Sunday, February 5, 2012

হাসি শুধু হাসি

১।
একজন অটোমোবাইল ম্যাকানিক্সের(যার ধ্যন-ধারনা একমাত্র ইঞ্জিন নিয়ে) ঘরে সন্তান এসেছে
তাই বউ তাকে sms পাঠালো-“ আপনার স্পেয়ার পার্টস এসে গেছে”
ম্যাকানিক্স ফিরতি sms পাঠালো, “ নাট না বল্টু”
২।
বিছানায় এক রাউন্ড প্রেম পর্বের পর সদ্য কুমারিত্ব বিসর্জনকারিনী প্রেমিকা চিন্তা করছে, “ ঢুকলো ৭ ইঞ্চি,বেরুলো ৩ ইঞ্চি,বাকী ৪ ইঞ্চি কি ভিতরেই থেকে গেল???” | :(
৩।
বাসর রাতে বউয়ের সাথে সহবাসের সময় বউ ব্যাথায় চিৎকার করে ওঠলো।স্বামী বেচারা বলল, “ ১০ পর্যন্ত গুনতে থাকো,ব্যাথা না কমলে বাদ দিব”
স্ত্রী, “ ১,২,.......৩,৪,৫......৬,৭,৮,........৯,,৯,৮,৭,৬,৫,৪,৩,২,১.......২,৩,৪.....”
কয় কি হালায়! / হাসতে হাসতে শ্যাষ হৈয়া গেলাম কয় কি হালায়! / হাসতে হাসতে শ্যাষ হৈয়া গেলাম
৪।
বউ, “ বইয়ে পড়েছি একটী পুরুষ কুকুর সারা বছর কমপক্ষে ৩০০ বার সেক্স করে,আর তুমি ১০০ বারও করো না” (গররররর)
স্বামী, “ একই কুকুর একই মেয়ে কুকুরের সাথে ৩০০ বার করে এইডা কোন বইয়ে লেখা আছে” (গররররর) মুহাহা
৫।
কলগার্লের সাথে সেক্স করার পর-
ছেলে, “সেক্স করলে দুজনেই মজা পায়, তাহলে ছেলেই কেন টাকা দিবে”
কলগার্ল, “ গাধা,তুমি জানো না- আউট গোয়িঙ্গের উপরই বিল হয়,ইনকামিং ফ্রী’




:প :p  

অফিসে যাচ্ছে ক্যাবলা। হাতে খাবারের প্যাকেট। যাওয়ার পথে ক্যাবলা ব্যাগ থেকে খাবারের প্যাকেটটা বের করে কিছুক্ষণ ভালো করে দেখে ব্যাগটা আবার জায়গামতো রেখে দিল। তারপর হনহন করে সামনের দিকে হাঁটা ধরল। ক্যাবলার অফিসের এক সহকর্মী এটা দেখে ক্যাবলাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ভাই, রাস্তার মাঝে এভাবে খাবারের বাটি খুলে দেখে আবার রেখে দিলেন কেন? খিদে পেয়েছিল বুঝি?’ ‘আমি কি আপনার মতো বোকা নাকি যে রাস্তাঘাটে খিদে পাবে!
আমি অফিসে যাচ্ছি না অফিস থেকে বাসায় ফিরছি—এ বিষয়টি পরখ করতেই খাবারের বাটি দেখছিলাম!’ ক্যাবলার জবাব।

হাবলু আর বিল্টুর মধ্যে কথা হচ্ছে—
হাবলু: জানিস, আজ আমার মোবাইল ফোনে অদ্ভুত একটি মেসেজ এসেছে। আর সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইলটি বন্ধ হয়ে গেছে।
বিল্টু: বলিস কী রে! মেসেজে কী লেখা ছিল?
হাবলু: ব্যাটারি লো।
বিল্টু: বলিস কী? মেসেজটা তাড়াতাড়ি আমাকে পাঠিয়ে দে। আমি ওই মেসেজ সবাইকে পাঠিয়ে সবার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেব।

সঞ্জু তার চেকবই হারিয়ে হন্তদন্ত হয়ে ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে গেছে—
ম্যানেজার: আপনি একটু সচেতন থাকবেন না! এখন কেউ যদি আপনার স্বাক্ষর নকল করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেয়, তখন কী করবেন?
সঞ্জু: অন্যজন কীভাবে আমার স্বাক্ষর নকল করবে? আমি কি বোকা নাকি!
ম্যানেজার: কেন?
সঞ্জু: আরে আমি তো চেকবইয়ের সব পৃষ্ঠাতেই স্বাক্ষর করে রেখেছি। অন্য কারও স্বাক্ষর নকল করার আর কোনো সুযোগই নেই।

দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে—
প্রথম বন্ধু: জানিস, আমার আর তমার বিয়ে হয়ে গেছে।
দ্বিতীয় বন্ধু: তাই নাকি রে! আগে তো বলিসনি। এত দিন প্রেম করলি। তা কবে তোদের বিয়ে হলো?
প্রথম বন্ধু: আমার বিয়েটা হয়েছে এ মাসের ১৬ তারিখ। আর তমার ২৫ তারিখ।

সড়ক দুর্ঘটনা ঘটানোর অভিযোগে সঞ্জুকে আদালতে হাজির করা হয়েছে—
বিচারক: কীভাবে ঘটালেন দুর্ঘটনাটা?
সঞ্জু: কোন দুর্ঘটনা?
বিচারক: কেন, যে দুর্ঘটনাটির জন্য আপনি আদালতে?
সঞ্জু: ওই সময় আমি জেগে থাকলে না হয় বলতে পারতাম। কিন্তু হুজুর, আমি তো ওই দুর্ঘটনার সময় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলাম।

