Friday, March 9, 2012

সৃষ্ঠিকর্তাকে কে সৃষ্ঠি করেছেন? আল্লাহ সম্পর্কে কিছু বিভ্রান্তিকর প্রশ্নে এবং এর উত্তর

১ সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করেছেন ?

২ যার কোন কিছুই অসাধ্য নয়, তাকেই বলা হয় মর্বশক্তিমান। আমরা বলি আল্লাহ সর্বশক্তিমান। তাহলে তিনি কি এমন একটা পাথর তৈরী করতে পারবেন, যা নিজেই ভাংতে পারবেন না। যদি তৈরী করতে না পারেন, তাহলে সর্বশক্তিমান কথাটির সঠিক অর্থ রইল না। যদি তৈরী করে ভাংতে না পারেন, তাহলেও সমস্যাটি একই দাঁড়ালো। তাহলে কি সর্বশক্তিমান কখাটি অর্থহীন একটা শব্দ মাত্র?



৩ আল্লাহ পাক যদি সর্বশক্তিমান হন, তাহলে তিনি এমন একটি পাহাড় বানাতে পারবেন, যে পাহাড় তিনি নিজেই তুলতে পারবেন না। যদি না পারেন, তাহলে তিনি সর্বশক্তিমান নন। যদি পারেন, তাহলেও তিনি সর্বশক্তিমান নন, কারন তিনি আর ঐ পাহাড় তুলতে পারবেন না।


৪ সৃষ্টিকর্তা কি আরেক সৃষ্টি কর্তা সৃষ্টি করতে পারবেন ?


কোন ক্লাস ফাইভের ছেলে মনে হয় এভাবে উত্তর দিবে, হ্যা পারেন, এমন পাথর যা নিজেই ভাংতে পারেন না। কিন্তু ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি তা ভাংতে পারবেন না, যতেক্ষণ পর্যন্ত তিনি তা না চান। কিন্তু তিনি আবার এটি ভাঙ্গতে পারবেন, যখন তিনি তা চান।


কী ভাই মাথা কি ঘুরাইতাছে। কিন্তু আল্লাহ পাক এসব কাজ করেন তা জানা যায় না। যে কাজ তাকে দিয়ে মানায় না, তা তিনি করেন বলে, আমরা দেখি না। যেমনঃ


আল্লাহ পাক কি ভুল করতে পারেন। হ্যাঁ পারেন, যদি তিনি চান কিন্তু তিনি তা করেন না, আমার পালনকর্তা ভ্রান্ত হন না (২০:৫৩)


আল্লাহ পাক কি কারো প্রাপ্য হক কেরে নিতে পারেন, হ্যা তিনি পারেন কিন্তু তিনি তা করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ কারো প্রাপ্য হক বিন্দু-বিসর্গও রাখেন না; (4:40)

{এটা দেখে ভাবিয়েন না, যে আল্লহ পাক কাউকে পরিক্ষা করেন না}

আসল কাহিনীতে আসেন, আমি যখন ছোট ছিলাম, দাবা খেলায় আমি অনেক ভাল ছিলাম (এখন দাবা খেলি না)। তো দাবা খেলায় কে কত কম চালে জিততে পারবে এ নিয়ে চিন্তা করতাম, তো একবার মনে হলে আমি এত এত চালে জিততে পারি, শেষে বের করলাম সর্বনিম্ন এত চালে আমি জিততে পারবো। এর নিচে কোন চালে কেউ জিততে পারবে না। কিন্তু তখনই পড়লাম ঝামেলায়, তাহলে আল্লাহ পাকও কি এক চালে গেইম দিতে পারবেন না? গবেষণা করে উত্তর বের করালাম, হ্যাঁ তিনি পারবেন, যে তার বিরুদ্ধে খেলতে গিয়েছে, সে এক চাল হওয়ার পরই নিজে হার মেনে যাবে নিজ থেকেই তাই হেরে যাবে। কারণ আল্লাহ পাক চান তিনি এক চালে গেইম দিবেন, আর সে এমনিতেই হার মেনে যাবে। ব্যাপারটি বুঝতে বেশ গোলমাল লাগবে। কিন্তু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন। বিষয় হচ্ছে হারা বা জিতা বলতে আসলে কিছু নেই, কিন্তু আমাদের মনে ধারণা এটি হারা, এটি জিতা, এভাবেই আমরা ভাবি। এর বাইরে আমরা কিছু ভাবতে পারি না। আমাদের ভাবার ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে অভাবনীয় বিষয়ে প্রশ্ন তুলি। এখন, এই অভাবনীয় বিষয় যদি আল্লাহ পাক করতে চান তাহলে করতে পারেন, কীভাবে, খুব সহজ, তিনি সময়-কে পূর্বে নিয়ে যাবেন, আর পূর্ব থেকেই এভাবে নিয়ে আসবেন। তাহলে তিনি যা নিয়ে আসবেন, আপনি তাই ভাববেন। আর এভাবেই তিনি তাঁর কাজ করে ফেলতে পারেন।


