড, ফিফটির সঙ্গে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয় ম্যাচসেরা ওয়ার্নার
রয়টার্স
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিতর্কের ঝড় থামাতে তিন সিনিয়রকে একসঙ্গে খেলালেনও। কিন্তু ভারতের দুর্দশা কাটল না। শেন ওয়াটসনের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ৮৭ রানে জিতে অস্ট্রেলিয়া নিশ্চিত করল সিবি সিরিজের ফাইনাল। আর ভারত চলে গেল খাদের কিনারায়। ফাইনাল খেলতে হলে আগামীকাল হোবার্টে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হবে বোনাস পয়েন্টসহ। এরপর কামনা করতে হবে ২ মার্চ মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার কাছে শ্রীলঙ্কার পরাজয়। অর্থাৎ, নিজেদের জয়, বোনাস পয়েন্ট, অস্ট্রেলিয়ার জয়—এই তিনটি মিললেই কেবল ফাইনাল খেলতে পারবে ভারত।
চোট কাটিয়ে তিন মাস পর ফিরলেন ওয়াটসন। মাইকেল ক্লার্কের পিঠের চোটে ফেরাটা হলো অধিনায়ক হয়ে। টস জিতে শুরুটাও ভালোই হলো। কিন্তু চোট কাটিয়ে ফেরা আরেকজন, প্রাভিন কুমারের বলে পুল করতে গিয়ে মিডঅনে ধরা পড়লেন মাত্র ১ রানে। ফিল্ডিংয়ে পরে দুটি ক্যাচও ছেড়েছেন, তবে বাকি সবটুকুই হয়েছে মনমতো। বোলিংয়ে ৯ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন, অধিনায়কত্ব-অভিষেকে যা অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলিং (আগের সেরা শেন ওয়ার্নের ২/১৯)। নিয়েছেন দুটি ক্যাচও।
৬৬ বলে ৬৮ রান, সঙ্গে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে ম্যাচসেরা অবশ্য ওয়াটসনের ডেপুটি ওয়ার্নার। ৫৭ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে অনেকটা সময় টেনেছেন একা। তবে রায়নার দুর্দান্ত ক্যাচ ফেরায় ওয়ার্নারকেও। পঞ্চম উইকেটে ডেভিড হাসি ও ম্যাথু ওয়েডের ৯৪ রানের জুটিতে তার পরও ভালো একটা ভিত্তি পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু শেবাগের পার্টটাইম স্পিন দারুণভাবে চেপে ধরে অস্ট্রেলিয়াকে, শেষ ১০ ওভারে তুলতে পারে মাত্র ৪৭ রান!
শেবাগ অবশ্য মূল কাজে আবারও ব্যর্থ। ব্যর্থ ভারতের তিন সিনিয়রই, ব্যর্থ কোহলি-রায়না-জাদেজার মতো তরুণেরাও। ৪৯ বল খেলে ধোনি করতে পারলেন ১৪! সিডনির ব্যাটিং উইকেটে ২৫৩ এমন কোনো কঠিন লক্ষ্য ছিল না। কিন্তু ভারতের দুঃসময়ের প্রতীকই হয়ে রইল এই বড় হার।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা না জমলেও উত্তাপ যথেষ্টই ছড়িয়েছিল ম্যাচটি। ম্যাচের ২৪তম ওভারে শর্ট কভার থেকে রায়নার থ্রো ব্যাটসম্যান ডেভিড হাসি হাত দিয়ে ফেরালে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউটের আবেদন করে ভারতীয়রা। আত্মরক্ষার্থে ফিরিয়েছেন বলে তৃতীয় আম্পায়ার আউট দেননি। শচীন টেন্ডুলকারের রানআউটেও খানিকটা ভূমিকা আছে ফলো থ্রোতে বোলার ব্রেট লির সামনে চলে আসা। লি অবশ্য দেখতে পারেননি পেছনে থাকা টেন্ডুলকারকে। তবে ম্যাচ শেষে দুই ঘটনাতেই আক্ষেপ করেছেন ধোনি। ওয়েবসাইট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ২৫২/৯ (ওয়ার্নার ৬৮, ওয়াটসন ১, ফরেস্ট ৭, মাইক হাসি ১০, ডেভিড হাসি ৫৪, ওয়েড ৫৬, ক্রিস্টিয়ান ২৪, ম্যাকাই ১, লি ৪, ডোহার্টি ১৩*; শেবাগ ৩/৪৩, প্রাভিন ২/৩৭, যাদব ২/৩৯, জাদেজা ১/৫১)।
ভারত: ৩৯.৩ ওভারে ১৬৫ (শেবাগ ৫, টেন্ডুলকার ১৪, গম্ভীর ২৩, কোহলি ২১, রায়না ৮, ধোনি ১৪, জাদেজা ৮, অশ্বিন ২৬, ইরফান ২২, প্রাভিন ১, যাদব ০*; ওয়াটসন ২/৯, ডোহার্টি ২/২৬, হিলফেনহস ২/৫০, ক্রিস্টিয়ান ১/৮, লি ১/২৬)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৮৭ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ডেভিড ওয়ার্নার।

COUNTER W