হাবলুকে স্নানঘরের দরজা খুলে গোসল করতে দেখে পল্টু বেশ লজ্জা পেয়ে চেঁচামেচি করছে। স্নানঘরের ভেতর থেকে হাবলু বলছে, ‘কী রে পল্টু, এভাবে চিৎকার করছিস কেন?’ পল্টু বলল, ‘তোর কি কোনো লজ্জা-শরমের বালাই নেই। বাসায় দরজা খুলে কেউ গোসল করে নাকি?’
‘দরজা খুলে গোসল করব না তো কী! ব্যাটা তুই যে বজ্জাত। লুকিয়ে লুকিয়ে তালার ফুটো দিয়ে আমার গোসল করা যাতে দেখতে না পারিস সে জন্যই তো দরজা খোলা রেখে গোসল করছি।’ হাবলুর জবাব।

মন্টু ও চিকিৎসকের মধ্যে কথা হচ্ছে—
মন্টু: স্যার, আমি বাসার চাবি গিলে ফেলেছি।
ডাক্তার: বলেন কী! কখন এ ঘটনা ঘটালেন?
মন্টু: তা প্রায় মাস দুয়েক হবে।
ডাক্তার: এত দিন আসেননি কেন?
মন্টু: স্যার, তখন একটি নকল চাবি বানিয়ে নিয়েছিলাম। আজকে সেটাও হারিয়ে গেছে, তাই বাধ্য হয়ে আপনার শরণাপন্ন হয়েছি।

দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে—
প্রথম বন্ধু: জানিস, কাল রাতে কী হয়েছিল?
দ্বিতীয় বন্ধু: কেন, কী হয়েছে?
প্রথম বন্ধু: দুই ছিনতাইকারী আমাকে ধরে মারধর করে সবকিছু নিয়ে গেছে।
দ্বিতীয় বন্ধু: তুই না সঙ্গে লাইসেন্স করা পিস্তল রাখিস। ছিনতাইকারীদের ওটা দেখালে তো পারতি!
প্রথম বন্ধু: বোকার মতো কথা বলিস কেন? আমি তো ওটা পেছনে বেল্টের সঙ্গে লুকিয়ে রেখেছিলাম। ভাগ্যিস, ছিনতাইকারীরা টের পায়নি। টের পেলে তো পিস্তলটাও নিয়ে যেত।

প্রথমবারের মতো হাবলু গেছে রেস্তোরাঁয় খেতে। কিছুক্ষণ পর ওয়েটার একটা মেন্যুবই নিয়ে হাবলুর সামনে এসে বলল, ‘স্যার, কোনটা খাবেন?’ হাবলু মেন্যুবইয়ে খাবারের নামগুলো ভালো করে দেখে একদম শেষেরটাতে আঙুল রেখে বলল, ‘এটা দিয়ে দিন।’
ওয়েটার বলল, ‘স্যার, এটা তো আপনি খেতে পারবেন না।’ হাবলু বলল, ‘মেন্যুতে লিখে রেখেছেন অথচ এখন বলছেন, এটা খেতে পারব না। এটা কেমন ফাজলামো।’ ‘স্যার, আপনি শেষেরটা দেখিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু শেষেরটা হচ্ছে এই রেস্টুরেন্টের মালিকের নাম। ওটা কী করে খাবেন, স্যার।’ ওয়েটারের জবাব।



হাবলু আর বিল্টুর মধ্যে কথা হচ্ছে—
হাবলু: জানিস, আজ আমার মোবাইল ফোনে অদ্ভুত একটি মেসেজ এসেছে। আর সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইলটি বন্ধ হয়ে গেছে।
বিল্টু: বলিস কী রে! মেসেজে কী লেখা ছিল?
হাবলু: ব্যাটারি লো।
বিল্টু: বলিস কী? মেসেজটা তাড়াতাড়ি আমাকে পাঠিয়ে দে। আমি ওই মেসেজ সবাইকে পাঠিয়ে সবার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেব।

প্রথমবারের মতো হাবলু গেছে রেস্তোরাঁয় খেতে। কিছুক্ষণ পর ওয়েটার একটা মেন্যুবই নিয়ে হাবলুর সামনে এসে বলল, ‘স্যার, কোনটা খাবেন?’ হাবলু মেন্যুবইয়ে খাবারের নামগুলো ভালো করে দেখে একদম শেষেরটাতে আঙুল রেখে বলল, ‘এটা দিয়ে দিন।’
ওয়েটার বলল, ‘স্যার, এটা তো আপনি খেতে পারবেন না।’ হাবলু বলল, ‘মেন্যুতে লিখে রেখেছেন অথচ এখন বলছেন, এটা খেতে পারব না। এটা কেমন ফাজলামো।’ ‘স্যার, আপনি শেষেরটা দেখিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু শেষেরটা হচ্ছে এই রেস্টুরেন্টের মালিকের নাম। ওটা কী করে খাবেন, স্যার।’ ওয়েটারের জবাব।

১৮+ কৌতুক প্লিজ ব্যান করবেন না, অথবা করার ইচ্ছা থাকলে ,একটা কারণ দর্শাও নোটিশ পাঠাবেন।এক্সট্রিমলি ম্যাচিউরডদের জন্য।

ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে সুন্দরী শিক্ষিকা চাকুরিতে যোগ দিলেন। পড়াতে গিয়েই টের পেলেন,যুগের ছেলেরা পাল্টেছে, অতি স্মার্ট ডিজুস পোলাপান নিয়ে ম্যাডামের বেকায়দা অবস্থা। প্রথম গ্রেডে সদ্য ভর্তি হওয়া রাজু তো বলেই বসলো, ম্যাডাম,আমি কোনো অবস্থাতেই প্রথম গ্রেডে পড়বোনা। কারণ,প্রথম গ্রেডের সব পড়ালিখা আমি অনেক আগেই শেষ করে ফেলেছি। এমনকি আমার বড় বোন যে ৩য় গ্রেডে পড়ে ,আমি ওর চেয়ে ও স্মার্ট।কাজেই মিনিমাম ,আপনি আমাকে ৩য় গ্রেডে পড়ার সুযোগ করে দিন।
ম্যাডাম,রাজুকে নিয়ে প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে গেলেন।সব খুলে বললেন।
প্রিন্সিপাল স্যার বললেন, ঠিক আছে,আমি তোমাকে দুয়েক টা প্রশ্ন করবো, যদি তুমি ঠিক ঠিক উত্তর দিতে পারো ,তবে তোমাকে উপরের ক্লাশে প্রমোশন দেয়া হবে।
প্রিন্সিপাল স্যার বললেন, আচ্ছা বলতো রাজু, ৩ গুন ৩ = কত?
রাজুর জটপট জবাব, স্যার , নয়।


