Monday, February 27, 2012

বরাদ্দ জায়গাতেই বসলেন ওয়ার্ন

শেন ওয়ার্ন শেন ওয়ার্ন
এই যোগ্যতা অর্জন করেছেন অনেক আগেই। অস্ট্রেলিয়া তো বটেই, ইতিহাসেরই সেরাদের একজন তিনি। অনেকের মতেই সর্বকালের সেরা লেগ স্পিনার। হল অব ফেমে জায়গাটা আসলে বরাদ্দই ছিল! বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। সেটাও হয়ে গেল, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন শেন ওয়ার্ন। আজ মেলবোর্নে অ্যালান বোর্ডার পদক প্রদান অনুষ্ঠানে স্মারক তুলে দেওয়া হবে ওয়ার্নের হাতে।
৭০০ টেস্ট উইকেট নেওয়া প্রথম বোলার, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট, ২৯৩ ওয়ানডে উইকেট—ওয়ার্নকে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে পরিসংখ্যানই যথেষ্ট। তবে স্রেফ এসব পরিসংখ্যানের সাধ্য নেই ওয়ার্নকে বোঝানোর। হল অব ফেমের চেয়ারম্যান ডেভিড ক্রো জানালেন ওয়ার্নের সেই সর্বব্যাপী আবেদন, ‘ক্রিকেটে শেন ওয়ার্নের অবদান অনেক। লেগ স্পিনকে পুনরুজ্জীবিত করেছে ও। নিখুঁত লাইন-লেংথের সঙ্গে বৈচিত্র্য ও বিশাল টার্ন মিলিয়ে নিষ্প্রাণ উইকেটেও ও ছিল ভয়ংকর। দলের প্রয়োজনের সময় পারফর্ম করেছে। যে সংখ্যায় উইকেট পেয়েছে, কিংবদন্তি তালিকায় জায়গা পাওয়ার জন্য সেটাই যথেষ্ট। অতিমানবীয় পারফরম্যান্স তো আছেই, ওয়ার্ন খেলাটার মোড় পাল্টে দিয়েছে। নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করেছে লেগ স্পিন শিল্পের চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করতে।’
হল অব ফেমে জায়গা তাঁর জন্য নির্ধারিত, ওয়ার্ন নিজেও জানতেন। তার পরও আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর জানিয়েছেন উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া, ‘এটা অনেক বড় একটা সম্মান। ভীষণ, ভীষণ গর্বিত আমি। পরিবার ও সন্তানদের সঙ্গে মুহূর্তটি উপভোগ করতে পেরে আরও ভালো লাগছে। হল অব ফেমে অসাধারণ সব ক্রিকেটারের জায়গা হয়েছে, তাঁদের পাশে আসতে পারাটা বড় এক সম্মান। এ বছর একমাত্র আমি-ই মনোনীত হয়েছি, সেটাও অবসর নেওয়ার খুব বেশি পরে নয়—সব মিলিয়ে এই সম্মান আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
গর্বের দিনটিতে ওয়ার্ন পেছন ফিরে তাকিয়েছেন খেলোয়াড়ি জীবনের স্মরণীয় মুহূর্তগুলোয়, ‘আমি খুবই ভাগ্যবান, অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে অসাধারণ সব মুহূর্ত কেটেছে আমার, দারুণ সব অর্জনের অংশ হয়েছি। দেশে-দেশের বাইরে সব জায়গায় জিতেছি আমরা, লম্বা সময় ধরে ছিলাম এক নম্বর। ব্যক্তিগতভাবে স্মরণীয় স্মৃতি আমার অভিষেক টেস্ট, ১৯৯২ সালে সিডনিতে। মাঠে ঢোকার সময় স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে দেখলাম লেখা, “অভিনন্দন, শেন ওয়ার্ন, অস্ট্রেলিয়ার ৩৫০তম টেস্ট ক্রিকেটার।” দলগতভাবে প্রিয় স্মৃতি ১৯৯৩ অ্যাশেজ ও ১৯৯৪ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। বিশ্বকাপ জয়, অ্যাশেজ জয়...আমি খুবই ভাগ্যবান, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের দারুণ এক সময়ে খেলেছি এবং অনেক বন্ধু পেয়েছি।’
ওয়ার্নের ধারণা, আগামী এক-দেড় বছরের মধ্যে আবার বিশ্ব ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পাবে অস্ট্রেলিয়া। আর দেখে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ দুই গ্রেটের প্রতিচ্ছবি, ‘আমার মতে, এই মুহূর্তে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় মিচেল মার্শ। যদি আমরা ওকে নিয়ে তাড়াহুড়ো না করি, ধৈর্য ধরে ওকে গড়ে তুলি, উৎসাহ দিই—তাহলে আমার ধারণা ও হতে যাচ্ছে সত্যিকারের সুপারস্টার। আর ডেভিড ওয়ার্নারকে টেস্টে পারফর্ম করতে দেখে খুব ভালো লেগেছে। আমি সব সময় বলেছি, ও সব ধরনের ক্রিকেটেই বড় এক সম্পদ হতে পারে।’ ওয়েবসাইট।

No comments:

Post a Comment

COUNTER W