Monday, February 6, 2012

রহস্য গপ্ল [ নুপুর ]

রাতে হঠাৎ করেই ভীষন বৃষঠীপাত শুরু হল । পুরো বাড়িতে আজ রাতে কেবল একাই জাবেদ ।
বৃষঠীর শাবদীক অনুভুতি বরাবরই তার কাছে আনন্ধময় হলেও আজকের বৃষঠীর বেতর কেমন যেন একটা গা শিরশির করা বেপার আছে বলে মনে হল।
এমনিতেই শিত পড়তে শুরু করেছে । শিতকে আরও জমিয়ে তুলতে তার উপরে আবার বৃষঠীজলের কৃপা ।
সুতরাং গা শিরশির করাটাই শাবাবিক ।
ঘরের দক্ষিন আর পসচ্ছিমের দুটো জানালা সব সময় খোলা থাকে জানালা দুটো কখনও গ্রিম্ম বরষা মানে না ।
কিনতু আজকে হঠাৎ করে ওদুটো কেন জানি বন্ধ করে দিতে মন চাইল জাবেদের ।
দু মিনিটের ভেতর এ জানালা দুেটা বন্ধ করে এসে চেয়ারে বসতেই দক্ষিন দিকের জানালাটায় হঠাৎ করে খুট করে সব্ধ হল ।
চমকে গেল জাবেদ । মোটা কাঠের জানালা এমনিতেই এখন বন্ধ ।
তাই বৃষঠীর দিনে এমন জোরে খট করে সব্ধ করাটা মোটেই  শাবাবিক নয় ।
জাবেদের বেসি ভাবতে সময় দিল না অপাশের কেও । আবার খট করে সব্ধ হল ।
এই ঘরের পসচ্ছিমের জানালাটায় ভাড়ির বাইরে থেকে ধাক্কা দেওয়া সম্বব হলেও দক্ষিনেরটায় সম্বব নয় কোনমতেই ।
কারন এই জানালার ওপারেও একটা বারান্দা আচে গ্রিল ঘেরা ।
সুতরাং এই বৃষঠীর এতরাতে গ্রিলের ধুরবদ্ধ সুরক্ষা ভেদ করে জানালায় এসে ধাক্কা মারার কথা নয় ।
জাবেদ চেছিয়ে উঠে-কে?
জাবেদের প্রশ্নের কেও উত্তর দেয় না । উত্তর দেয় একজন ই-ওপােশ
আবারও জানালায় খট করে শব্দ হয় । শব্দ হতেই থাকে ক্রমশ খট,খট,খট, খটাস ””
শিতের রাতেও ঘেমে নেয়ে অস্থির হয়ে উঠে জাবেদ । হঠাৎ করে কি শুরু হল বুজতে পারছে না সে ।
পসচ্ছিমের জানালায় কেও ধাক্কা দিলেও সে অন্তত বুজতে পারত যে এই বৃষঠীর দিনে হয়ত কোন
আগত্তক বাইরে দাড়ীয়ে ধাক্কা মারছে . তাই বলে গ্রিল দিয়ে ঘেরা দক্ষিনের বারান্দায় ??
তা ছাডা বাসার সবাই যখন বাইরে গেল তখন সে তো নিজের হাতেই গ্রিলের বারান্দা তালা দিয়ে আটকে
দিয়েছিল , নাকি দেয় নি ?
জাবেদ নিশ্ছিত হতে পারছে না ।
বলা নেই কয়া নেই হঠাৎ সৃষঠ শব্দে তার ভাবনা-ছিন্তা সমস্তটাই গুলিয়ে জাচ্ছে ।
ধাক্কাটা এবার থেমে থেমে আসছে । অনবরত ধাক্কা দিয়ে মানুশ যেমন ক্লান্ত হয় মনে হচ্ছে ওপাশের ‘কেউ’তেমনি ক্লান্ত হয়ে পডেছে ।
আসলেই কি ওপাশে কেউ কি আছে ? নাকি পুরোটাই তার মনের ভুল ?
কেবল বৃষঠীই হচ্ছে প্রকিতপক্ষে জানালায় কোন ধাক্কার শব্ধ হচ্ছে না , জাবেদ ভালভাবে কান পাতে ।