আচ্ছা বলতো ৮ গুন ৮ সমান কত?
এবারও রাজুর জবাব স্যার ৬৪।
প্রিন্সিপাল স্যার ম্যাডামকে বললেন, রাজুকে উপরের ক্লাসে প্রমোশন দেয়া যায়।


রুপবতি ম্যাডাম এবার প্রিন্সিপাল স্যার কে বললেন, স্যার আমারও কিছু প্রশ্ন ছিলো, যদি আপনি অনুমতি দেন,আমিও একটু ওর মেধা যাচাই করি।
প্রিন্সিপাল স্যার এবার মাথা নেড়ে সায় দিলেন।


ম্যাডাম ,রাজুকে প্রথম প্রশ্ন করলেন-আচ্ছা রাজু বলতো,গাভীর চারটা আছে,কিন্ত আমার আছে দুটো। সে টা কি?
রাজু চুপচাপ চিন্তা করছে,আর মিটিমিটি হাসছে।
ম্যাডাম বললেন,লজ্জা পাবার দরকার নেই রাজু। তুমি সঠিক জবাব দিও।
রাজু বললো, ম্যাডাম,এটা হলো-আপনার দুই পা।


ম্যাডাম এবার ২য় প্রশ্ন করলেন, আচ্ছা এবার বলতো, তোমার প্যান্টের ও জায়গায় আছে,আর আমার তা নেই সেটা কি?
রাজু লাজে হাসে।
ম্যাডাম বলেন,লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই রাজু।
রাজু বলেন,ম্যাডাম এটা হলো,আমার প্যান্টের পকেট।


ম্যাডামের পরের প্রশ্নঃ আচ্ছা, বলতো,এমন একটি শব্দ যা ইংরেজে লেটার
C দিয়ে শুর আর T দিয়ে শেষ। জিনিসটা গোলাকার,ডিলিশাস,ভেতরে ভেজা ভেজা, আর নরম,যা পেলে সবাই তৃপ্ত হয়।
প্রশ্ন শুনে প্রিন্সিপাল স্যারের চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।কি বলবেন ভেবে পাচ্ছেন না।চেহারা পুরো লাল হয়ে গেছে।
রাজ বললো, ম্যাডাম এটা হলো Cocunut.


ম্যাডের পরের প্রশ্নঃ আচ্ছা এবার বলোতো, যা খুব শক্ত হয়ে কারো ভিতরে ঢুকে,আর নরম,ভেজা,আঠালো হয়ে বের হয়ে আসে?
রাজুর জবাব, ম্যাডাম এটা হলো বাবল গাম।


ম্যাডামঃআচ্ছা এবার বলোতো, কোন শব্দ ইংরেজি F দিয়ে শুরু আর K দিয়ে শেষ। যে শব্দ শুনলেই শরীরে যথেষ্ট উত্তাপ আর উত্তেজনা শুরু হয়-
এ প্রশ্ন শুনে প্রিন্সপাল স্যারের আবারো, লজ্জাকর অবস্থা ।
কিন্ত রাজুর উত্তর ,ম্যাডাম এটা হলো Fire Truck.


ম্যাডামঃ বলোতো কোন শব্দ ইংরেজি F দিয়ে শুরু আর K দিয়ে শেষ। যা মানুষ না পেলে হাত ব্যবহার করে।
রাজুর জবাব-ম্যাডাম এটা হলো-Fork.


ম্যাডামঃ রাজু বলতো সোনা,এ জিনিসটা কারো লম্বা, আবার কারো ছোট, একেক জনের একেক সাইজের হয়।বিয়ে করার পর জামাই আদর করে বউকে দিয়ে থাকে।
রাজুর জবাব--ম্যাডাম এটা হলো ডাকনাম।


ম্যাডামঃ রাজু বলতো এটা পুরুষের শরীরে কোন অংশ যেখানে কোনো হাড় নেই,তবে অনেক শিরা আছে,এক রকমের মাংসপিন্ডের সমষ্টি,উত্তেজনাকর অবস্থায় বেশী অনুভূত হয়।বিশেষ করে যা দিয়ে ভালোবাসা বাসি বুঝা যায়।


রাজুর জবাব, ম্যাডাম এটা হলো হার্ট বা হৃদয়।


শুনার পর প্রিন্সিপাল স্যার যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। ম্যাডাম কে বললেন ওকে ৮ গ্রেডেই প্রমোশন দেয়া হোক। কারণ শেষের কয়েকটি প্রশ্নের জবাব আমি নিজেই ভুল করেছি।


(যারা আগে পড়েননি শুধু তাদের জন্য,নেটে অনেকেই পড়তে পারেন।আশাকরি সবাই ফান হিসাবে নিবেন।)

আজ তবে কিছু কৌতুক শুনাই….

(প্রথমেই সরল স্বীকারোক্তি: বেশীরভাগই কমন পড়ে যাবে- হাসি আসবে না: দয়া করে দোষ দিয়েন না)
আমার প্রথম কৌতুকটি সামহোয়াইনব্লগে কয়েকজনের পোস্টে দেখেছি। নিজের ভাষায় পুনর্লিখন করছি:
কৌতুক এক:
এক ধার্মিক ব্যক্তি আর এক নাস্তিক পাশাপাশি হাটছিল। ধার্মিক ব্যক্তি স্বভাবসুলভ পাশের ব্যক্তিটিকে নামাজ-রোজা এসবের ফজিলত বর্ননা শুরু করতেই নাস্তিক ব্যক্তির প্রশ্ন: আপনি আল্লাহরে বিশ্বাস করেন?
ধার্মিক ব্যক্তি একটু থতমত খেয়ে জবাব দেয়: হ্যা।
নাস্তিক: কেন?
ধার্মিক: বাহ, আমাদের সৃষ্টিকর্তা, আমাদের পালনকর্তাকে বিশ্বাস করবো না?
নাস্তিক মহাশয় এবার একটা ব্যঙ্গ হাসি হেসে বললো: আপনি দেখেছেন কখনো আল্লাহকে? আর, আল্লাহকে মানতে গেলে তো ভাগ্যকেও মানতে হয়- ভালো আর মন্দ তাহলে তো সবই আল্লাহরই কাজ- তাতে আমাদের কি কোন হাত আছে?
নাস্তিকের প্রশ্ন দুটি শুনে ধার্মিক ব্যক্তি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলো। তারপর, হঠাৎ করেই একটা ইট তুলে- নাস্তিকের মাথায় মেরে বসলো।