মনে করুন দাবা খেলার নিয়মই তিনি হাজার বছর আগে গিয়ে পরিবর্তন করে দিলেন। এখন, হাজার বছর পরে দেখবেন এক চালেও গেইম হয়। বুঝছেন ব্যাপারটা । যেসব চিন্তা করতেছেন, এগুলো হচ্ছে সেন্স, যা আল্লাহ পাক যেভাবে দিয়ে রাখছেন সেভাবেই করতেছেন, এখন আল্লহ পাক যখন ইচ্ছা এই সেন্স পরিবর্তন করে দিতে পারবেন। তখন বর্তমানে যুক্তিতে যা অসম্ভব বলে বিবেচিত হয়, তা আর তখন অসম্ভব মনে হবে না। কিন্তু তখন হয়ত অন্য প্রশ্ন খুঁজবেন।


না বুঝলে আরেকটু আগাই। কোন ব্যাপার ঘটা বা হওয়া আল্লাহ পাকের নিজের সাথে সম্পর্কিত নয়। মনে করুন, আল্লহ পাক সব করতে পারেন। এই সব করা আসলে কী? আল্লাহ পাকের কিছু হওয়াও নেই, তিনি কিছু হন না, আল্লাহ পাকের ঘটাও নেই, তিনি কিছু ঘটেন না। কিছু হওয়া বা ঘটা এটা সৃষ্টির সাথে সম্পর্কিত, স্রষ্টার সাথে নয়। তিনি সর্বশক্তিমান। এই সর্ব বিষয়টি কী সেটা আপনাকে বুঝতে হবে। তিনি কোন বস্তু নন, যে তাঁর উৎপত্তি হবে, তিনি কোন মানুষ বা হাতি নন যে তিনি পাথর তুলবেন (জীবনে দেখছেন যে আল্লাহ পাক পাথর তুলতেছেন?) আসলে প্রশ্ন গুলিই ঠিক না। বলা যায় পাগলামি। যেমনঃ- একটি ঘরে মাইনাস দশ জন মানুষ আছে। এ কথার কোন অর্থ নেই, কারণ ঘরে কোন মানুষ নেই হতে পারে, কিন্তু মাইনাস দশজন মানুষ আছে হতে পারে না। কোন কথার কী অর্থ থাকবে, কী থাকবে না, এটিও আল্লাহ পাকের নিয়ন্ত্রণাধীন। তিনি ইচ্ছা করলেই হাজার বছর আগে গিয়ে সৃষ্টির সিস্টেম বদলিয়ে যা আজকে পারা যায় না বলে মনে হচ্ছে, তাই আবার পারা যাবে মনে হবে। এহিয়া উলুম উদ দ্বীন থেকে বুঝার সুবিধার্থে,


একাত্ববাদ আল্লাহ্ এক তার কোন শরীক নেই,তিনি একক তার মত কেউ নাই ,তিনি অমুক্ষাপেক্ষি তার প্রতিদ্বন্দী এবং সমকক্ষ কেউ নাই.তিনি চিরন্তন যার কোন শুরু নেই.তিনি সদা প্রতিস্ঠত ,যার কোন শেষ নাই.দতনি সদা বিদ্যমান,যার কোন অবসান নেই.তিনি অক্ষয় যার কোন ক্ষয় নাই.তিনি সবার প্রথম এবং শেষ.তিনি প্রকাশ্য এবং তিনিই গোপন.


পবিত্রতা এই বিস্বাস রাখা যে, আল্লাহ্ তা’আলা সাকার নন,সীমিত পর্দাথ নন,পরিমান বিশিষ্ট নন এবং বিভাজ্য নন.তিনি দেহের অনুরুপ নন.