নাহ সে বধির নয় । ঠিক বিশ সেকেনট পর পর সুরেলা ভঙ্গিতে ঠক,ঠক, ঠক করে আওয়াজ তুলছে কেও ।
মনে হচ্ছে তবলা বাজাছে । গ্রিলে তালা দেওয়ার বিশয় এ নিজের প্রতি জাবেদের আস্তথার অবনতি ঘটতে থাকে ক্রমশই ।
এখন সে প্রায় নিসছিত তার মনের ভুলে গ্রিল দেয়া হয়নি ।
আর এই সুজুগে বৃষঠী পেয়ে গ্রিলের বারান্দার বেতর ঢুকে পড়েছে কেও ।
কিন্তু ‘কেও’ টা কে ? জাবেদ ‘কে’বলে চেচিয়ে ওটার পরেও কথা বলল না কেন ?
তবে কি লোকটা বোবা নাকি অন্য কোন প্রানি ? অন্য কোন প্রানির হাত নেই যে সুরেলা ভঙ্গিতে তাও আভার একটা নিরধারিত সময় পর পর জানালায় শব্দের সুর তুলবে ।
জাবেদের বুকটা হাপরের মত উছু-নিছু হতে থাকে অনাকাংখিত ভয়ে ।
চোর ডাকাত নয়ত ?
সে কি ছিৎকার করে লোকজন জড় করবে ?
তবে ছিৎকার না দিয়ে আবার জরসে ‘কে’ বলে চেচিয়ে ওঠে সে ।
এই এতরাত জানালার শব্দ এবং নিজের ধারনা সম্ভন্দে স্পস্ততভাবে নিসচিত হতে পারল না বলেই ছিৎকার করতে তার ভিত-স‍‍‍‍‌‌‌ণএত সত্তা বারন করে দিল  ।
এবার যেন বৃষঠীর আওয়াজটাকে আরও খানিকটা সুরেলা করতে নুপুরের আওয়াজ উঠলো তালে তালে ।
বাড়ীর বাইরে ঝম ঝম বৃষঠী আর বারান্দায় নুপুরের নিক্কন ।
জাবেদের মাথার ভেতরটাতেও যেন এক ব্রিভ্রান্তির তাল উঠছে ক্ক্রমশ ই ।
কিছুতেই থামাতে পারছে না সে ।
বাস্তবিকই  কি সব ঘটছে নাকি আজ একলা বাড়ীতে তার মনে বিদ্রম হয়েচে ?
এমনিতেই সে খুব একটা ভিত নয় ।
তবে খুব যে সাহসি সেটাও তো সে দাবি করতে পারবে না কোনদিনই ।
জানালার শব্দ থেমে গেছে নুপুরের শব্দর সঙ্গে সঙ্গেই ।
মনে হচ্ছে কেও নাচছে ।
মাথা বন বন করে ঘুরতে লাগলো জাবেদের ।
কল্পনায় সে দেকতে পেল রাজা-বাদশার  হেরেমখানার কোনও নরতকি সুযোগ পেয়ে আজ এই বারান্দায় আসর বসিয়েছে ।
তবে এখানে ঘর ভরতি শ্রতা নেই ।
শ্রতা কেবলই একজন । সে যে আজ রাতের একলা গৃহবাসি ।
আলো জলা ঘরের দ্রেসিং টাবিলের আয়নাটার দিকে তাকিয়ে নিজেকে দেখে নিজেই চমকে উঠে জাবেদ ।
অচেনা কেও জেন সে তার নিজের কাছে । ভিত মুখ পাংশুটে হয়ে গেছে । যেন রক্ত হিন কোন মুখ দেখছে সে ।
হঠাৎ মুখ টা যেন খিলখিল করে হেসে উঠল । হাসিটা কোন নারির, মুখবয়বটাও !চমকে যায় জাবেদ , আরে সে তো কোন নারি না !
তাহলে এই হাসির শব্দ আর নারিমুখটা…!! নিমেশেই ঘোর ভেঙে যায় । সে বুজতে পারে সে ঠীকই শুনেছে , দেখেছেও ঠীকই ।