থানা-পুলিশ হয়ে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালো। বিচারক ধার্মিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন: আপনাকে ঐ ব্যক্তি দুটো প্রশ্ন করলো- আর আপনি তাকে এভাবে আঘাত করলেন? বেচারি কত ব্যথা পেলো!
ধার্মিক ব্যক্তি: আমি তার দুটি প্রশ্নের জবাব এক ইট দিয়ে দিয়েছি।
বিচারক: সেটা কিভাবে?
ধার্মিক ব্যক্তি: সে বলেছে যা দেখা যায় না,তা বিশ্বাস করা যায় না। তাহলে সে যে ব্যথা পাচ্ছে তা তো আপনি আমি কেউ দেখছিনা। সে শুধু অনুভব করছে।
বিচারক: আর, দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর?
ধার্মিক ব্যক্তি: ওটা তার কপালে লেখা ছিল।
*****************
মনে হয়- ১ম কৌতুকটি ফ্লপ, একটুও হাসি আসেনি- তাই না? আমারো আসতো না- কিন্তু এটাকে কৌতুক হিসাবে চালানোর প্রচেস্টায় খুব হাসি পেয়েছিল। প্রচেস্টাটা বেশ অভিনব- গল্প বা কৌতুকের ছলে- নাস্তিকদের দুটো প্রশ্নের জবাব কি সুন্দর দেয়া হলো! আমি অবশ্য ভাবছি- তার পরের ঘটনা। বিচারক কি করবেন? ইট মারার অভিযোগে নিশ্চয়ই ধার্মিক ব্যাটার শাস্তি হবে। এবং এই রায়টাকেই বলা হয় ইহজাগতিক। ইহজাগতিক এই কারণে যে- বিচারক তার রায় দিবেন নাস্তিকের ব্যথার কথা শুনে নয়- দিবেন ঘটনার কারণে- ঘটনাটি হচ্ছে, ইট দিয়ে নাস্তিকের মাথায় আঘাত করা হয়েছে এবং এটি ধার্মিক ব্যক্তির হাতে ছিল, নাস্তিক ব্যক্তি ঘটনাটি দেখেছে- ধার্মিক ব্যক্তিও স্বীকার করছে এবং আশে পাশের দু একজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য এর প্রমান- যার ভিত্তিতে বিচারক রায় দিতে পারেন। (কৌতুকটি থেকে শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে: যুক্তিতে না পারলে বা জবাব দিতে না পারলে- ইট-ই ভরসা!!)
এবারে দ্বিতীয় কৌতুকে যাওয়া যাক। এটি বাচ্চাকালে শোনা এবং তখনও আমি মোটেই নাস্তিক নই।
কৌতুক দুই:
এক মুসলমান অন্ধ ব্যক্তি ধর্ম-কর্মের ব্যাপারে খুবই উদাসীন। এমনকি জুম্মার নামাজটাও সে পড়তে যায় না। সুরা-দোয়া-দরুদ কিছু তার মুখস্ত নেই। পাড়ায় সবাই খুব নিন্দে করে। নিন্দে শুনে তার বউ এর খুব মন খারাপ হয় এবং এসে স্বামির সাথে খুব হাম্বিতাম্বি করে। কিন্তু অন্ধ লোকটি যেমন তেমনই থাকে; খালি হাই তুলে বলে: অন্ধ মানুষ- আল্লাহ নিশ্চয়ই সব ভুল-চুক মাফ করে দিবেন।
পাড়ার মসজিদের ইমামের কাছে অনেকেই নালিশ তুলেন। ইমাম নিজে খোড়া, তাই অন্ধলোকটির প্রতি কিছুটা সহানুভূতি ছিল। কিন্তু তিনিও শেষ পর্যন্ত আর ধৈর্য রাখতে পারলেন না- অন্ধলোকের বাড়িতে গিয়ে ফতোয়া দিয়ে আসলনে- পরের জুম্মায় তাকে যদি মসজিদে না দেখা যায়- তবে তাদেরকে একঘরে করা হবে। শুনে অন্ধলোকের বউ তো কেদেকেটে একাকার, সেও জানিয়ে দিলো- এবারের জুম্মায় তার স্বামি না গেলে- সে আত্মহত্যা করবে। উপায়ন্তর না দেখে জুম্মাবারে নামাজ পড়তে অন্ধলোকটি মসজিদে গিয়ে হাজির।
জামাতে অনেকের সাথে দাড়িয়েছে নামাজ পড়ার জন্য। ইমাম আল্লাহু আকবর বলে নামাজ শুরু করেছে। সুরা পাঠ শুরু হয়েছে- আলহামদুলিল্লাহ…। অন্ধলোকটি শুনছে আর ভাবছে- এগুলো কি বলছে, এসবের মানে কি? কিছুই বুঝতে পারছে না – বুঝার চেস্টা করছে- বুঝা যাচ্ছে না: এমন সময় দেখে ইমামের একটি বাক্যের আংশিক সে বুঝতে পারছে: ইয়া কানা বুদুয়া ইয়া কানাস্তাইন…। কিন্তু শুনেই তো অন্ধলোকের পুরা মাথা গরম। সে কানা বলে তাকে নিয়ে মশকরা! ল্যাংড়া ইমামের মনে তাহলে এটাই ছিল! তাকে ডেকে সকলের মধ্যে এমন অপমান!
অন্ধলোকটি দমার পাত্র না, সে কোনমতেই ছাড় দিতে রাজী হলো না। সেও চিৎকার করে উঠলো: ইয়া ল্যাংড়া বুদুয়া ইয়া ল্যাংড়াস্তাইন….
***************
বাচ্চাকালের কৌতুকে যতখানি উইট থাকে আর কি! যাহোক, পরে আরেকটি ঘটনার সময়ে এই কৌতুকের কথা আবার মনে পড়ে। বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা। জনকন্ঠে ফতোয়া বিরোধী একটা লেখা নিয়ে মোল্লারা বিশাল চিল্লাফাল্লা করেছিল, কোরআন বিকৃতির অভিযোগে ঐ প্রবন্ধের লেখক, সম্পাদক-উপসম্পাদক অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছিল। ঐ লেখাটিতে কি ছিল? ফতোয়াবাজরা কি করে কোরআনকে ব্যবহার করে ফতোয়া দেয় তার একটা উদাহরণ ছিল গল্প আকারে। এক বিধবার একমাত্র সম্বল তার বলদটির দিকে দেবরের লোভাতুর দৃষ্টি পড়ে (ভাবীর দিকেও- কেননা একদম নিঃস্ব হয়ে পড়লে ভাবী বাধ্য হয়ে..)। দেবর টাকা পয়সা দিয়ে গ্রামের মাতুব্বর ও ইমামকে হাত করে। দেবরের নাম ছিল আমিন। সালিশ অনুষ্ঠিত হয়: বিধবা তার দুগ্ধপোষ্য শিশুটিকে নিয়ে হাজির হয়। সালিশের বিষয়- বিধবা মহিলার স্বামির মৃত্যুর পরে বলদের প্রকৃত মালিক কে? বিধবা? তার দুগ্ধপোষ্য শিশুটি? নাকি শিশুটির চাচা আমিন? ইমাম সাহেব কোরআন থেকে ফতোয়া দেন: “আত ত্বীন”- মানে তোমরা তিনজন। …. “বালাদাল আমিন”- মানে বলদ আমিনের। সুতরাং বলদটি আমিনের। ইত্যাদি।
এই ঘটনার পরে মনে হয়েছিল- বাচ্চাকালের “কানা বুদুয়া”কে “ল্যাংড়া বুদুয়া” যারা বানিয়েছিল- তাদেরো নিশ্চিত কাফের ঘোষণা করা উচিত ছিল। তবে মনে আছে- ঐ সময়ে এই গল্পটি যে বলেছিল- বা যারা শুনেছিলাম- সবাই আস্তিক ছিল। কারো কোরআন বিকৃতির কথা মাথায়ও আসেনি। ভাবি- আহা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।
তিন নম্বরটা বেগম রোকেয়ার রচনা সমগ্র থেকে নেয়া। এবং মূল ভাবটি ঠিক রেখে এটি নিজের মত করে আমার তৈরি:
কৌতুক তিন:
মসজিদের ইমাম মসজিদেই এলাকার বাচ্চা – কাচ্চাদের কায়দা-আমপাড়া শেখান। তো, একদিন শহর থেকে মাদ্রাসার বড় হুজুর আসাতে ইমাম সাহেব ভাবলেন, বাচ্চাদের সাথে বড় হুজুরের সাক্ষাৎ হলে মন্দ হয় না। যেমন ভাবা তেমন কাজ।
বড় হুজুর এসে বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে ধর্ম-কর্ম নিয়ে কিছুক্ষণ ওয়াজ নসিহত করলেন। তারপরে চলে যাওয়ার আগে কি মনে করে যেন- বাচ্চাদের কাছে এক এক করে জিজ্ঞেস করতে লাগলেন- বড় হয়ে কে কি হতে চায়।