তিনি কোন বিদ্যমান বস্তুর অনুরুপ তিনি নন এবং তিনি কোন বিদ্যমান বস্তুও তার মত নয়.
না তার সমতুল্য কেউ আছে না তিনি কারও সমতুল্য.
তিনি আরশ,আকাশ এবং পৃথিবীর সীমানা র্পযন্ত সবকিছুর উপরে.তিনি এই ভাবে উপরে যে আরশের নিকটেও নন,আবার পৃথিবী থেকে দুরেও নন.বরং তার র্মযাদা এই সব নৈকট্য এবং দুরত্বের অনেক উর্ধে.এতদসত্তেও তিনি প্রত্যেক বস্তুর সন্নিকটে এবং মানুসের ধমনির নিকটবর্তী.
তারনৈকট্য দেহের নৈকট্য এর অনুরুপ নয়.যেমন তার সত্তা দেহের সত্তার অনুরুপ নয়.তিনি কোন বস্তুর মধ্যে অনুপ্রবেশ করে না এবং কোন বস্তু তার মধ্যে অনুপ্রবেশ করে না.তিনি সময়ের বেস্টনির থেকে মুক্ত.তিনি স্থান কাল এবং জন্মের র্পুবে ছিলেন.তিনি এখনও তেমনি আছেন যেমন ছিলেন র্পুবে.তিনি নিজ গুনা বলীতে সৃস্টি থেকে আলাদা.তার সত্তায় তিনি ব্যতিত অন্য কেউ নাই.এবং অন্য কোন কিছুতেই তার সত্তা নেই.তিনি পরির্বতন ও স্থানন্তর থেকে পবিত্র.
তিনি গুনাবলীর র্পূনতায় কোন সংযোজনের প্রয়োজন রাখে না.বিবেক দ্বারাই তার অস্তিত্ব আপনা আপনি জানা হয়ে যায়. আমি চোখ খুলেছি কিন্তু আমি কোন কলম দেখতে পাচ্ছিনা? জ্ঞান তাকে বলল-এটা তুমি কি বলছ?ঘরের আসবাবপত্র কি ঘরের মালিকের ন্যয় হয়?তুমি কি জান স্রস্টার সত্তা অন্য কারো সত্তার মত না ?ঠিক সেরকম স্রস্টার হাত জড় জগতের অন্যান্য হাতের মত না.তার কলম জড় জগতের কলম এর মত না.তার সত্তার কোন শরীর নেই.তিনি কোন অবস্থানে আবদ্ধ নয়.তার হাত মানুষের হাত এর মত রক্ত,মাংস ওঅস্থির দ্বারা হঠিত নয়.তার কলম জড় জগতের কলম এর মত নয়.তার ক‍লমের কোন স্বর বা অক্ষর নেই.তার লেখনিতে কোন কালির অংকন নেই।

আপনাদের বুঝার সুবিধার্তেঃ আল্লাহ পাক যুক্তির বেষ্ঠনী থেকে মুক্ত, কোন যুক্তি তাকে আটকাতে পারেন না, তিনি যেভাবে চান সেভাবেই যুক্তি তৈরি হয়, যেভাবে তিনি চান সেভাবেই বাস্তবতা আসে, তিনি যে কোন সময় বাস্তবতার যুক্তিকে ভিন্ন রূপ এবং ভিন্ন রূপের যুক্তিকে বাস্তবতার যুক্তিতে নিয়ে আসতে পারেন, যা আজকে বাস্তব মনে হচ্ছে তাকে অবাস্তব, এবং যা অবাস্তব মনে হচ্ছে তাকে বাস্তবে পরিণত করতে পারেন। তখন অবাস্তবকেই আপনার নিকট স্বাভাবিক মনে হবে, আর বর্তমানের স্বাভাবিককে অবাস্তব মনে হবে। বস্তুত আল্লাহ পৃথিবীর কোন বস্তুর মত নহেন, যে আপনি ধারণা করবেন তিনি এরূপ, না কোন বস্তুর বৈশিষ্ট্য তাকে দিতে পারবেন, (যেমন তিনি পাথর তুলতে পারবেন কি না? কেউ তাহাকে সৃষ্টি করেছে কি না) আপনাকে বুঝতে হবে, সৃষ্ট এবং স্রষ্টা এর পার্থক্য। আল্লাহ পাক কোন কিছুর মত নন, তাই কোন সৃষ্ট বস্তু বা প্রাণী বা অন্য কিছুর কোনরূপ বৈশিষ্ট্য, ক্ষমতা আল্লাহ পাকের উপর আরোপ করতে পারবেন না। জোর করে আরোপ করতে চাইলে বাক্যের কোন অর্থ থাকে না। আরো ভাল ভাবে বুঝতে এই লেখাটি পড়ুন। আর এসব পড়েও মূলত কিছু বুঝবেন না বা বুঝতে চাইবেন না, কারণ হেদায়েত আল্লাহ পাকের কাছে, তাই শুদ্ধ মনে আল-কুরান পড়ুন, খামোকা আমাদের মত মূর্খদের কথা কেন শুনবেন।