জানালাটা এতক্ষনে খুলে পেলেছে ওপাশের ‘কেও’
তার বাড়িয়ে দেয়া মুখের প্রতিবিম্ব পড়েছে আয়নাটার উপর ।
 জেগে উঠার পর জাবেদ বুজতে পারল রাতে সে ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল ! দক্ষিনের জানালাটা এখনও হা করে খোলা !
পসচ্ছিমেরটা বন্ধই রয়েছে । রাতের ঘটনা গুলো কি কেবলি ই কি মনের ভুল ?
নাকি সত্যি , বুকের কাচে আনমনেই হাত ছলে যায় তার ।
মনে পড়তেই ভয় বেড়েছে । তবে বাইরের পৃথিবির চারদিকটায় আলো ফোটায় সাহস করে বারান্ধায় পা রেখেই আবার
চমকে যায় জাবেদ ।
ওই তো ঠীকই তো গ্রিলে তালা দেয়া । এখুনি রাতের ঘটনার পুরোটাই তার মনের ভুল বলে রায় দিত জাবেদ , যদি না ধিতিয়বারের
মত চমকে গিয়ে বারান্দার গ্রিলের বেতর দক্ষিন জানালার একদম নিচে একটা রুপোর নুপুর পড়ে থাকতে না দেখত সে !
জাবেদের মন থেকে ব্রিব্রান্ততির অনেকাংশই কেট গেল নুপুর ধরশন এ । কারো আগমন বিশয় এ সে এখন একশত ভাগ নিসছিত ।
তবে আপাতত নুপুর টা তোলা বা ধরার সাহস হল না তার ।
কোন আগুনতুকের এখানে আগমনের প্রমান এখন তার সামনে । এইবার বেপার টা প্রতিবেশি কাওকে জানানো জায় বলে তার মনে হল
দু,মিনিট হেটে বা ইস্কুলের সামনে জেতেই বড়সড় একটা শোরগোল দেখে বুকের মদ্দিখানটা ধড়াস করে উঠল তার ।
কি একটা বিষয় নিয়ে সবাই বিশ্মিত কণঠে আলোচনা করছে ।
প্রত্তেকএর মুখের অবস্থা একেবারে জাবেদের মতই  ! তাদের সবার আলোচনার বিষয়বস্ততুটাও খুবই পরিছিত লাগলো
জাবেদের কাছে । গতরাতের যে বিসয় টা পরিছিত কাওকে বলার জন্য বাড়ির বাইরে এসেছিল জাবেদ সে টা এখন আর
উপস্থিত কাওকে নতুন করে বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হচ্চে না তার !!!!!!!
গতরাতে বৃষঠী সুরু হওইয়ার পর এই পাড়ার মোট উনচল্লিশ টা বাড়িতে রহস্যময়  ‘ কেও ‘
এসেছিল । তবে প্রত্তেক বাড়ীতে নুপুরের নাচ শোনা গেলেও কারও বারান্দাতে নুপুর পড়ে থাকার কথা
শোনা গেল না । জাবেদ নিসচিত দু,পায়ের এক পায়ের একটা কেবল তার বারান্দাতেই পড়েছে । ব্যাপার টা
ভাবতেই রাতের সেই অনুভুতি যেন আবার শিতল হয়ে নেমে গেল মেরুদণড বেয়ে । ভয় ভাবনায় ঢেকেজ
যেতে শুরু করলো তার ভেতরের জগত ।
রহস্যময় কেও যদি এমনি বৃষঠীর দিনে আবার তার কাছে পেলে জাওয়া নপুরটা ফেরত নিতে আসে ?????

No comments:

Post a Comment

COUNTER W