নারীদের দাওয়াত দানের প্রথম মারকায পরিবার :
পরিবার হ’ল জাতির প্রথম ভিত্তি। এজন্য কুরআন ও হাদীছে প্রথমে পরিবারের মাধ্যমে দাওয়াত প্রদানে জোর দেয়া হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের প্রধান যদি নিজ পরিবারকে ভাল কাজের আদেশ, মন্দ কাজে নিষেধ করত, তবে সমাজ আজ অধঃপতনের অতল তলে হারিয়ে যেত না। দুষ্ট ও নষ্ট সন্তানের ক্রমবৃদ্ধি ঘটতো না। সুসন্তানের সংখ্যা বেড়ে যেত। পরিবারে ও সমাজে শান্তি নেমে আসতো। সেকারণ সব সন্তানেরই প্রথমে পরিবার থেকে উপদেশ পাওয়া উচিত। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং পরিবারকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা কর’ {তাহরীম ৬}। অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘আপনি আপনার পরিবার ও নিকটাত্মীয়দেরকে ভয় প্রদর্শন করুন’ {শু‘আরা ২৬}।
রাসূল (ছা.) বলেন, ‘সাত বছর বয়সে উপনীত হ’লে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে ছালাতের নির্দেশ দাও। দশ বছরে উপনীত হ’লে তাদেরকে (ছালাতের অভ্যাস না হয়ে থাকলে) প্রহার কর এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও’। *১৮*
রাসূলুল্লাহ (ছা.) অন্যত্র বলেন, ‘তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেকেই তার এ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। ইমাম একজন রক্ষক। তার রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ব্যক্তি তার পরিবারের দায়িত্বশীল। তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। স্ত্রী তার স্বামীর সংসারের ও সন্তানের দায়িত্বশীল। তার দায়িত্ব সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করা হবে। খাদেম তার মনিবের মালের দায়িত্বশীল। সে তার দায়িত্বের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে। তোমাদের সবাই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেককে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। *১৯*
কোন মানুষ তার দায়িত্ব সম্পর্কে জওয়াবদিহি না করে পার পাবে না। যে যতটুকু দায়িত্ব নিয়ে আছে, সে তার মেধা, যোগ্যতা ও কর্মের হিসাব ততটুকুই দিবে। নারীকে তার পরিবারের সন্তানাদি, স্বামীর খেদমত, তার সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে আল্লাহর নিকট হিসাব পেশ করতে হবে। এই জওয়াব দানের চিন্তা-ভাবনা যদি সে করে তবে দুনিয়াতেই সে নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করবে এবং হিসাবের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে সক্ষম হবে। সুতরাং নারীকে জেগে ওঠতে হবে। নেপোলিয়ানের বিখ্যাত উক্তি সবারই জানা। তিনি বলেছেন, Give me a good mother, I will give you a good nation. ‘তুমি আমাকে একজন ভাল মা দাও, আমি তোমাকে একটি ভাল জাতি উপহার দিব’। আরবের কবি হাফিয ইবরাহীম বলেন, ‘মা হ’ল মাদরাসার ন্যায়। যদি তুমি তাকে যত্ন সহকারে গড়ে তোল, তবে তুমি তো এক মহান পবিত্র জাতিকে গড়ে তুললে’।
সুতরাং একজন নারী একটি জাতি গঠনে যতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, একজন পুরুষের পক্ষে তা কখনোই সম্ভব নয়। সুতরাং শিক্ষিত নারীর জন্য উচিত তাদের দোষ শুধরে দিয়ে, ভাল কাজের উপদেশ দিয়ে পুরো পরিবারকে কল্যাণের দিকে নিয়ে যেতে উৎসাহ দেয়া।
পরিবার হ’ল জাতির প্রথম ভিত্তি। এজন্য কুরআন ও হাদীছে প্রথমে পরিবারের মাধ্যমে দাওয়াত প্রদানে জোর দেয়া হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের প্রধান যদি নিজ পরিবারকে ভাল কাজের আদেশ, মন্দ কাজে নিষেধ করত, তবে সমাজ আজ অধঃপতনের অতল তলে হারিয়ে যেত না। দুষ্ট ও নষ্ট সন্তানের ক্রমবৃদ্ধি ঘটতো না। সুসন্তানের সংখ্যা বেড়ে যেত। পরিবারে ও সমাজে শান্তি নেমে আসতো। সেকারণ সব সন্তানেরই প্রথমে পরিবার থেকে উপদেশ পাওয়া উচিত। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং পরিবারকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা কর’ {তাহরীম ৬}। অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘আপনি আপনার পরিবার ও নিকটাত্মীয়দেরকে ভয় প্রদর্শন করুন’ {শু‘আরা ২৬}।
রাসূল (ছা.) বলেন, ‘সাত বছর বয়সে উপনীত হ’লে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে ছালাতের নির্দেশ দাও। দশ বছরে উপনীত হ’লে তাদেরকে (ছালাতের অভ্যাস না হয়ে থাকলে) প্রহার কর এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও’। *১৮*
রাসূলুল্লাহ (ছা.) অন্যত্র বলেন, ‘তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেকেই তার এ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। ইমাম একজন রক্ষক। তার রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ব্যক্তি তার পরিবারের দায়িত্বশীল। তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। স্ত্রী তার স্বামীর সংসারের ও সন্তানের দায়িত্বশীল। তার দায়িত্ব সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করা হবে। খাদেম তার মনিবের মালের দায়িত্বশীল। সে তার দায়িত্বের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে। তোমাদের সবাই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেককে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। *১৯*
কোন মানুষ তার দায়িত্ব সম্পর্কে জওয়াবদিহি না করে পার পাবে না। যে যতটুকু দায়িত্ব নিয়ে আছে, সে তার মেধা, যোগ্যতা ও কর্মের হিসাব ততটুকুই দিবে। নারীকে তার পরিবারের সন্তানাদি, স্বামীর খেদমত, তার সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে আল্লাহর নিকট হিসাব পেশ করতে হবে। এই জওয়াব দানের চিন্তা-ভাবনা যদি সে করে তবে দুনিয়াতেই সে নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করবে এবং হিসাবের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে সক্ষম হবে। সুতরাং নারীকে জেগে ওঠতে হবে। নেপোলিয়ানের বিখ্যাত উক্তি সবারই জানা। তিনি বলেছেন, Give me a good mother, I will give you a good nation. ‘তুমি আমাকে একজন ভাল মা দাও, আমি তোমাকে একটি ভাল জাতি উপহার দিব’। আরবের কবি হাফিয ইবরাহীম বলেন, ‘মা হ’ল মাদরাসার ন্যায়। যদি তুমি তাকে যত্ন সহকারে গড়ে তোল, তবে তুমি তো এক মহান পবিত্র জাতিকে গড়ে তুললে’।
সুতরাং একজন নারী একটি জাতি গঠনে যতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, একজন পুরুষের পক্ষে তা কখনোই সম্ভব নয়। সুতরাং শিক্ষিত নারীর জন্য উচিত তাদের দোষ শুধরে দিয়ে, ভাল কাজের উপদেশ দিয়ে পুরো পরিবারকে কল্যাণের দিকে নিয়ে যেতে উৎসাহ দেয়া।
No comments:
Post a Comment