মেরিনার ভাইয়ের একটি সুন্দর যুক্তি আমার পুরো বক্তব্য কে তুলে ধরতে পারে। বক্তব্যটি নিম্নরূপঃ

ধরা যাক আপনি অনেক দীর্ঘ একটি তাসের সারির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, আপনি দেখছেন একটি একটি করে তাস পড়ে যাচেছ এবং পড়ে যাওয়ার সময় সে পরের তাসটিকে ধাক্কা দিচ্ছে, ফলে পরের তাসটিও পড়ে যাচেছ, এভাবে একটি তাসের পতনের কারণ হচ্ছে তার পূর্বের তাসটি, তার পতনের কারণ তার পূর্বের তাসটি, তার পতনের কারণ তার পূর্বের তাসটি, এভাবে যেতে থাকলে একটি তাসে গিয়ে আপনাকে থামতেই হবে যেটি প্রথম তাস ৷ এখন যদি প্রশ্ন করা হয় যে, প্রথম তাসের পতনের কারণ কি? উত্তরে বলা যাবে না যে সেটিও একটি তাস, ফলে বুঝতে হবে যে প্রথম তাসের পতনের কারণ এমন কিছু যে নিজে তাস নয় ৷ হয়ত সে একজন মানুষ যে প্রথম তাসটিকে টোকা দিয়েছে ৷ এই মানুষটি যেহেতু তাস নয়, সেজন্য তাসের ক্ষেত্রে যে বৈশিষ্ট্যসূচক প্রশ্ন করা যাবে, এই মানুষের ক্ষেত্রে তা করা যাবে না ৷ যেমন তাসের ক্ষেত্রে প্রশ্ন করা যায় যে “তাসটি কি হরতন না ইস্কাপন?”, কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে এই প্রশ্নটি অবান্তর ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও তাসের পতনের পেছনে আদি কারণ হিসেবে মানুষ থাকার বিষয়টি বাস্তব ৷ ঠিক তেমনি স্রষ্টা যেহেতু সৃষ্টি নন কিংবা ফল নন, সেহেতু “তাঁর স্রষ্টা কে?” বা “কারণ কি?” এই প্রশ্নগুলি তাঁর বেলায় প্রযোজ্য নয় – কিন্তু তাঁর থাকার বিষয়টি বাস্তব ।

সবশেষে বলি, আল্লাহ পাক সব বিষয়ে জানেন। আমাদের জানার অনেক ভুল আছে। তিনি আমাদের যেন ক্ষমা করেদেন, আমিন।


কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ

১ ইমাম গাজ্জালি রঃ (উনার লেখা পড়ে বিষয় বুঝতে সহজ হয়েছে)
২ ডা জাকির নায়েক (উনার একটি লেখা আমাকে একই বিষয় বুঝতে সহায়তা করেছে)
৩ মেরিনার ভাই (উনার একটি লেখা আমাকে একই বিষয় পরিষ্কার হতে সহায়তা করেছে)
৪ জানা অজানা সকল ব্যাক্তি যারা এই বিষয় গুলিকে পরিষ্কার করে গিয়েছেন। (তাদের কাজের উপর ভিত্তি করেই অন্যরা কাজ করেছে)
৪ এবং সকল ব্যাক্তি যারা এ ধরনের প্রশ্নগুলি তুলেছেন। (তারা প্রশ্ন না করলে, এ ব্যাপারে কেউ চিন্তা করত না)

Source


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'। প্রবন্ধটি পড়া হলে, নিচের লিংক থেকে Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করুন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