: বল তো বাবা, বড় হয়ে তুমি কি হতে চাও?
: আমি বাবার মতো কৃষক হবো।
: বাহ বেশ ভালো, বেশ ভালো। মানুষের ক্ষুদা নিবারনে কাজ করা খুবই সোয়াবের কাজ।
আরেকজনের দিকে তাকিয়ে: তো তুমি বলতো বাবা- কি হতে চাও?
: আমি বড় হয়ে শিক্ষক হবো।
: মা’শাল্লাহ। এটা আরো ভালো। মানুষের আত্মার ক্ষুদা নিবারণ হবে তাতে। এটাতে অনেক সোয়াব হবে।
আরেকজনকে: তুমি কি হতে চাও?
: আমি হুজুর হবো।
: মা’শাল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! এটা তো সবচেয়ে ভালো কাজ। মানুষের ইহজগত-পরলোক সমস্ত ক্ষুদা নিবারণে তুমি কাজ করবে। আল্লাহ অনেক খুশি হবেন- অনেক সোয়াব দিবেন। …
উচ্ছাস একটু কমলে বাচ্চাটিকে আবার প্রশ্ন করেন: আচ্ছা বাবা, তোমার কেন এমন হুজুর হতে ইচ্ছা?
: আমরা খুব গরীব, ঠিক মত খাবার পাই না। তারপরেও যখন বাসায় হুজুর আসেন- মা বাসার মুরগী জবাই করে ওনাকে খুব যত্ন করে খাওয়ান।
***********
কৌতুকটি পড়ে ঠিক হাসি না, একটু মন খারাপ হয়ে যায়। এবার তাহলে আর মন খারাপের দরকার নেই। যে কৌতুকটি খুব হাসিয়েছিল, এবার সেটিই হোক:
কৌতুক: চার
দুই বন্ধু, একজন আস্তিক আরেকজন নাস্তিক।
একদিন দুই বন্ধু মিলে পাখি শিকারে গেল। তো, প্রতিবার গুলি করে পাখি মরছিল না- আর নাস্তিক বন্ধু বিরক্তির স্বরে বলে উঠে: ধুর! বালটা মিস হয়া গেল!!
শুনে আস্তিক বন্ধু কানে হাত দিয়ে সংশোধন করে দেয়: আমরা আমাদের মুখ সামলে রাখি, নচেত আল্লাহ রাগ করিবেন…
নাস্তিক বন্ধু সরি-টরি করে আবার পাখি শিকারে ব্যস্ত হলো।
আবার কিছুক্ষণ পরে টার্গেট করে গুলি ছুড়লো- কিন্তু পাখি মরলো না। বিরক্ত হয়ে বলে উঠলো: ধুর! বালটা আবার মিস হয়া গেল!!
: আমরা আমাদের মুখ সামলে রাখি, নচেত আল্লাহ রাগ করিবেন… (একটু রাগত স্বরে ও উচ্চস্বরে)
: সরি সরি…
আবার একই ঘটনা….
: ধুর! বালটা মিস হয়া গেল!!
: আমরা আমাদের মুখ সামলে রাখি, নচেত আল্লাহ রাগ করিবেন… (আরো রেগে আরো চিৎকার করে)
: সরি সরি সরি…. (প্রায় হাত-পা ধরা অবস্থা)
কিছুক্ষণ পর। একটা পাখির দিকে টার্গেট করেছে নাস্তিক বন্ধু, গুলি ছুড়লো- কিন্তু আবারো মিস…
: ধুর! বালটা মিস হয়া গেল!!
: আমরা আমাদের মুখ সামলে রাখি, নচেত আল্লাহ রাগ করিবেন… (এবারে চরম ক্ষেপে গিয়ে সহ্যের শেষ সীমায় পৌঁছে চিৎকার করে)
: স……..
নাস্তিক বন্ধুটি কথা শেষ করতে পারলো না…….
তার আগেই প্রচণ্ড আওয়াজ হয়ে একটি বাজ নেমে আসলো….
দেখা গেল- সেই বাজে আস্তিক বন্ধুটি মরে পড়ে আছে…..
এবং….
আকাশ থেকে একটি গায়েবী আওয়াজ শোনা গেল
: ধুর! বালটা মিস হয়া গেল!!
**********************************
এটি শুনে এক আস্তিক বন্ধু “কি হলো” “কি ঘটলো” জিজ্ঞেস করতে করতে শেষে মন্তব্য করল: “যাক! অন্তত- এটাতো স্বীকার করা হয়েছে যে ঈশ্বর আছে!” এই মন্তব্যটা কৌতুকের চেয়ে সামান্য কম হাসায়নি আমদের।
আসলে কৌতুকে আদিরস যুক্ত হওয়াটাই যেহেতু রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে- সেহেতু এসব রস ছাড়া কৌতুকে হাসানোটা কঠিন। এটা জেনেও- সে পথে যাচ্ছি না। মোল্লা-হুজুরদের নিয়েও কিছু কৌতুক প্রচলিত আছে, কিন্তু ঐ ব্যক্তিদের নিয়ে খালি খালি হাসি তামাশা করতেও মন চাচ্ছে না। এবারে আমার পরবর্তী কৌতুক…
কৌতুক: পাঁচ
মধ্যযুগের কাহিনী। এক অত্যাচারী রাজা তার বিপরীত মত পথের লোকদের নির্বিচারে ধর-পাকড়, এমনকি হত্যা পর্যন্ত করছিল- এমন সময়কার ঘটনা। ঘটনাচক্রে এক খৃস্টান, এক মুসলমান আর এক নাস্তিক ধরা পড়লো- রাজার বিরোধিতা করার অপরাধে তাদের মৃত্যুদন্ডের রায়ও হলো।
নির্ধারিত দিনে এক এক করে তাদেরকে গিলোটিনে চড়ানোর জন্য নেয়া হলো। প্রথমে খৃস্টান ব্যক্তির পালা। তাকে বলা হলো: মরার আগে শেষবারের মতো প্রার্থনা করতে চাইলে সে করতে পারে। খৃস্টান ব্যক্তিটি আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রার্থণা করলো: “আমাকে আমার পিতা যেশাসই রক্ষা করবে”। এরপরে সে গিলোটিনে তার মাথা গিলোটিনে রাখলো। কিন্তু অবাক ব্যাপার! দেখা গেলো- ধারালো ব্লেডটি সাই সাই করে নামতে নামতে হঠাতই তার মাথার ইঞ্চিখানেক উপরে এসে থেমে গেলো।
জনতা গুঞ্জন করে উঠলো: কি অলৌকিক! কি অলৌকিক!
এবারে, মুসলমানের পালা। তাকেও শেষবারের মত প্রার্থনা করার সুযোগ দেয়া হলো। সে দু হাত উপরে তুলে আর্জি জানালো: ” আমাকে আল্লাহ পাক-ই রক্ষা করবেন”। প্রার্থনা শেষে মাথা গিলোটিনে রাখলো। এবং এবারেও অবাক করে- ব্লেডটি ঠিক মাথার কাছে এসে আটকে গেলো।
জনতার মাঝে আবার গুঞ্জন উঠলো: কি অলৌকিক! কি অলৈকিক!
সব শেষে নাস্তিকটির পালা। তাকে প্রার্থণা করতে বলা হলো। সে চুপচাপ দাড়িয়ে থেকে- গিলোটিনটির দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়েই থাকলো। কয়েকবার বলার পরেও যখন সে একইরকম চুপ থাকলো- তখন তার মাথাটি ধরে গিলোটিনের নীচে রাখা হলো। ব্লেডটি নামানো হবে হবে- এমনই সময়ে সে কথা বলে উঠলো: “বোধ হয় আমি কারণটি ধরতে পেরেছি। বোকা, নীচ থেকে একফুট উপরে একটা আংটায় আটকে যাচ্ছে এটা বারেবারে- ওটা সরাও”।
******************
এক আস্তিকের কাছ থেকে শুনেছিলাম- ব্যাপক হাসছিলো নাস্তিকদের বেকুবগিরি দেখে। কিন্তু- আমার কাছে এই বেকুব নাস্তিক ক্যারেকটারটা অসাধারণ লেগেছিল। হয়তো বা- নিজেও অমন বেকুব হতে চাই বলেই।
এবারে, আজকের মতো শেষ কৌতুকটি বলি। (আদিরসের হালকা ছোয়া আছে)
কৌতুক:ছয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের মিড-টার্ম পরীক্ষার একটি প্রশ্ন:
দোযখ কি তাপোৎপাদী (exothermic) না কি তাপহারী (endothermic)? ব্যাখ্যা সহ লিখো।
বেশীরভাগই বয়েলের সূত্র থেকে ও আরো কিছু ভেরিয়েবল দিয়ে নিজেদের জবাবের পক্ষে যুক্তি হাজির করলো। (গ্যাস প্রসারিত হলে তা তাপমাত্রা হারায় বা সংকোচিত হলে তাপমাত্রা বাড়ে… ইত্যাদি)
যাহোক এক ছাত্রের খাতায় একটু ভিন্ন আঙ্গিকের আলোচনা পাওয়া গেলো:

“প্রথমত আমাদের দেখতে হবে- দোযখে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, না কি কমছে, না কি অপরিবর্তিত থাকছে। এটা বের করার জন্য আমদের দেখতে হবে- দোযখে প্রবেশ করা আত্মার সংখ্যা এবং দোযখ থেকে চলে যাওয়া আত্মার সংখ্যা কেমন।
আমার মনে হয়- কোন আত্মা একবার দোযখে ঢুকলে সে আর বেরুবে না। এমনটি ঘটলে ধরেই নেয়া যায় দোযখ থেকে কেউ বের হচ্ছে না। ফলে যা ঘটতে পারে তা হচ্ছে কেবল আত্মার দোযখে অনুপ্রবেশ। সুতরাং কিরকম সংখ্যায় আত্মা দোযখে ঢুকছে।
আমরা দুনিয়ায় নানা ধর্ম আছে, এবং প্রতি ধর্মই বলছে নিজ ধর্ম ব্যতিত অপর ধর্মের প্রতিটি মানুষই দোযখে যাবে। সে হিসাবে যেকোন মানুষই তার নিজ ধর্মের বাইরে অন্য যেকোন ধর্মের চোখে দোযখগামী। অর্থাৎ- যেহেতু কোন একজন মানুষের পক্ষে একই সাথে দুনিয়ার সকল ধর্মের অনুসারী হওয়া সম্ভব নয়- সুতরাং, বুঝাই যাচ্ছে- দুনিয়ার সর্ব যুগের সব মানুষই দোযখে যাচ্ছে।
যুগে যুগে মানুষের জন্মহার ও মৃত্যুহার দেখে আমরা বুঝতে পারি যে, দোযখে প্রবেশকারী আত্মার সংখ্যা এক্সপোনেনশিয়ালি বাড়ছে। দোযখে আত্মা প্রবেশের হার ও দোযখের প্রসারণের হার তুলনা করেই আমরা বুঝতে পারবো- এটা এক্সোথার্মিক- নাকি এন্ডোথার্মিক।
কেননা বয়েলের সূত্র থেকে আমরা জানি যে, দোযখের তাপমাত্রা ও চাপ একই রাখতে হলে- দোযখে আত্মার অনুপ্রবেশের হার অনুপাতে দোযখকেও প্রসারিত হতে হবে। এখান থেকে আমরা দু ধরণের অনুসিদ্ধান্ত টানতে পারি:
১। যদি আত্মা প্রবেশের হার দোযখ প্রসারণের হার অপেক্ষা অধিক হয়- তবে চাপ বাড়বে এবং তাপমাত্রাও বাড়িতে থাকিবে যতক্ষণ না পর্যন্ত দোযখ তার সম্প্রসারণের শেষ সীমায় পৌছাইয়া বিস্ফোরিত হইতেছে। অথবা,
২। যদি আত্মা প্রবেশের হারের তুলনায় দোযখ প্রসারণের হার অধিক হয়- তবে তাপমাত্রা কমিতেই থাকিবে যতক্ষণ না দোযখ একেবারে জমিয়া যাইয়া প্রসারণ বন্ধ করিয়া দিতেছে।
এ প্রসঙ্গে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য- গত গ্রীষ্মে আমার বান্ধবীর কথাটি উল্লেখ করা আবশ্যক, সে বলেছিল: “আমার সাথে শু’লে দোযখেও তুমি শীত অনুভব করবে”। যেহেতু, আমার বান্ধবীর কিছুদিন হলো অন্যত্র বিবাহ হয়েছে- সেহেতু, ধরে নেয়া যায়- ২ নং অনুসিদ্ধান্তটি ঘটিবার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে।
অতএব, বুঝাই যাচ্ছে- দোযখ অবশ্যই এক্সোথার্মিক”।
এই ছাত্রটি এ+ পেয়েছিল।
*******************
আজ এ পর্যন্তই।
আশা করবো- আপনারাও আপনাদের কালেকশন দিয়ে এই পোস্টকে আরো সমৃদ্ধ করবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।