1 comment:



  1. http://www.shodalap.org/musa/12512

    এই লিংকের ৪নং কমেন্টে এই প্রশ্নের সুন্দর জবাব আছে।

    আপনার পোষ্টের সবচেয়ে মূল্যবান অংশ দু'টির একটি হচ্ছেঃ

    তখন তারা বলবে, “মহাবিশ্বের নিয়ম মানতে হবে কে বলেছে। আল্লাহ কি মহাবিশ্বের নিয়ম ভাঙ্গতে পারে না?”
    এখন আলোচ্য প্রশ্নটার ধরনটাই হচ্ছে, “আল্লাহ কি ‘ক’ করতে পারেন, যার ফলে তিনি ‘খ’ করতে পারবেন না, কারণ মহাবিশ্বের নিয়ম অনুসারে ‘ক’ হলে ‘খ’ কখনও হতে পারে না?”
    এখানে প্রশ্নটাই হচ্ছে, মহাবিশ্বের নিয়মের মধ্যে থেকে কি আল্লাহ মহাবিশ্বের মধ্যে ‘ক’ করতে পারেন কি না, যার ফলে তিনি কখনও মহাবিশ্বের মধ্যে‘খ’ করতে পারবেন না। যদি মহাবিশ্বের নিয়মের মধ্যে থাকতেই হয় এবং মহাবিশ্বের মধ্যেই কোন ঘটনা ঘটাতে হয়, তাহলে মহাবিশ্বের নিয়মের অনুসারে একটা ঘটনা বাস্তব, না অবাস্তব সেটাও স্বীকার করতে হবে। নিজের সুবিধামত কথা পালটালে তো হবে না। যারা এধরনের কথা বলে তারা আসলে বলছেঃ
    “আল্লাহ কি মহাবিশ্বের নিয়ম অনুসরণ করে, মহাবিশ্বের নিয়মের বাইরে কোন কিছু করতে পারে না?”

    আর ২য়টি হচ্ছেঃ

    এরা আপনাকে ভাষাগত ভাবে ভুল বাক্য তৈরি করে, বৈজ্ঞানিক ভাবে অবৈজ্ঞানিক একটা প্রশ্ন করে, আপনার কাছে দাবি করবে একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেবার।
    এদেরকে জিগ্যেস করুনঃ
    “আপনি কি কোন কথা না বলে একটা কথা বলতে পারবেন? যদি তা না পারেন, তাহলে সেটা পেরে তারপর আমার কাছে আসুন।”

    আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে এর সাথে আরেকটু যোগ করছি যে,

    "আল্লাহ্‌ সব কিছু করতে সক্ষম" এটাকে কোরানের অন্য আয়াতে একটু ব্যখ্যা করে এভাবে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ্‌ যা চান তা তিনি করতে সক্ষম। আর আল্লাহ্‌ কখনো নিজেকে অক্ষম করতে বা মারতে চান না।

    আবার দেখুন, "আল্লাহ্‌ এমন একটি ভারী পাথর বানাতে পারবেন না যেটা তিনি নিজেই উঠাতে পারবেন না।"
    এই কথাটি আসলে শুধুমাত্র বাহ্যিকভাবে বা শুধুমাত্র শব্দের হিসাবে আল্লাহ্‌র অক্ষমতা বুঝাচ্ছে। কিন্তু ভালোভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে, এই কথাটি আসলে আল্লাহ্‌র চূড়ান্ত সক্ষমতা ও শক্তিকেই প্রকাশ করছে। কেননা এই কথাটির অর্থ হলো এই যে, পাথর যত ভারীই হোকনা কেন, আল্লাহ্‌ সেটা বানাতেও পারবেন এবং উঠাতেও পারবেন।
    এক বুজুর্গ দোয়া করেছিলেন যে, হায় আল্লাহ্‌!! আপনি নবীর উপর রহমত বর্ষণ করতে থাকুন যতক্ষণ না আপনার রহমত শেষ হয়। এখন চিন্তা করুন একথার মানে কি?এ কথার উদ্দেশ্য এটাই যে, সর্বদা রহমত বর্ষণ করতে থাকুন, যেহেতু আল্লাহ্‌র রহমতের কোন শেষ নেই, তাই রহমত বর্ষণও কখনো শেষ হবেনা।

    ReplyDelete

COUNTER W