বেটা কা বাপ

হোস্টেলে থাকা এক ছাত্রের টাকা চেয়ে বাবার কাছে পত্র—
‘বাবা,
টাকা নাই!
কী খাই?
ইতি—তোমার ছেলে নিতাই।’
ছেলের চিঠির জবাবে বাবা—
‘টাকা সাফ,
করো মাফ।
ইতি—তোমার গরিব বাপ’

সাবান দিয়ে গোসল

বুড়িগঙ্গার ময়লা পানিতে এক লোককে নামতে দেখে সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, ‘ভাই, নদীতে কী করছেন?’
‘গোসল করছি।’
‘কিন্তু নদীর পানি তো খুবই ময়লা।’
‘সমস্যা নাই। সাবান দিয়ে গোসল করছি।’

গর্দভ

চোরকে বেঁধে রেখে পুলিশের কাছে নালিশ করতে এসেছে গেরস্ত।
পুলিশ: আপনি বলছেন যে আপনি চোরকে চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে রেখে এসেছেন?
গেরস্ত: জি, স্যার । দুই পা চেয়ারের সঙ্গে ভালো করে বেঁধে এসেছি।
পুলিশ: শুধু পা বেঁধেছেন?
গেরস্ত: জি, স্যার।
পুলিশ: গর্দভ কোথাকার! মুখ না বাঁধলে চলবে কী করে? সে তো সাহায্যের জন্য অন্য কাউকে ডাকলেই তার বাঁধন খুলে দিয়ে যাবে!

চোরের ফিংগার প্রিন্ট

পুলিশ বলছে হাবিলদারকে, ‘তুমি কি চোরটাকে ধরতে পেরেছ?’
হাবিলদার: না, স্যার। তবে চোরের ফিংগার প্রিন্ট সঙ্গে করে এনেছি।
পুলিশ: কোথায়, দেখি?
হাবিলদার: স্যার, আমার গালে!

আমাকে বোকা পেয়েছ

চোর ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ বাতাসে পুলিশের টুপি উড়ে গেল।
চোর: স্যার, আপনি অনুমতি দিলে আমি এক দৌড়ে আপনার টুপিটা এনে দিতে পারি।
পুলিশ: আমাকে বোকা পেয়েছ? তুমি টুপি আনার নাম করে দৌড়ে পালাতে চাও, তা কি আমি বুঝি না ভেবেছ? চুপচাপ এখানে দাঁড়িয়ে থাকো, আমি টুপিটা নিয়ে আসছি!

লজ্জা

পুলিশ বলছে চোরকে, ‘লজ্জা করে না তোমার? এই নিয়ে তৃতীয়বার তুমি থানায় এলে!’
চোর: স্যার, আমি তো মাত্র তৃতীয়বার, আপনি যে প্রতিদিনই আসেন!

সিম না খুলেই জিপি মডেমে টাকার ব্যালেন্স দেখুন!!!!!!!!

কেমন আছেন সবাই>>>>আজকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট করতে যাচ্ছি। পোষ্টটি গ্রামীণফোন মডেম ব্যবহারকারীদের জন্য।
গ্রামীণফোন মডেমে আপনার অবশিষ্ট ডাটার পরিমাণ আপনি ৫০০০ তে মেসেজ করেই জানতে পারবেন। But টাকার (*৫৬৬#) ব্যালেন্স জানতে হলে আপনাকে মডেম থেকে সিম টি খুলতেই হত! সিমটি খুলে মোবাইলে ভরে তারপর এতদিন ব্যালেন্স চেক করতেন। বারবার মডেম থেকে সিম খুলার কারণে বহু মডেম নষ্ট হয়ে গেছে। আসলে আমার মা’র অফিসের মডেমটি কিছুদিন আগে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বার বার সিম খুলার কারণে। এরপর মাথায় বুদ্ধি এল যে গুগলে সার্চ দিয়ে এর কোন সমাধান বের করতে পারি কিনা। অবশেষে সমাধান পেয়ে গেলাম। এখন সমাধানটি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আর কোন মডেম নষ্ট হবে না>>>>>>সিম খোলার ঝামেলা অবশেষে শেষ>>>>>>>আমি আজ এমন একটি টিপস নিয়ে এলাম যার সাহায্যে সিম না খুলেই মডেমেই টাকার ব্যালেন্স সহ যেকোন ব্যালেন্স দেখতে পারবেন!!!!!!!!
এজন্য আপনাকে যা যা করতে হবেঃ
প্রথমে নিচের ডাউনলোড লিংক থেকে USSD Activator Plugin নামক একটি সফটওয়্যার টি ডাউনলোড করে নিন।
http://www.mediafire.com/?26q071b0qqf9ltg
(বিঃদ্রঃ আপনার মডেম এর মডেল জানতে মডেম এর পিছনের দিকে লক্ষ্য করুন। সেখানে মডেল নম্বরটি জানতে পারবেন।)
ডাউনলোড এর শেষে সফটওয়্যারটি আনজিপ করে আপনার পিসিতে Install করুন।
এবার আপনার মডেম টি রির্ষ্টাট দিন। (জিপি ইন্টারনেট সফটওয়্যার বন্ধ করে মডেম টি আপনার পিসি থেকে খুলুন এবং তারপর আবার লাগান)
পুনরায় জিপি ইন্টারনেট সফটওয়্যারটি চালু করুন। এবার উপরের দিকে টুলবারের শেষে নতুন একটি টুল USSD যুক্ত হয়েছে। এখন ওই টুলে ক্লিক করেই আপনি *৫৬৬# ডায়াল করে ব্যালেন্স জেনে নিতে পারেন। এছাড়াও মোবাইলের মাধ্যমে যে সমস- কাজ করা যায় সেগুলোও আপনি এই টুলের সাহায্যে করতে পারবেন।
আশা করি এই পোষ্টটি আপনাদের উপকারে আসবে।
ধন্যবাদ।।।।।।।।।।।।

হার দিয়ে সিরিজ শুরু ভারতের

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের এই আনন্দ থেকেছে ম্যাচ শেষেও
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের এই আনন্দ থেকেছে ম্যাচ শেষেও
ছবি: রয়টার্স
মেলবোর্নে গত শুক্রবার জয়ের বন্ধ্যাত্ব কেটেছে। টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের ৮ উইকেটের জয়টা ছিল বিদেশের মাটিতে ১৭ ম্যাচ পর! তবে স্বস্তির রেশ কাটতে না-কাটতেই আজ আরেকটা হারের স্বাদ পেয়েছে ভারতীয় দল।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের হার ৬৫ রানে। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। বৃষ্টি খেলার বড় একটা সময় কেড়ে নেওয়ায় ৫০ ওভারের খেলা নামিয়ে আনা হয় ৩২ ওভারে। নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ২১৬ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক দল। জবাবে ২৯.৪ ওভারে ১৫১ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ২১৬/৫ (৩২/৩২ ওভার)
ওয়েড ৬৭, ডেভিড হাসি ৬১*
বিনয় কুমার ২১/৩
ভারত: ১৫১/১০ (২৯.৪ ওভার)
কোহলি ৩১, ধোনি ২৯
ম্যাকাই ২০/৪
টস: ভারত
সূত্র: ওয়েবসাইট।

COUNTER W